মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নিয়ন্ত্রণরেখা দিয়ে ‘সন্ত্রাসীদের’ অনুপ্রবেশের ভারতীয় অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। এরই মধ্যে ভারতীয় মিডিয়া সেখানকার একজন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, দখলীকৃত কাশ্মীরে পাকিস্তান থেকে অনুপ্রবেশের জন্য লঞ্চপ্যাডে অপেক্ষা করছে সন্ত্রাসীরা। ভারতীয় মিডিয়ার এ রিপোর্টকে প্রত্যাখ্যান করে রোববার তাকে ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জাহিদ হাফিজ চৌধুরী। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন। তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রণরেখা দিয়ে তথাকথিত সন্ত্রাসীদেরকে অনুপ্রবেশ করাতে চাইছে পাকিস্তান- এ অভিযোগকে ভিত্তিহীন হিসেবে আমরা স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করি। এ সপ্তাহের শুরুর দিকে ভারতের অনলাইন দ্য হিন্দু একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। তাতে অজ্ঞাত একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করা হয়। তিনি বলেছেন, জম্মু ও কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের জন্য ১৪০ সন্ত্রাসী লঞ্চপ্যাডে অপেক্ষা করছে। তারা নিয়ন্ত্রণরেখা দিয়ে সন্ত্রাসীদের অবকাঠামোগুলোতে প্রবেশের জন্যও অপেক্ষায় আছে। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়, কিন্তু অনুপ্রবেশ বিরোধী ভারতীয় তৎপরতায় তাদের এসব উদ্যোগকে এখন পর্যন্ত থামিয়ে রাখা হয়েছে। আগেও এসব সন্ত্রাসী চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাদের এই ঘৃণ্য চেষ্টা সচেতন জওয়ানরা ব্যর্থ করে দেয়ার পর তারা ফিরে গেছে। রোববার জাহিদ হাফিজ চৌধুরী তার বিবৃতিতে বলেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের অপপ্রচার সবার জানা এবং গত বছর তার পুরোটাই প্রকাশিত হয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ডিসইনফোল্যাব দ্বারা। তারা তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ‘ইন্ডিয়ান ক্রনিকলস’ নামে। ব্রাসেলসভিত্তিক ইইউ ডিসইনফোল্যাব ভারতের স্বার্থে ৬৫টি দেশে কাজ করছে এমন ২৬৫টি সুসংগঠিত ভুয়া মিডিয়া আউটলেটের এক বিশাল নেটওয়ার্কের সন্ধান পায়। এর সঙ্গে যুক্ত বহুবিধ থিংকট্যাংক এবং এনজিও। এই নেটওয়ার্ক ব্রাসেলস এবং জেনেভায় সক্রিয়। তারা এমন সব কন্টেন্ট তৈরি করছে, যার প্রাথমিক উদ্দেশ্য থাকে পাকিস্তানকে হেয় করা। বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি আছে এমন এলাকার মধ্যে অন্যতম ভারতের অবৈধ দখল করা জম্মু ও কাশ্মীর (আইআইওজেকে)। সেখানে কমপক্ষে ৯ লাখ ভারতীয় নিরাপত্তা রক্ষাকারীর উপস্থিতি আছে। আইআইওজেকে’তে নিয়ন্ত্রণরেখা দিয়ে কথিত অনুপ্রবেশের সব পথকে অসম্ভব করে ফেলেছে ভারত। এ জন্য তারা বহু স্তর বিশিষ্ট বেড়া নির্মাণ করেছে। স্থাপন করেছে নজরদারি ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম। বহু স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে। ফলে এমন অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। জাহিদ হাফিজ চৌধুরী আরও বলেন, পক্ষান্তরে দখল করা কাশ্মীরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে লিপ্ত ভারত। এর মধ্যে জুনে লাহোরের জোহর শহরে বোমা বিস্ফোরণ উল্লেখযোগ্য। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র আরো বলেন, ২০২০ সাল থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সন্ত্রাস বিষয়ক সহায়তা, প্ররোচণা এবং রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট অর্থায়নের বিষয়ে ডকুমেন্ট আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে উপস্থাপন করেছে পাকিস্তান। এ বছরের শুরুর দিকে দুই দেশ নিজেদের মধ্যে নিয়ন্ত্রণরেখায় ২০০৩ সালের অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়। সে বিষয়ের উল্লেখ করে জাহিদ হাফিজ চৌধুরী বলেন, আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা এবং কাশ্মীরের জনগণের জীবন রক্ষার স্বার্থে এমন চুক্তি হয়েছিল। তাই কথিত সন্ত্রাসীদের অনুপ্রবেশের মতো ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর অভিযোগ তোলা অবশ্যই উচিত নয় ভারতের। অস্ত্রবিরতি বানচালের কোনোরকম অজুহাত হিসেবে এসব অভিযোগ করা হয়ে থাকতে পারে। এমন মিথ্যাচার থেকে অবশ্যই ভারতের বিরত থাকা উচিত। মিথ্যা ফ্লাগ অপারেশনের প্রেক্ষাপট থেকে বিরত থাকা উচিত। এমন দায়িত্বহীন কর্মকান্ড শুধুই আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তাকে খর্ব করবে। ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।