পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শিগগিরই আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত
যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পবিত্র ওমরাহ পালনের লক্ষ্যে সউদী যেতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন হাজার হাজার যাত্রী। করোনা মহামারির দরুন দীর্ঘ দিন ওমরাহ কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এত দিন বাংলাদেশি ওমরাযাত্রীরা সউদী যেতে পারেননি। গত মাসের শেষের দিকে সউদী হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মুসলমানদেরকে ওমরাহ পালনের অনুমতি দিয়েছে। এ খবরের পরপরই হাবের সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম ওমরাহ যাত্রা নির্বিঘœ করার লক্ষ্যে বৈধ ওমরাহ লাইসেন্সের তালিকা প্রকাশসহ আনুষাঙ্গিক প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের কাছে লিখিত চিঠি পেশ করেছেন। ওমরাহ চালুর খবরে বাংলাদেশি ওমরাযাত্রীরা এজেন্সিগুলোতে দফায় দফায় যোগাযোগ করে জানতে চাইছেন কবে থেকে ওমরায় সউদী যাওয়া যাবে।
সউদী হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় গত বুধবার বিকেল পর্যন্ত দেশটির ৫৮টি বৈধ ওমরাহ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করেছে। দেশটির বৈধ ওমরাহ কোম্পানীগুলো ওমরাহ কার্যক্রম পরিচালনার প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম জোরেশোরে শুরু করেছে। মক্কা থেকে ইস্ট মোশাইর আল হেরাম ফর ওমরাহ সার্ভিসের সেলস এন্ড মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ মুরাদ আলম বুধবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন। উল্লেখিত ওমরাহ কোম্পানিগুলো ২৯০টি বাংলাদেশি ওমরাহ এজেন্সির সাথে চুক্তি করে ওমরাযাত্রী নিতে পারবে। ইওয়া গেইট (ওমরাহ গেইট) কোম্পানির সর্বমোট ৫টি কোম্পানি এবার ওমরাহ কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি পেতে যাচ্ছে।
এদিকে, গত বুধবার হাবের একজন সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের সাথে আলাপকালে কবে নাগাদ ওমরাহ চালু হবে জানতে চাইলে ধর্ম মন্ত্রী জানান, আমি একা ওমরাহ চালুর সিদ্ধান্ত দিতে পারি না। শিগগিরই আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক ডেকে ওমরাহ চালুর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে।
সউদী সরকার আগামী ১০ আগস্ট থেকে ৪৯টি দেশের নাগরিকদের জন্য পর্যটন ভিসা উন্মুক্ত করেছে। ইতোমধ্যেই এসব দেশের নাগরিকদের পর্যটন ভিসা ইস্যু কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যাতে করে সহজ ভাবে ই২ঈ পদ্ধতিতে অনলাইনে ভিসা করে সউদী আরবে যেতে পারে। গত এক সপ্তাহে উক্ত ৪৯ দেশ থেকে ধর্ম প্রাণ মুসলমানরা ওমারাহ পালনের পর্যটন ভিসা সংগ্রহ করেছে। আগামী ১০ আগস্ট থেকে সউদী আরব গমন করবে। ওমরাহ কার্যক্রম চালু হওয়ার খবরে বাংলাদেশি ওমরাযাত্রীদের মাঝে আনন্দের বন্যা বইছে। ওমরাযাত্রীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনা টিকার আওতায় আনা জরুরি হয়ে পড়েছে। ওমরাযাত্রা নির্বিঘœ এবং ভোগান্তি লাঘবের জন্য জনসন অ্যান্ড জনসনের এক ডোজ টিকা দেয়ার দাবি জানিয়েছেন ওমরা এজেন্সির মালিকরা। সউদী সরকারের শর্তাদি পূরণ করে ওমরার কার্যক্রম দ্রæত শুরু করার জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ওমরাহ করতে ইচ্ছুক মুসলিমরা কেবল ৯টি দেশ ছাড়া বিশ্বের সব দেশ থেকে সরাসরি ফ্লাইটে সউদী আরবে প্রবেশ করতে পারবে। সেই ৯টি দেশ হচ্ছে ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মিশর, তুরস্ক, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও লেবানন। তবে এই দেশগুলো থেকে কোনো মুসলিম সউদী আরবে প্রবেশ করতে চাইলে তাদেরকে ওই ৯টি দেশ বাদে তৃতীয় আরেকটি দেশে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে তবেই সউদী আরবে যেতে হবে।
রাজশাহী ট্রাভেলস এর স্বত্বাধিকারী ও হাবের ইসি সদস্য মুফতি মোস্তাফিজুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, শত শত ওমরাযাত্রী কবে নাগাদ ওমরা করতে সউদী যাওয়ার সুযোগ পাবে তা’ জানতে চেয়ে দফায় দফায় ফোন করছেন। তিনি বলেন, গত বছর ধর্ম মন্ত্রণালয় ২৬২টি বৈধ ওমরা এজেন্সির নামের তালিকা প্রকাশ করেছে। গত বছর ওমরাহ চালু হয়নি। কিন্ত যাচাই-বাছাইকৃত এসব বৈধ ওমরা এজেন্সিগুলোকে দ্রæত অনুমতি দেয়া যেতে পারে। এ জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক ডাকার প্রয়োজন পড়ে না। তিনি বৈধ ওমরা এজেন্সির তালিকা প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, করোনা মহামারির কারণে দু’বছর যাবত মুসলমানরা ওমরার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। দ্রæত ওমরা চালু করা হলে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মক্কা-মদিনায় গিয়ে করোনা মহামারি থেকে মুক্তিসহ মুসলিম উম্মার জন্য দোয়া করবেন এমন আশায় তারা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। তিনি দ্রæত ওমরাহ কার্যক্রম চালু করার জন্য ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ করেন।
মদিনা মোনাওয়ারা থেকে নদওয়াতুল ওলামাআল-আলামিয়ার চেয়ারম্যান মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী গতকাল ইনকিলাবকে জানান, ওমরাহ চালুর সকল প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। হোটেলগুলো চালু করা হচ্ছে। বেকার লোকদের ডেকে ডেকে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ওমরাহ চালু হবার পথে। করোনাকালে মসজিদে নববীর মাত্র ৪টি গেইট খোলা ছিল। গত বৃহস্পতিবার থেকে মসজিদে নববীর সকল গেইট খুলে দেয়া হয়েছে। মসজিদে কার্পেটও বিছানো হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।