বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনায় আক্রান্ত হয়ে ক্ষমতাসীন বর্তমান সরকার ভেল্টিশনে আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, সরকার করোনাভাইরাসে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত। এই সরকারের বিরুদ্ধে কি আন্দোলন করবেন? এই সরকারকে কী বা ধমক দেবেন? সরকার ভেন্টিলেশনে আছে। এই ভেন্টিলেশনটা খুইলা গেলে সরকারটা নাই। ওরা আতঙ্কে আছে, ওদের হারাবার যন্ত্রণা সারাক্ষণ, ওদের প্রাপ্তির কোনো বিষয় নাই।
বুধবার ঢাকার কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে উপজেলায় করোনা হেল্প সেন্টার ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রি বিতরণ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, তারা (সরকার) প্রতিদিন টেলিভিশনের ছোট বাক্সের মধ্যে নানা কথা বলে ওরা খুব একটা আত্মতৃপ্তি পায়। বিশেষ করে তথ্যমন্ত্রী তো তথ্যের ভান্ডার। ভবিষ্যতে তাকে যদি পুলিশি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করে যে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সরকারের ষড়যন্ত্রের দুর্নীতির অনেক তথ্য পাওয়া যাবে। দোয়া করি, তিনি বেঁচে থাকুক, বাংলাদেশের জন্য উনার প্রয়োজন হবে। আর ওবায়দুল কাদের যেটা বলেন, এটা পুঁথি পাঠের মতো।
জনগণের পাশে থাকতে বিএনপির নেয়া কর্মসূচি অব্যাহত রাখার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের এই কর্মসূচি শুরু। আমরা সময় জনগণের পাশে আছি, পাশে থাকব। আজকে দেশে যে পরিমান টাকা লুটপাট-দুর্নীতির মাধ্যমে মজুদ হয়েছে, এই আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রীরা যেই টাকা লুটপাট করছে ১২ বছরে, তার একশ ভাগের পাঁচ ভাগ টাকা খরচ করলে এই ভ্যাকসিনের সমস্যা হয় না, মানুষ না খেয়ে থাকতে পারে না।
গণমাধ্যম প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, টেলিভিশন-পত্রিকার পাতায় মিথ্যা কথা লিখলে জনগণ কী এটা সত্য ভাবে? জনগণ সরাসরি আক্রান্ত। সেই আক্রান্তের কথা না উঠে যদি বলা হয়-জনগষ নিরাপদ। তাহলে এটা জনগণের কাছে বিরুপ প্রতিক্রিয়া হবে। একটা সময় আসবে এই সরকারের তোষণ করতে করতে এই মিডিয়া কিন্তু জনগণ দেখবেন না, পত্রিকা পড়বে না। এখনো দেশের শতকরা ৮০ জন যুবক-কিশোর এবং মাঝ বয়সী বাংলাদেশের চ্যানেল খুলে না। ইন্ডিয়ান চ্যানেল দেখে, ওই স্টার জলসা দেখে, স্টার প্লাস দেখে, স্টার মুভি দেখে। কেনো দেখে? কারণ ওখানে বিনোদন আছে, বিনোদন দেখে। আর আমাদের এখাকার বিনোদন হলো মিথ্যা কথার বিনোদন, মিথ্যা কথা শুনে তখন সুস্থ লোকও অসুস্থ হয়ে যায়।
পরীমনিরা পাবলিক সাবজেক্ট নয় মন্তব্য করে গয়েশ্বর বলেন, এখানে মিডিয়া-পত্রিকা বড় বড় বিষয় রেখে কখনো পরীমনি, কখনো খুকু মনি- এসব নিয়ে বাজার মাত করে। এগুলো তো পাবলিকের সাবজেক্ট না। আর যেসব কথা পরীমনিরা বলে, এসব কথা প্রকাশ পেলে এরা (ক্ষমতাসীনরা) তো বোরকা পরার সময় পাবে না। এগুলো রাজায় রাজায় দ্ব›দ্ব, ভৃত্যে ভৃত্যে দ্ব›দ্ব। তাদের দ্ব›েদ্বর ফাঁক দিইয়া পরীমনিরা বের হয়ে যায় মাঝে মধ্যে মিডিয়ার মাধ্যমে একটা বাজার মাত করে সাধারণ মানুষকে। কিন্তু ওইটা আমার পেটের খোরাক দেবেনা, আমার রাজনীতির খোরাকও দেবে না।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, করোনায় আক্রান্ত রোগীরা আধুনিক চিকিৎসা পাচ্ছে না। কিছু বেসরকারি হাসপাতালে আধুনিক চিকিৎসা সেবা থাকলেও সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নাই। মফস্বলের অবস্থা আরো ভয়াবহ। না আছে ঔষধ, না আছে ডাক্তার। যেখানে গড়ে প্রতিদিন আড়াইশ জনের বেশি লোক যারা যাচ্ছে বলে সরকারই বলছে। গ্রামে গঞ্জে যারা মারা যাচ্ছে তাদের তো হিসাবই নাই। একবার লকডাউন দেয়, আরেকবার উঠিয়ে নেয়। আজকে মানুষের জীবন-জীবিকাকে তারা বিপন্ন করে দিয়েছে। জনগণের প্রতি তাদের ন্যূনতম দায়বদ্ধতা নেই বলে সরকার যখন যা খুশি তাই করছে।
কেরানীগঞ্জের সভানেত্রী অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দেদ আলী বাবুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে দলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন মাস্টার প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।