কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে রাজধানীতে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে ঢাকামুখী যাত্রীদের ঢল নেমেছে। আজ রোববার (৮জুলাই) সকাল থেকে ঘাটে ঢাকামুখী যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। পোশাক কারখানাসহ শিল্পপ্রতিষ্ঠান চালু হওয়ায় কর্মরত এবং কাজের সন্ধানে এখনো ঢাকা যাচ্ছে মানুষ। ঘাটে লঞ্চ বন্ধ থাকায় ফেরিতে রয়েছে উপচে পড়া ভিড়। দুপুরের পর থেকে ঢাকামুখী মানুষের চাপ বাড়তে থাকে। বাংলাবাজার ঘাট থেকে আসা ফেরিগুলোতে গাদাগাদি করে নদী পার হয়ে শিমুলিয়া আসছে হাজার হাজার মানুষ। ফেরিতে আসা যাত্রীর অনেকের মুখে মাস্ক নেই, ছিলোনা স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব।
অন্যদিকে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় স্রোতের গতিও বৃদ্ধি পেয়ে ফেরি পারাপারে দীর্ঘ সময় লাগছে।
রোববার সকাল থেকে এ নৌরুটে ১০টি ফেরি চলাচল করছে। এসব ফেরিতে যানবাহনের পাশাপাশি পার হতে দেখা গেছে রাজধানী ঢাকামুখী শতশত যাত্রী ।
এদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় জরুরি প্রয়োজনে কর্মস্থলে ফেরা মানুষদের গন্তব্যে পৌঁছাতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। বিভিন্ন যানবাহন পরিবর্তন করে ভেঙ্গে ভেঙ্গে ঘাটে পৌঁছাচ্ছেন তারা। এতে ভোগান্তির পাশাপাশি গুনতে হচ্ছে তিনগুণ-চারগুণ বেশি ভাড়া।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহাম্মেদ দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, রুটে ১০টি ফেরি চলাচল করছে। শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজারগামী যাত্রীর চাপ নেই তবে বাংলাবাজার ঘাট থেকে আসা ফেরিতে যাত্রীর চাপ রয়েছে।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ মো. জাকির হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, ঘাটে দুইশতাধিক ছোট-বড় যানবাহন ও পন্যবাহী গাড়ি পারাপারে অপেক্ষায় আছে।