পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ডের সহ-সভাপতি বিশিষ্ট আলেমে দীন মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, কওমী মাদরাসা সনদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি কওমী সন্তানদের মৌলিক অধিকার, কারো দয়া বা অনুগ্রহ নয়। অতীতের সব সরকারই কওমী মাদরাসা নিয়ে নোংরা রাজনীতি করার চেষ্টা করেছে। বর্তমান সরকারও সে পথেই হাঁটছে। তিনি আরও বলেন, কওমী মাদরাসা সনদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নিয়ে দেশের কওমী ওলামায়ে কেরামের মাঝে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত না হলে এদেশের সহীহ ধারার ইসলামী শিক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তিনি কওমী সনদ নিয়ে রাজনীতি না করার জন্যে সকল পক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, সরকার যদি কওমী মাদরাসার প্রতি আন্তরিক হয়, তাহলে কওমী মাদরাসায় স্বকীয়তা ও স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখেই সনদের স্বীকৃতি দিতে হবে। সনদের স্বীকৃতির নামে কওমী মাদরাসাকে নিয়ন্ত্রণের কোনো কু-মতলব মেনে নেয়া হবে না।
আজ সকালে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ডের উদ্যোগে “কওমী মাদরাসা সনদের স্বীকৃতিবিষয়ক” এক পরামর্শ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। পরামর্শ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বোর্ডের নির্বাহী সভাপতি মুফতী সৈয়দ নুরুল করীম, মহাসচিব আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের আহ্বায়ক অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ সদস্য সচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, বোর্ডের সিনিয়র প্রশিক্ষক মাওলানা আব্দুস সাত্তার হামিদী, মাওলানা মিজানুর রহমান নোমানী। সঞ্চালনায় ছিলেন সহকারী শিক্ষা সচিব মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক জেহাদী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।