মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তুরস্ক সফররত লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ দেবেহ-এর সঙ্গে বৈঠক করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। গতকাল শনিবার ইস্তাম্বুলের বাহদেত্তিন ম্যানশনে এ রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে জানিয়েছে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রুদ্ধদ্বার বৈঠকে দুই নেতা প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে কথা বলেন। পরে উভয় দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে আয়োজিত এক বৈঠকে অংশ নেন তারা। এতে দেশ দুটির উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
গত কয়েক বছরে লিবিয়ার সঙ্গে তুরস্কের সখ্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তুরস্ক এবং লিবিয়ার সম্পর্ক প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকেও লিবিয়া উসমানীয় খেলাফতের অধীনেই ছিল। কিন্তু কখনোই লিবিয়ার সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক খুব খারাপ ছিল না।
শুধুমাত্র গাদ্দাফির পতনের পূর্বে লিবিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ ছিল। তবে ২০১৯ সালের শুরুর দিকে তুরস্কের সঙ্গে লিবিয়ার সম্পর্ক আবার পুর্নপ্রতিষ্ঠিত হয়।
লিবিয়ায় তখন চলছিল প্রচণ্ড রকম গৃহযুদ্ধ। একদিকে রাশিয়া, আরব আমিরাত, মিশর ফ্রান্স ও গ্রীসের সমর্থিত সন্ত্রাসী হাফতারের বাহিনী অন্যদিকে রাজধানী ত্রিপলিতে অবস্থিত জাতিসংঘ স্বীকৃত সরকার।
যুদ্ধে ত্রিপোলি ভিত্তিক আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার এত কোণঠাসা হয়ে পড়ে যে খলিফা হাফতারের সন্ত্রাসী গ্রুপের কাছে পতন ছিল মাত্র সময়ের ব্যাপার। সেই সময়ে জাতিসংঘের স্বীকৃত সরকারটি বিভিন্ন দেশের কাছে সামরিক সহযোগিতার আবেদন করে। কিন্তু কেউ তাকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসেনি; বরং দেশটির ওপর জারি করা হয় অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা।
বিশ্বের বড় বড় দেশ যেমন ফ্রান্স, রাশিয়া, আমেরিকা, আরব আমিরাত, মিসর এবং গ্রিস লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে ঘাঁটি গেঁড়ে থাকা খলিফা হাফতারকে অস্ত্রশস্ত্র এবং বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করে।
ঠিক ওই সময় পতনের দ্বারপ্রান্তে থাকা লিবিয়ার এই বৈধ সরকারকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তুরস্ক। সূত্র : ডেইলি সাবাহ
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।