পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মন্ত্রিসভা বৈঠকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিসভা বৈঠক। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এতে যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আর মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা যোগ দেন সচিবালয় থেকে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বৈঠকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। এটা শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানাবে। উনারা এটা নিয়ে আলোচনা করছে কীভাবে কী করা যায়। আগে তো ভ্যাকসিনেশন তারা জোরদার করছে। যাতে ছাত্রদেরও ভ্যাকসিন দিয়ে দেওয়া যায়। তারপরে দেখা যাক। এ বিষয়ে পরে উনারা আপনাদের ব্রিফ করবে।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সাধারণ মানুষকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনকে আরও উৎসাহিত করতে ৬ অক্টোবরকে ‘জাতীয় জন্ম নিবন্ধন দিবস’-এর পরিবর্তে ‘জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। দিবসটি উদযাপনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারিকার এতদ্বিষয়ক পরিপত্রের ‘গ’ ক্রমিকে অন্তর্ভুক্তকরণের প্রস্তাব অনুমোদন হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রস্তাবটি অনুমোদনের কারণ ব্যাখ্যায় সচিব বলেন, এসজিজির একটা লক্ষ্যমাত্রা আছে যে, ২০৩০ সালের মধ্যে আমাদের ৮০ শতাংশ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কমপ্লিট করতে হবে। ওয়ান অব দ্য টার্গেট।
সাধারণ মানুষকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে উৎসাহিত করার লক্ষ্য নিয়ে এ সিদ্ধান্ত বলেও জানান খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪ এর ৮ ধারা অনুযায়ী শিশু জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধন এবং কোনও ব্যক্তির মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে মৃত্যু নিবন্ধন করতে হবে। এটাকে আরও ইফেক্টিভ করার জন্য দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। যাতে সাধারণ মানুষ আরও উদ্বুদ্ধ হয়।
সচিব বলেন, এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ক্যাবিনেটকে একটা ইনিশিয়েটিভ নিয়ে একটা কোঅর্ডিনেশন যেন করা হয়। সিটি করপোরেশন ও ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব হলো জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করা। ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম-মৃত্যু রেজিস্ট্রারও আছে বলেও জানান তিনি।
ভ্যাকসিনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী সেদিন বৈঠক শেষে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। হেলথ মিনিস্ট্রি এ বিষয়ে আপনাদের ব্রিফ করবে। এটা আজকের মিটিংয়ে আলোচনা হয়নি।
বিধিনিষেধের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিনোদন কেন্দ্র এবং গ্যাদারিংয়ের পারমিশন দেওয়া হয়নি। অর্ধেক গণপরিবহন চলাচলের বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব বলেন, আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সাজেশন দেওয়া হয়েছে অন্তত কিছুদিন আপনারা এটা করে দেন। জেলা পর্যায়ে ডিসি, এসপি, পরিবহন মালিক শ্রমিকদের সঙ্গে বসে ঠিক করে দেবে, যতগুলো বাস আছে অর্ধেক আজকে চলবে, পরের দিন বাকি অর্ধেক চলবে। তিনি বলেন, এটা মেইনলি আন্তঃজেলা বাসের জন্য। বাইরে থেকে কম সংখ্যক বাস যাতে আসে। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রসাশক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, শ্রমিক ইউনিয়নের মালিক শ্রমিক যারা আছে তারা বসে সিদ্ধান্ত নেবে। তারা একটা পদ্ধতি বের করবে। বেইজিংয়ে আমি দেখেছি এমন।
অর্ধেক বাস চলার ফলে আরেও বেশি সমস্যা তৈরি হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, একঙ্গে বেশি গাড়ি যেন ঢাকা বা চট্টগ্রামের দিকে না ঢোকে। এটা লোকাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সিদ্ধান্ত নেবে। সিটির ক্ষেত্রেও মেট্রোপলিটন পুলিশ ও মালিক সমিতি সিদ্ধান্ত নেবে। কোনও কিছু ভায়োলেশন হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। সবকিছু আমরা লোকাল অ্যামিনিস্ট্রেশনের ওপর ছেড়ে দিয়েছি।
এছাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০২১ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এককালীন চাঁদা দিয়ে প্রাথমিকের শিক্ষকদের এই ট্রাস্টের সদস্য হতে হয়। এরপর শিক্ষকদের পাশাপাশি তাদের পোষ্যরা এখান থেকে সুবিধা পান। কোনো শিক্ষক মারা গেলে তার নাবালক, প্রতিবন্ধী বা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন সন্তানেরা এই ট্রাস্ট থেকে সহায়তা পাবেন।
সরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি অনুদান হিসেবে কিছু দিলে ট্রাস্ট তা গ্রহণ করতে পারবেন। বিধি দিয়ে বিষয়গুলো নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এর ভাইস চেয়ারম্যান হবেন। ট্রাস্টি বোর্ডে আটজন তিন বছরের জন্য দায়িত্বে থাকবেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হবেন ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।