Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে রো রো ফেরি চালু

শুরু হয়েছে সীমিত আকারে ভারী যানবাহন পারাপার

লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ আগস্ট, ২০২১, ১:২৯ পিএম | আপডেট : ৫:৪৫ পিএম, ১১ আগস্ট, ২০২১

করোনা সংক্রমণ রোধে দেশব্যাপী বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার প্রথম দিনে বুধবার মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া বাংলাবাজার নৌরুটে যাত্রীদের সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।

স্বাস্থ্যবিধি মানাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মাইকিং করলেও অনেককে তা মানতে দেখা যায়নি। গতকাল সকাল থেকে এই নৌরুটের লঞ্চ ও ফেরিগুলোতে ঢাকা ও দক্ষিণাঞ্চল উভয়মুখী অসংখ্য যাত্রীকে পার হতে দেখা দেছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে মানুষের ভিড়ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে নৌরুটে লঞ্চ ও ফেরিতে যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বেড়েছে । এ নৌরুটে সকাল থেকে ১৭টি ফেরির মধ্যে চলাচল করতে দেখা যায় ৫টি ছোট ফেরি। বিকেলে সীমিত আকারে ভারী যান পারাপারে জন্য ২টি রো রো ফেরি চালু করা হয়। এবিষয়ে (বিআইডব্লিউটিসি) ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শাফায়েত আহম্মেদ দৈনিক ইনকিলাবকে তথ্য নিশ্চিত করেন। ঘাট এলাকায় পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে শতশত যানবাহন।

ঘাট ও স্থানীয়রা জানান, করোনা মহামারির কারণে চলাচলে বিধিনিষেধ থাকায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে লঞ্চ, স্পিডবোট ও ট্রলার চলাচল বন্ধ ছিল। এ কারণে যাত্রীরা শুধু ফেরিতে পারাপার করা হচ্ছিলো। 

 লকডাউন শিথিল করায়ফেরি ও লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। ১১ আগষ্ট থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া শর্তসাপেক্ষে অফিস ও গণপরিবহনসহ সব প্রতিষ্ঠান খোলা। তাই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ রাজধানীর ঢাকাসহ বিভিন্ন দিকে যাচ্ছেন। লঞ্চ চালু থাকলেও প্রতিটি ফেরিতে করে প্রচুর যাত্রী আসছে।তবে গার্মেন্ট,শিল্প কারখানা খোলার পর কিছুদিন আগে যে চাপ ছিলো,এখনকার চাপ তার চেয়ে কিছুটা কম রয়েছে।

এদিকে পদ্মা নদীতে এখন প্রচন্ড স্রোত। স্রোত ঠেলে ফেরি চলতে দ্বিগুণের বেশি সময় লাগছে।স্রোতের কারনে ফেরি গুলো দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এসব কারণে শুধু শিমুলিয়া ঘাটেই চারশতাধিকের মত যানবাহন পারা পারের অপেক্ষায় আছে। এসব যানবাহনের মধ্যে ট্রাকের সংখ্যাই বেশি।

খোঁজ নিয়ে জানাযায়, লকডাউন শিথিল হওয়ায় লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। তবে লঞ্চের চেয়ে ফেরিতে করে যাত্রীরা পারাপার হচ্ছে। মানা হচ্ছেনা স্বাস্থ্যবিধি। ফেরিতে মাদারীপুরের শিবচরগামী নারী যাত্রী আলেয়া বেগম জানান, নদীতে স্রোত বেশি আবার বৃষ্টিতে পদ্মা উত্তাল থাকায় বাচ্চারা সাঁতার জানেনা তাই ফেরিতে যাচ্ছি।

 

শিমুলিয়া ঘাটের পার্কিংইয়ার্ডে পারাপারে  অপেক্ষায় রয়েছে পন্যবাহী ও ব্যাক্তিগত গাড়ির সারি। মাদারীপুর ঘাট থেকে আসা প্রতিটি ফেরি যাত্রী ও যানবাহনে পূর্ণ ছিল।

বাংলাদের অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশন শিমুলিয়া ঘাটের (বিআইডব্লিউটিসি) ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শাফায়েত আহম্মেদ দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, সকাল থেকে ছোট ৫টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও হাল্কা যানবাহন পারাপার করা হচ্ছিলো। বিকেলে সীমিত আকারে ২টি বড় ফেরি চালু করা হয়। বড় ২টি ফেরিসহ রুটে ৭টি ফেরি চলু রয়েছে। ঘাটে পণ্যবাহী ট্রাকসহ দুই শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় আছে।

মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ মো. জাকির হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, সকাল থেকে ভারী যানবাহন ফেরিতে চলাচল বন্ধ ছিলো এখন ৩টি বড় ফেরি চালু করা হয়েছে। ঘাটে দুইশতাধিক ছোট ও পন্যবাহী গাড়ি পারাপারে অপেক্ষায় রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শিমুলিয়া ঘাট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ