Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বুধবার থেকে সপ্তাহে ৪দিন রাজধানীর সাথে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীবাহী স্টিমার চালু করছে বিআইডব্লিউটিসি

ব্যয় সাশ্রয়ী নৌযান মেরামতের অভাবে ৩গুন ব্যয়ের নৌযানে যাত্রী পরিবহন

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১০ আগস্ট, ২০২১, ১:০৪ পিএম

করোনা মহামারীর লকডাউনের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে বুধবার রাতের প্রথম প্রহর থেকে দক্ষিনাঞ্চলের সাথে রাজধানীর নৌ যোগাযোগ পুণঃ প্রতিষ্ঠার লক্ষে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সব প্রস্তুতি শুরু করলেও রাষ্ট্রীয় নৌ-বানিজ্য প্রতিষ্ঠানটির তৎপড়তা এখনো সিমিত। দুটি নতুন ও ৪টি পুরনো প্যাডেল জাহাজ সচল থাকার পরেও বিআইডব্লিউটিসি ঢাকা থেকে চাঁদপুর বরিশাল হয়ে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ পর্যন্ত সপ্তাহে মাত্র ৪দিন ‘রকেট স্টিমার সার্ভিস’ চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এ সার্ভিসটিও চালু করা হচ্ছে ব্যায়বহুল স্ক্রু-হুইল জাহাজ ‘এমভি মধুমতি’ ও ‘এমভি বাঙালী’র সাহায্যে। এসব নৌযানে প্রতি ট্রিপে সংস্থাটিকে লোকশান গুনতে হবে ৩ লাখ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা।

করেনা মহামারীর কারনে গত বছরের মার্চ-এর মধ্যভাগ থেকে রাজধানীর সাথে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীবাহী নৌ যোগাযোগ বার বারই বন্ধ করে দিতে হচ্ছে। সর্বশেষে গত ২৭ মার্চ থেকে এসব সার্ভিস পুনরায় বন্ধ করার পর ঈদ উল আজহার সময় ৩দিন সর্ভিসটি চালু হলেও তা আবার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
তবে সরকারী নির্দেশনার আলোকে বুধবার সন্ধায় ঢাকা থেকে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে বিআইডব্লিউটিসি’ও তার কথিত রকেট স্টিমার সার্ভিসটি চালু করতে যাচ্ছে। তবে দৈনিক সার্ভিসটি চলবে সপ্তাহে ৪ দিন। সর্ভিসটি নিয়মিত পরিচালনে ৪টি নৌযানের প্রয়োজন হলেও সংস্থাটির হাতে বর্তমানে ৬টি নৌযান রয়েছে। মূলত দীর্ঘদিন মেরামত ও রক্ষণরবেক্ষন বিহীন প্যাডেল জাহাজ ‘পিএস লেপচা’ ও পিএস টার্ণ’ জাহাজ দুটি নিয়ে সংস্থার বানিজ্য ও কারিগরি পরিদপ্তর ঝুকি নিতে চাচ্ছে না। এসব নৌযানে ১৯৯৬ ও ২০০২ সালে নতুন ইঞ্জিন সংযোজনের পরে অদ্যাবধী কোন ‘মেজর ওভারহলিং’ হয়নি। এমনকি ব্যায় সাশ্রয়ী নৌযান দুটির উপরীকাঠামো এবং হালেরও কোন যথাযথ রক্ষণাবেক্ষন হয়নি গত ১৫ বছরে।
ফলে ঝড়ঝঞ্ঝার মৌসুমে বাধ্য হয়েই তিনগুন পরিচালন ব্যায়ের এমভি মধুমতি ও এমভি বাঙালী জাহাজ দুিট সপ্তাহে ৪ দিন যাত্রী পরিবহনে দিচ্ছে সংস্থাটি। এ রুটের অপর নৌযান ‘পিএস মাহসুদ’ মেরামতের নামে যাত্রী পরিবহনের বাইরে বিগত প্রায় সোয়া দু বছর। গত এপ্রিলের শেষভাগে নৌযানটি মেরামতে সংস্থার ডকইয়ার্ডে নেয়া হলেও কবে যাত্রী পরিবহনে ফিরবে তা বলতে পারছেন না কেউ।
সংস্থাটির ঐতিহ্যবাহী ‘পিএস অষ্ট্রিচ’ জাহাজটি বছর পাঁচেক আগে বিনা দরপত্রে এক ব্যাক্তিকে দীর্ঘ মেয়াদী ইজারা প্রদান করা হয় যাত্রী পরিবহন থেকে প্রত্যাহার করে। অপরদিকে রেলওয়ে থেকে ভতর্’কি মূল্যে সংগ্রহ করে প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যায় করে পূণর্বাশনের পরেও ‘এমভি সোনারগাঁ’ নামের অপর যাত্রীবাহী নৌযানটিও এক ব্যক্তি ইজারা নিয়ে রাষ্ট্রীয় অপর একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে তা ভাড়া দিয়েছেন।
সংস্থাটির জন্য আরো দুটি স্ক্রু-হুইল নৌযান তৈরীর কাজ বছর পাঁচেক আাগে শুরু হলেও কবে শেষ হবে তা বলতে পারছেন না সংস্থাটির দায়িত্বশীল মহল। অথচ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারিগড়ি বিশেষজ্ঞরে মতে, সংস্থাটির হাতে থাকা ৪টি প্যাডেল জাহাজের মূল ইঞ্জিনসমুহ ‘মেজর ওভারহলিং’ সহ এর উপরিকাঠামো ও হালসমুহ পরিপূর্ণ মেরামত করলে এসব নৌযানের সাহায্যে লোকশান এড়িয়ে আরো অন্তত ২০ বছর রাজধানীর সাথে দক্ষিণাঞ্চলের নিরাপদ যাত্রী পরিবহন সম্ভব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ