নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মঞ্চ ছিল দারুণ লড়াইয়ের। ভারতের দিকে পাল্লা হেলে থাকলেও চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছিল ইংল্যান্ডও। শেষ দিনের এমন উত্তেজনা ঠান্ডা হয়ে গেল বৃষ্টির জলে। পঞ্চম দিনে হতে পারল না এক বলও। বেরসিক বৃষ্টির বাগড়ায় বাধ্য হয়ে ড্র মেনে নিতে হয়েছে দুদলকে। গতপরশু নটিংহ্যামে সকাল থেকেই ঝরতে থাকে বৃষ্টি। বার কয়েক তীব্রতা কমে এলেও ট্রেন্ট ব্রিজের মাঠে খেলা শুরুর পরিস্থিতি তৈরি করা যায়নি। বিকেল থেকে আরেক দফা বৃষ্টির মাত্রা বেড়ে গেলে সব সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়। ভারত-ইংল্যান্ডের পাঁচ টেস্টের প্রথমটি তাই থাকল অমীমাংসিত। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট লর্ডসে, আগামী বৃহস্পতিবার থেকে।
চতুর্থ দিনে লড়াই হয়েছিল জম্পেশ লড়াই। ৯৫ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে অধিনায়ক জো রুটের সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ড করে ৩০৩ রান। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৪ রানে ৫ উইকেট তুলে ভারতের নায়ক বনে জাসপ্রিট বুমরাহ।
ম্যাচ জিততে ২০৯ রানের লক্ষ্য পাওয়া ভারত দিন শেষে ১ উইকেটে তুলে ৫২ রান। শেষ দিনে ম্যাচ জিততে ভারতের দরকার ছিল ১৫৭ রান, ইংল্যান্ডের ৯ উইকেট। সম্ভাবনার পাল্লা ভারতের দিকে কিছুটা হেলে থাকলেও কন্ডিশন বলছিল সবই সম্ভব। কিন্তু সব সম্ভাবনা শেষ পর্যন্ত ধুয়ে-মুছে গেল বৃষ্টিতে।
এর পর থেকেই দু’দলে চলছে আক্ষেপ আর স্বস্তির হিসাব-নিকাশ। কাদের সুযোগ ফসকে গেল আর কারা বেঁচে গেলেন। ম্যাচের প্রেক্ষাপটে হাহাকারটা ভারতের ড্রেসিং রুমেই বেশি থাকার কথা। কিন্তু জো রুট তা মানতে নারাজ। ইংল্যান্ড অধিনায়কের বিশ্বাস, শেষ দিনে ৪০ ওভারই তাদের জন্য যথেষ্ট ছিল ভারতকে হারাতে।
উইকেট যদিও পেস সহায়ক ছিল, তবু ম্যাচের গতিপথ অনুযায়ী শেষ দিনে এগিয়ে ছিল ভারতই। তবে ম্যাচ শেষে রুট বললেন, নিজেদের সম্ভাবনা তারা প্রবলভাবেই দেখছিলেন, ‘আমাদের দিক থেকে, এক পর্যায়ে আমাদের মনে হয়েছে, ৪০ ওভারও যদি পাই, এই উইকেটে ৯টি সুযোগ আমরা তৈরি করতে পারব। শেষ দিনে ভারত চালকের আসনের ছিল না, এটি বললে অবশ্যই মিথ্যে বলা হবে। তবে আমরা জানতাম, এই ধরনের পিচে গোটা দুই উইকেট পেলেই খেলা পুরো ঘুরে যেতে পারে। পঞ্চম দিনে রান তাড়ার চাপে সবকিছু দ্রুতই আমাদের পক্ষে আসতে পারত এবং আমরা অবশ্যই বিশ্বাস করেছি, ৯টি সুযোগ তৈরি করতে পারব। সব দিক মিলিয়ে চিন্তা করলে তাই, আবহাওয়া আসলে আমাদের কাছ থেকে রোমাঞ্চকর একটি দিন কেড়ে নিয়েছে, যা কিছুটা হতাশার।’
বিরাট কোহলির কণ্ঠে স্বাভাবিকভাবেই ফুটে উঠল আক্ষেপের সুর। ভারতীয় অধিনায়কের মতে, জয়ের অনেকটা কাছাকাছিই ছিল তার দল, ‘এটা হতাশার। ম্যাচের তৃতীয় ও চতুর্থ দিনে বৃষ্টি হবে বলে ধারণা ছিল আমাদের। কিন্তু বৃষ্টি এলো পঞ্চম দিনে। আমার মনে হয়, লক্ষ্য তাড়ার পথে খুব ভালো অবস্থানে ছিলাম আমরা। এটাই আমাদের চাওয়া ছিল, সিরিজের শুরুটা ভালো করা। পঞ্চম দিনে সুযোগটা ঠিক আমাদের সামনেই ছিল। ১৫০ রানের মতো ছিল আর, একটি ভালো জুটিতেই কাজ হয়ে যেত। অবশ্যই আমরা মনে করি যে আমরা অনেক এগিয়ে ছিলাম। আমরা ভালো বোলিং করেছি, ভালো ব্যাটিং করেছি, যা আমাদের লড়াইয়ে রেখেছে।’
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড : ১৮৩ ও দ্বিতীয় ইনিংস : ৩০৩।
ভারত : ২৭৮ ও দ্বিতীয় ইনিংস : (লক্ষ্য ২০৯) (আগের দিন ৫২/১) (রোহিত ১২*, পুজারা ১২*; অ্যান্ডারসন ০/১২, ব্রড ১/১৮, রবিনসন ০/২১)।
ফল : ম্যাচ ড্র।
সিরিজ : ৫ ম্যাচের সিরিজ ০-০’য় সমতা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।