মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটার সমর্থনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে ৫ পয়েন্ট এগিয়ে হিলারি ক্লিনটন। ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ও রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ট্রাম্পের মধ্যকার গত সোমবারের বিতর্কের পর হিলারির প্রতি সমর্থন কিছুটা বেড়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও জরিপ সংস্থা ইপসোস পরিচালিত ২৩-২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মতামত জরিপে দেখা যাচ্ছে, হিলারি প্রতি ভোটার সমর্থন এখন ৪৩ শতাংশ, যেখানে ট্রাম্পের দিকে রয়েছে ৩৮ শতাংশ। স্পষ্ট ব্যবধানে ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে আছেন হিলারি। এ জরিপের ফলে বলা হয়েছে, উভয় প্রার্থীর কাউকে এখনো সমর্থন করেন নাÑ এমন ভোটার রয়েছে ১৯ শতাংশ। এদের দোদুল্যমান ভোটার বলা হয়। নির্বাচনে এসব ভোটাররা মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন। রয়টার্স-ইপসোসের জরিপের ফলাফল প্রকাশিত হয় গত শুক্রবার। এ বছর পরিচালিত সব জরিপেই এগিয়ে আছেন হিলারি। গত চার সপ্তাহে পরিচালিত জরিপগুলোতে দেখা গেছে, ট্রাম্পের চেয়ে ৪-৫ শতাংশ ভোটারসমর্থন বেশি রয়েছে হিলারির দিকে। প্রধান দুই দলসহ বিকল্প দলগুলোর প্রার্থীদের নিয়ে পরিচালিত জরিপে দেখা যাচ্ছে, ট্রাম্পের চেয়ে হিলারি এগিয়ে আছেন ৪ শতাংশ সমর্থন বেশি নিয়ে। এ ক্ষেত্রে হিলারি ৪২ শতাংশ, ট্রাম্প ৩৮ শতাংশ, লিবার্টিয়ান পার্টির প্রার্থী গ্যারি জনসন ৭ শতাংশ এবং গ্রিন পার্টির প্রার্থী জিল স্টেইন ৩ শতাংশ ভোটার সমর্থন পাচ্ছেন। হিলারি-ট্রাম্পের বিতর্ক দেখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১০ কোটি মানুষ। তবে রয়টার্স বলছে, এ সংখ্যা ৮ কোটি ৪০ লাখ। প্রাপ্তবয়স্ক দর্শকদের মধ্যে ৫৬ শতাংশ বলেছেন, এ বিতর্কে হিলারি জয়ী হয়েছেন। দুই প্রার্থী বিতর্কমঞ্চে ছিলেন ৯০ মিনিট। রয়টার্স-ইপসোস যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্যে ২ হাজার ৫০১ জন ভোটারের ওপর এ জরিপ চালিয়েছে। তাদের মতে, জরিপের ফল প্রকৃত অবস্থার চেয়ে ২ শতাংশ কম-বেশি হতে পারে।
এদিকে, গত বুধবার তরুণ ও যুবকদের সঙ্গে কথা বলে সারাদিন কাটালেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। লক্ষ্য, ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সী ‘মিলেনিয়াল’ নামে পরিচিত এই ভোটারদের বোঝানো যে নিজেদের স্বার্থেই তাঁদের উচিত হবে হিলারির বাক্সে ভোট দেয়া। প্রথম নির্বাচনী বিতর্কে বিজয়ী হলেও ৮ নভেম্বরের নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটন জিতবেন, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এই মুহূর্তে তাঁর ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে জনসমর্থন কার্যত সমান। জিততে হলে উভয়কেই স্বতন্ত্র ও ‘এখনো সিদ্ধান্ত নেননি এমন ভোটারদের নিজ তাঁবুতে টেনে আনতে হবে। সে কারণেই বুধবার হিলারি গিয়েছিলেন নিউ হ্যাম্পশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে। সঙ্গে ছিলেন ভারমন্টের স্বতন্ত্র সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। বারাক ওবামা পরপর দুবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতেছিলেন এই মিলেনিয়াল ভোটারদের একচেটিয়া সমর্থনে। কিন্তু হিলারির ব্যাপারে তাঁরা এখনো কিছুটা অনীহ। তাঁদের ধারণা, হিলারি অতিমাত্রায় পেশাদার রাজনীতিক, ওয়াল স্ট্রিটের ধনকুবেরদের সঙ্গে তাঁর বড় বেশি দহরম-মহরম, বৈদেশিক নীতির ব্যাপারে তিনি অতিমাত্রায় যুদ্ধংদেহী। বামঘেঁষা স্যান্ডার্সের ঠিক বিপরীত। হিলারির জন্য সবচেয়ে ভয়ের কথা, মিলেনিয়াল ভোটারদের এক বড় অংশ প্রতিবাদ হিসেবে লিবার্টারিয়ান দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী গ্যারি জনসনকে ভোট দেয়ার কথা বলছেন। মুখ্যত তাঁদের সমর্থনেই জনসনের জাতীয় পর্যায়ে জনসমর্থন প্রায় ১১ শতাংশ। অন্য তৃতীয় দলীয় প্রার্থী গ্রিন পার্টির জিলস্টাইনও ৬-৭ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পাচ্ছেন। কোনো কোনো অঙ্গরাজ্যে এই দুই প্রার্থী মোট ভোটের প্রায় ২০ শতাংশ কেড়ে নিচ্ছেন। ফ্লোরিডা বা নিউ হ্যাম্পশায়ারে এমন ঘটনা ঘটলে হিলারির জন্য তা বিপদ ডেকে আনতে পারে। রয়টার্স, বিজনেস ইনসাইডার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।