নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মেসিকে যেকোনোভাবেই হোক বার্সেলোনায় ধরে রাখবেন—বার্সেলোনার সভাপতি নির্বাচনের সময় এটাই ছিল হোয়ান লাপোর্তার অঙ্গীকার। অন্য প্রার্থীরাও লিওনেল মেসিকে ধরে রাখার ব্যাপারের আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। তবে ক্লাবের ক্ষতি হোক- এমন কিছু করবেন না বলায় তাঁদের ওপর আস্থা পাচ্ছিলেন না বার্সেলোনার সদস্যরা। ওদিকে লাপোর্তা দীপ্ত অঙ্গীকার শুনিয়েছেন, লাভ হোক কিংবা ক্ষতি- মেসিকে তিনি বার্সেলোনায় ধরে রাখবেনই! এমন অঙ্গীকার শুনে শুনে করোনা সংক্রমণের মধ্যেও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়েছেন বার্সেলোনার সদস্যরা। মেসিতে ভর করে অনায়াসে জয় পেয়েছেন লাপোর্তা। কিন্তু মার্চ মাসে দেওয়া কথা আগস্টেই ভেঙে ফেলেছেন। শত চেষ্টাতেও মেসিকে ধরে রাখা যায়নি। আনুষ্ঠানিকভাবে গতপরশু বার্সেলোনাকে বিদায় বলে দিয়েছেন মেসি।
মেসির বিদায়ের পরই বার্সেলোনাকে বিদায় বলে দিয়েছেন বোর্ডের এক কর্মকর্তা। এস্পাই বার্সা কমিশনের সদস্য জমে ইয়োপিস কাল নিজ দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন। তার ধারণা, মেসিকে যেতে দিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের ইচ্ছা প‚রণ করার সুযোগ করে দিয়েছেন লাপোর্তা।
সাদাচোখে বার্সেলোনার বর্তমান বোর্ডের কোনো দোষ নেই। কারণ, তারা মেসিকে ধরে রাখার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টাই করেছেন। একের পর এক খেলোয়াড়কে বিক্রি বা ধারে পাঠানো হয়েছে। অনেক খেলোয়াড়কে বিক্রি করার চেষ্টা করা হয়েছে। মেসিকে বুঝিয়ে তার বেতন অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে। কিন্তু এসব করেও লা লিগার বেঁধে দেওয়া বেতনকাঠামোর নির্ধারিত সীমার নিচে নামতে পারেনি বার্সার বেতন।
সাবেক সভাপতি জোসেফ মারিয়া বার্তোমেউ ও তার বোর্ড দলবদলের বাজারে একের পর এক বাজে বিনিয়োগ করে ক্লাবের এমন দশা করেছেন বলেই মেসিকে ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে বার্সেলোনা। এতে তাই বর্তমান বোর্ডের দোষ দেওয়ার উপায় নেই। কিন্তু বার্সেলোনার স্টেডিয়াম ও মাঠের পুনঃনির্মাণ প্রকল্প এস্পাই বার্সার সঙ্গে জড়িত ইয়োপিসের কাছে লাপোর্তাও কম দায়ী নন। কারণ, আর সব সাধারণ কিউলের (বার্সা সমর্থকদের ডাক নাম) ইয়োপিসও বিশ্বাস করেছিলেন নির্বাচিত হলে অঙ্গীকারমতো মেসিকে ক্লাব ছাড়তে দেবেন না লাপোর্তা।
নাভারা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইএসই ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের প্রফেসর ইয়োপিস খুবই হতাশ হয়েছেন লাপোর্তার ওপর। এক খোলা চিঠিতে নিজের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। বলেছেন, মেসিকে চলে যেতে দিয়ে তিনি রিয়াল মাদ্রিদকে সহযোগিতা করেছেন। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও কৌশল বিশেষজ্ঞ ইয়োপিসের ধারণা, রিয়াল মাদ্রিদ সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছেন লাপোর্তা। চাইলে নাকি মেসিকে ধরে রাখার ব্যাপারে আরও চেষ্টা করতে পারত বার্সেলোনা।
হোয়ান লাপোর্তাকে উদ্দেশ করে লেখা ইয়োপিসের সে চিঠিটা নিম্নরূপ:
‘প্রিয় ইয়ান,
তুমি আমাকে হতাশ করেছ। আমি ভেবেছিলাম ফ্লোরেন্তিনোর যোগ্য প্রতিপক্ষ হওয়ার ক্ষমতা শুধু তোমার আছে। আমার কাছে অত তথ্য নেই, কিন্তু মেসিকে ধরে রাখার ব্যাপারে আরও চেষ্টা করা যেত। আরও অনেক পথ খোলা ছিল। মেসি বার্সেলোনার ইতিহাসেরই গুরুত্বপূর্ণ এক অংশ।
সুপার লিগ শুরু হলে দেখব (মেসিকে ছেড়ে দেওয়াটা যৌক্তিক ছিল কি না)। কিন্তু এ সিদ্ধান্তের ফলে পিএসজির শক্তি বাড়ানো হলো (মেসি যোগ দিচ্ছেন পিএসজিতে) এবং এমবাপ্পেরও মাদ্রিদে (রিয়াল) যাওয়ার পথ সহজ করে দেওয়া হলো। এটাই তো ফ্লোরেন্তিনোর নিখুঁত পরিকল্পনা। ইতিহাস তোমাকে মনে রাখবে মেসিকে ছাঁটাই করা সভাপতি হিসেবে।
আমাকে এস্পাই বার্সা কমিশনে যুক্ত হওয়ার মতো যোগ্য মনে করার জন্য ধন্যবাদ এবং যদিও আনুষ্ঠানিক কোনো নিয়োগ বা দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। আমার ধারণা, আমি ইতিবাচক কিছুই দিয়েছি। কিন্তু এখন আমার পদত্যাগ করার সময় এসেছে। কারণ, আমার স্বাধীন মত প্রকাশ করা দরকার।
তোমার সৌভাগ্য কামনা করি।
বার্সেলোনা দীর্ঘজীবী হোক। কাতালুনিয়া দীর্ঘজীবী হোক।’
ইয়োপিস
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।