পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, মানুষের জীবন চলার পথে সকল সমস্যার সমাধান আল্লাহ তায়ালা আল-কুরআনে দিয়েছেন। সৃষ্টি আল্লাহ’র, মতবাদও দিয়েছেন আল্লাহ। তাই আল্লাহর মতবাদের বাইরে মানুষের মতবাদ মানলে অশান্তি বাড়তেই থাকবে। মুসলমানরা যতদিন প্রকৃত ইসলাম ধারণ করেছিল, ততদিন মুসলমানরা ছিল বিশ্বময় নেতৃত্বদানকারী জাতি। মুসলমানরা যখন ইসলাম ছেড়ে তাগুত মেনে নিতে শুরু করেছে তখন থেকে তারা লাঞ্ছিত ও অপমানিত জাতিতে পরিণত হচ্ছে। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে কুফরী গণতন্ত্রের পরিবর্তে ইসলামের খেলাফত গ্রহণ করতে হবে। কোন মানুষ যদি পরিপূর্ণ ইসলামী জীবনাচার মেনে চলে, সে পরিণত হয় একজন আদর্শ মানুষে। তেমনি সমাজ ও রাষ্ট্র যদি ইসলাম অনুযায়ী পরিচালিত হয়, সেই রাষ্ট্রও হবে সর্বদিক দিয়ে বিশ্বের মধ্যে মডেল। মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, দীনের কিছু অংশ মানলে এবং কিছু অংশ না মানলে সে পরিপূর্ণ মুসলিম হতে পারে না। দেশের সামগ্রিক অবস্থার জন্য প্রচলিত সামাজিক অবস্থা ও মানব রচিত মতাদর্শই দায়ী বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে দেশ ও ইসলামের বিরুদ্ধে গভীর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র চলছে। জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা এই ষড়যন্ত্রেরই অংশ। তিনি ষড়যন্ত্রকারী আমেরিকা ও ইহুদিদের বিরুদ্ধে বিশ্বময় মুসলিম গণজাগরণের আহŸান জানান। দাওয়াতুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী তাফসীরুল কুরআন মাহফিলের প্রথমদিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গতকাল (মঙ্গলবার) বিকাল ৩টা থেকে মাহফিলের প্রথম দিনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির যুগ্ম আহŸায়ক প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে আরো তাফসীর পেশ করেন শায়খুল হাদীস মুফতী মিজানুর রহমান সাঈদ, আলহাজ্ব ডা. মুখতার হুসাইন, প্রফেসর হাফেজ মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, শায়খুল হাদীস মাওলানা মকবুল হোসাইনসহ দেশবরেণ্য উলামায়ে কেরাম। মাহফিল পরিচালনায় ছিলেন নগর সেক্রেটারী মাওলানা এবিএম জাকারিয়া ও মাওলানা আরিফুল ইসলাম। সার্বিক তত্ত¡াবধানে ছিলেন মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব আলহাজ্ব মুহা. আব্দুর রহমান।
মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, জিহাদের অপব্যাখা করে পাঠ্যপুস্তক মুসলমানদের শৌর্যবীর্যের ইতিহাস-ঐতিহ্য মন্ডিত অধ্যায়সমূহ মুছে ফেলার চক্রান্ত সহ্য করা হবে না। নাস্তিক্যবাদী ও হিন্দুত্ববাদী ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে। তিনি শিক্ষানীতি ও শিক্ষাআইন বাতিলের দাবি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।