Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আফগান শরণার্থীদের জন্য সীমান্ত খোলা রাখার আবদার যুক্তরাষ্ট্রের

প্রত্যাখ্যান পাকিস্তান ও তুরস্কের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ আগস্ট, ২০২১, ১২:০৫ এএম

আফগানিস্তানের সাথে তার সীমান্ত আফগান শরণার্থীদের জন্য উন্মুক্ত রাখুক পাকিস্তান। যুক্তরাষ্ট্রের এমন একটি দাবি দুই দেশের মধ্যে ইতোমধ্যেই উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার আগে আফগান দোভাষীদের তাদের দেশে ১৪ মাস অবস্থান করতে দেয়ার আবদার করা হয়েছে তুরস্কের কাছেও। তবে উভয় দেশই দৃঢ়তার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের এ আবদার প্রত্যাখ্যান করেছে।

আফগান নাগরিকদের জন্য নতুন মার্কিন শরণার্থী ভর্তির কর্মসূচির বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সময় পররাষ্ট্র দফতরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘সুতরাং, পাকিস্তানের মতো জায়গায়, তাদের সীমানা খোলা থাকা গুরুত্বপূর্ণ হবে। স্পষ্টতই, যদি লোকেরা উত্তর দিকে যায় বা যদি তারা ইরান হয়ে তুরস্কে যায় ... (তাদের) দেশে প্রবেশের পাশাপাশি সরকার বা ইউএনএইচসিআর-এর সাথে নিবন্ধনের সুযোগ রয়েছে’। সোমবার ঘোষণা করা নতুন কর্মসূচি মার্কিন অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পে কাজ করা এবং মার্কিনভিত্তিক মিডিয়া বা বেসরকারি সংস্থায় (এনজিও) নিযুক্ত আফগানদের জন্য প্রযোজ্য। স্পেশাল ইমিগ্রেশন ভিসা (এসআইভি) নামে পরিচিত একটি পূর্ববর্তী প্রোগ্রাম দোভাষী এবং অন্যান্য যারা মার্কিন সরকারী সংস্থায় কাজ করে এবং তাদের পরিবারকে অন্তর্ভুক্ত করে। পাকিস্তান ছাড়াও মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর তুরস্ককে বলেছে যে, তারা আফগানদের যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসনের আগে ১৪ মাস পর্যন্ত দেশে থাকতে দেবে।

পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মঈদ ইউসুফ চলতি সপ্তাহে ওয়াশিংটনে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, বাস্তুচ্যুত আফগানদের পাকিস্তানে ঠেলে না দিয়ে তাদের দেশেই রাখার ব্যবস্থা করা উচিত। ‘ওদেরকে দার-বা-দার (গৃহহীন) বানাবে কেন? তাদের দেশের ভিতরে তাদের জন্য ব্যবস্থা করুন। বেশি শরণার্থী নেওয়ার ক্ষমতা পাকিস্তানের নেই’।

তুর্কি সরকারও আফগানদের পুনর্বাসনের জন্য তৃতীয় দেশ ব্যবহার করার মার্কিন পরিকল্পনার সমালোচনা করে বলেছে যে, পদক্ষেপটি এ অঞ্চলে একটি ‘বড় অভিবাসন সংকট’ সৃষ্টি করবে। তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আঙ্কারায় জারি করা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমাদের দেশের সঙ্গে পরামর্শ না করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্বজ্ঞানহীন সিদ্ধান্ত আমরা মানি না। যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই লোকদের তার দেশে নিয়ে যেতে চায়, তাহলে তাদের প্লেনে সরাসরি তাদের দেশে স্থানান্তর করা সম্ভব’।

এ পুনর্বাসন পরিকল্পনায় দুটি দেশ ইরান এবং পাকিস্তান গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করতে পারে। যেহেতু ইরানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের ক‚টনৈতিক সম্পর্ক নেই, তাই মার্কিন নীতিনির্ধারকরা তাদের এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে সাহায্য করার জন্য পাকিস্তানের দিকে তাকিয়ে।

পাকিস্তান অবশ্য তা করতে অনীহা প্রকাশ করেছে। ১৯৭৯ সাল থেকে পাকিস্তান লাখ লাখ আফগানদের আতিথ্য দিয়েছে এবং ৩০ লাখেরও বেশি আফগান দেশটিতে স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করেছে। পাকিস্তানি কর্মকর্তারা যুক্তি দেখান যে, তাদের অর্থনীতি বেশি শরণার্থীদের সেবা করার মতো শক্তিশালী নয়। সূত্র : ডন অনলাইন।

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তুরস্ক

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ