বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গণটিকা দানের প্রথম দিনে শনিবার (৭ আগস্ট) গোপালগঞ্জে শতভাগের বেশি লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। সিভিল সার্জন অফিস এ দিন গোপালগঞ্জ জেলায় ৪৩ হাজার ২ শ’ জনকে টিকা দানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। কিন্তু টিকা গ্রহন করেছেন ৪৩ হাজার ৩ শ’ ৯৮ জন। টিকা প্রয়োগের শতকরা হার ১০০.৪৬% বলে জানিয়েছে গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিস।
গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. এসএম সাকিবুর রহমান বলেন, গোপালগঞ্জ জেলায় আমরা ৪২ হাজার ২ শ’ জনকে টিকা দানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করি। কিন্তু টিকা নিয়েছেন ৪২ হাজার ৩ শ’৯৮ জন। টিকা গ্রহনের শতকরা হার ১০০.৪৬%। এর মধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ১২ হাজার ২ শ’ ৬ জন, গোপালগঞ্জ পৌরসভায় ১ হাজার ৯ শ’ ৬৮ জন, টুঙ্গিপাড়ায় ৩ হাজার জন, কোটালীপাড়ায় ৭ হাজার ২ শ’ ৭৮ জন, কাশিয়ানীতে ৮ হাজার ৩ শ’ ৯৮ জন, মুকসুদপুরে ১০ হাজার ১ শ’৫২ জন টিকা নিয়েছেন।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, গণটিকা কার্যক্রম সফল করতে স্বাস্থ্যবিভাগের পাশাপাশি পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠন, আনসার-গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, স্বেচ্ছাসেবক সহ বিভিন্ন বিভাগ সহযোগিতা করেছে। এ সহযোগিতার জন্য আমরা সকল বিভাগ ও ব্যক্তির কাছে কৃতজ্ঞ । তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, আমাদের হাতে ১ লাখ ২০ হাজার ডোজ করোনা টিকা মজুদ ছিলো। এমন অবস্থায় আমরা জেলার ৫ উপজেলার ৬৭টি ইউনিয়ন ও ৪টি পৌরসভার ৭৮টি কেন্দ্রের ২১৬টি বুথে শনিবার গণটিকা প্রয়োগ করেছি। টিকাদান কর্মসূচী সফল করতে আমরা ৪৩২ জন টিকা কর্মী ও ৬৮৪ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণ দেই। এছাড়া এ কর্মসূচী সফল করতে মাইকিং ও মসজিদ মন্দির সহ জনগুরুত্বপূর্ন স্থানে প্রচার প্রচারনা চালানো হয়। সকাল ৮ টার মধ্যে টিকা ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে কর্মীরা টিকা কেন্দ্রে পৌঁছে যান। ৯ টা থেকে উৎসবের আমেজে টিকাদান কর্মসূচী শুরু হয়। প্রতিটি কেন্দ্রেই টিকা গ্রহীতাদের উপচেপড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। এ পর্যায়ে আমরা বয়স্ক নর-নারী ও প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিাকা দিয়েছি। তাই যারা এ দিন টিকা নিতে পারেননি, তাদের পরে টিকা দেয়া হবে বলে জানান জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বোচ্চ এ কর্মকর্তা।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাশেদুর রহমান বলেন, প্রথম ধাপের গণটিকা কার্যক্রম সফল হয়েছে। প্রতিটি ধাপের টিকাদান সফল করতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় শতভাগেরও বেশি টিকা প্রয়োগ করা সম্ভব হয়েছে। এ ধারা অব্যাাহত থাকলে আমরা করোনাকে পরাস্ত করে অচিরেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারব।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান এম.সুপারুল আলম (টিকে) বলেন, টিকা গ্রহনে গ্রামের মানুষের মধ্যে উৎসাহ উদ্দিপনা ছিলো ব্যাপক। টিকা কেন্দ্রে এসে তারা লাইনে দাড়িয়ে আগ্রহভরে টিকা নিয়েছেন। দুপুর ২ টার পরে যারা কেন্দ্রে এসেছেন তারা টিকা নিতে পারেননি। তার আগেই টিকা শেষ হয়ে যায়। তাই আগামী গণটিকা কার্যক্রমে প্রতি কেন্দ্রে আরো বেশি টিকা বরাদ্দ দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
বুথ ফেরত গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মাঝিগাতী গ্রামের নওশের কাজী বলেন, দুপুর ১ টার পরে টিকা কেন্দ্রে গিয়েছিলাম। লাইনে দাড়িয়ে ছিলাম। টিকা শেষ হয়ে গিয়েছিলো। তাই টিকা নিতে পারিনি। আমাদের দ্রুত টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করার অনুরোধ করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।