নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নেপাল নয়, সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের স্বাগতিক দেশ হলো মালদ্বীপ। আগামী ১ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে অনুষ্ঠিত হবে দক্ষিণ এশিয়া ফুটবলে বিশ্বকাপ খ্যাত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের খেলা। গতকাল সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের (সাফ) নির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর আগে সাফের স্বাগতিক হওয়ার জন্য নেপাল ও মালদ্বীপ দু’দেশই আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। সাফের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবনাও দিয়েছিল দুই দেশের ফুটবল ফেডারেশন। সেই প্রস্তাবনার ভিত্তিতে পর্যালোচনা করে মালদ্বীপকেই আসন্ন সাফের স্বাগতিক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। সর্বসম্মতিক্রমেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে ভার্চুয়াল সভা শেষে সাফ সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল জানান। তিনি আরো জানান, মালদ্বীপ সাফের স্বাগতিক নির্বাচিত হওয়ায় তাদেরকে স্বাগত জানিয়েছে নেপাল।
মালদ্বীপ ২০০৮ সালে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে সাফের আয়োজক ছিল। ফলে এককভাবে এটাই হবে মালদ্বীপের প্রথম সাফ আয়োজন। এছাড়া চলতি মাসের আগস্টে এএফসি কাপের দক্ষিণ এশিয়ান পর্বের স্বাগতিকও হয়েছে দেশটি। মালেতে টুর্নামেন্ট আয়োজন সম্পর্কে সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘মালদ্বীপে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার খুবই কম (প্রতিদিন ১৫০-২৫০ জন)। পাশাপাশি তাদের ভ্যাক্সিনেশনের হার খুব বেশি। সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশ ভ্যাক্সিনেটেড হয়ে যাবে বলে জানা গেছে। মূলত নেপালের তুলনায় মালদ্বীপের করোনা পরিস্থিতি ভালো। এজন্য সভায় সবার সম্মতিতে মালদ্বীপকেই বেছে নেয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় এএফসি কাপের দক্ষিণ এশিয়ার পর্বের স্বাগতিক হচ্ছে মালদ্বীপ। এ আসরে স্বাগতিক মালদ্বীপের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও ভারতের ক্লাবও খেলবে। তাই সাফের আয়োজন তারা করলে ভাল হবে।’
এদিকে শুরুতে সাফে খেলতে অপারগতা প্রকাশ করলেও এখন সিদ্ধান্ত বদলেছে ভূটান। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে তিন দিন সময় চেয়েছে তারা। সূত্রে জানা গেছে, ভূটান ফুটবল ফেডারেশন তাদের সরকারের কাছে মালদ্বীপে সাফ খেলার ব্যাপারে অনুমতি চাইবে। হেলাল আরো বলেন, ‘ভূটানকে সাফের পক্ষ থেকে তিন দিনের সময় দেয়া হয়েছে। এই তিন দিনের মধ্যে তারা তাদের অবস্থান আমাদের জানাবে।’ শেষ পর্যন্ত ভূটান সাফ খেলতে সম্মত হলে এবার ছয় দলকে নিয়ে টুর্নামেন্ট মাঠে গড়াবে। তখন তিনটি করে দল দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে। ভূটান যদি আগের অবস্থানেই থাকে সেক্ষেত্রে পাঁচ দলের সাফ রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে হবে। প্রত্যেকটি দল চারটি করে ম্যাচ খেলবে। শীর্ষ দুই দল ফাইনালে মুখোমুখি হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে এবারের সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ বাংলাদেশের হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের বিস্তার সেটি হতে দেয়নি। সাফের গত ১২টি আসরের তিনটির আয়োজক ছিল বাংলাদেশ। ২০০৩ সালে ঢাকায় প্রথম আয়োজন করে প্রথম ও শেষবার শিরোপা জিতেছিল লাল-সবুজরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।