Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘এত বেশি বাংলাদেশি হিরোশিমা-নাগাসাকির ট্র্যাজেডির বিষয়ে জানেন’

হিরোশিমা দিবসে জাপানী রাষ্ট্রদূত

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ আগস্ট, ২০২১, ১২:০১ এএম

২০১৯ সালের অক্টোবরে যখন আমি বাংলাদেশে প্রথম এসেছি তখন এটি জেনে আমি মুগ্ধ হই যে, এত বেশি বাংলাদেশি হিরোশিমা এবং নাগাসাকির ট্র্যাজেডির বিষয়ে জানেন এবং শান্তির স্বপক্ষে সোচ্চার হন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পারমাণবিক বোমা হামলার ঘটনা, এমনকি সাসাকি সাদাকোর কাগজের সারসের গল্প এদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকে রয়েছে। এছাড়াও অনেক বাংলাদেশি কয়েক দশক ধরে ৬ই আগস্ট হিরোশিমা এবং নাগাসাকির ট্র্যাজেডিকে ‘হিরোশিমা দিবস’ হিসাবে স্মরণ করে চলেছেন। বাংলাদেশ থেকে জাপানের প্রতি সেই মমত্ববোধ আমাদের কাছে অনেক অর্থবহ। তাই বাংলাদেশে ‘হিরোশিমা দিবস’ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
গতকাল ৬ আগস্ট ছিল হিরোশিমা দিবস। হিরোশিমা শহরে পারমাণবিক বোমা বর্ষনের এই দিনে, হিরোশিমা ট্র্যাজেডির ৭৬তম বার্ষিকী উপলক্ষে, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বাংলাদেশের জনগণের সাথে শান্তির জন্য তার বার্তা বিনিময় করতে চান উল্লেখ করে ঢাকাস্থ জাপানি দূতাবাস তার এই লেখাটি পোস্ট করেছেন।
জাপানি রাষ্ট্রদূত লিখেছেন, আমি আশা করি এই ৬ই আগস্ট মানুষকে, বিশেষত তরুণ প্রজন্মকে যুদ্ধের ভয়াবহতা এবং শান্তির গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন হতে অনুপ্রাণিত করবে। যেহেতু মানবিক সংকট এবং মহামারী জাতীয় সীমানা পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে সা¤প্রতিক বছরগুলিতে জাতি বর্ণ নির্বিশেষে একসাথে শান্তির বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা এবং তা ভাগ করে নেয়ার বিষয়টি আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। আনবিক বোমার শিকার অসংখ্য আত্মার প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাই।
তিনি বলেন, হিরোশিমায় আনবিম বোমায় হতাহতদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভীর গায়ে খোদাই করা আছে “এখানে সকল আত্মাকে চিরশান্তিতে থাকতে দাও, অশুভের পুনরাবৃত্তি যেন আর না হয়”-হিরোশিমা এবং নাগাসাকির ট্রাজেডির যেন কখনোই পুনরাবৃত্তি না ঘটে। আনবিক বোমার ভয়াবহ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একমাত্র জাতি হিসেবে জাপান আনবিক বোমামুক্ত বিশ্ব তৈরির জন্য অন্য সব দেশ ও জনগনের একসাথে কাজ করতে চায়।
হিরোশিমা এবং নাগাসাকি শহরে পারমাণবিক বোমা ফেলার ৭৬ বছর হয়েছে। যেহেতু প্রতি বছর বেঁচে যাওয়া লোকের সংখ্যা দ্রæতই কমে যাচ্ছে, তাই এই ট্র্যাজেডির কথা স্মরণ করা এবং আনবিক বোমা ব্যবহারের সেই অমানবিকতা এবং সেখান থেকে আমরা যে শিক্ষাগুলি পেয়েছি সেগুলি রাষ্ট্রীয় সীমানা পেরিয়ে ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয়া আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
সর্বশেষে জাপানী রাষ্ট্রদূত লিখেছেন, আমি সত্যিই বাংলাদেশি জনগনের প্রশংসা করি যারা ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা দেখিয়েছেন এবং বিশ্ব শান্তির জন্য দৃঢ় বার্তা প্রকাশ করেছেন। আমি আশা করি যে আমরা, জাপান এবং বাংলাদেশের জনগণ, সবার জন্য এই বিশ্বকে আরও শান্তিময় ও স¤প্রীতির বিশ্ব করে গড়ে তোলার জন্য একসাথে কাজ করে যাবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাপান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ