মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে অবস্থানরত বিদেশি ৫ সাংবাদিককে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ জম্মু-কাশ্মীর সফর এবং স্থানীয় পরিষদের অধিবেশন নিয়ে রিপোর্ট করার অনুমোদন দেয়নি ভারত। এ জন্য ভারতে উগ্র ডানপন্থি বিজেপি নেতৃত্বাধীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। তারা বলেছেন, বাস্তবতা লুকাতে চাইছে ভারত। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। ওই ৫ সাংবাদিকের আবেদন প্রত্যাখ্যান করায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি নয়াদিল্লির সমালোচনা করেছেন। তিনি আরো জোরালো করে তুলে ধরেছেন ভারতের এই সিদ্ধান্ত তাদের ‘স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা’র প্রতিফলন হিসেবে। নিজের অফিসিয়াল একাউন্টে টুইট করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেছেন, মোদি সরকারের অধীনে কিভাবে নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা সঙ্কুচিত হচ্ছে এটা তারই এক নিন্দনীয় নির্দেশক। নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী। বলেছেন, তিনি চান ভারতের ‘বেআইনিভাবে দখল করা জম্মু ও কাশ্মীরে’ সাংবাদিকরা সফর করুন এবং প্রকৃত সত্য তুলে ধরুন। তিনি টুইটারে লিখেছেন, আজাদ কাশ্মীরের পার্লামেন্টের ৫ই আগস্টের অধিবেশনে যোগ দেয়ার কথা ছিল ওইসব সাংবাদিকের। তিনি উপহাস করে বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এত্ত! ফাওয়াদ চৌধুরীর টুইটকে উদ্ধৃত করে টুইট করেছেন কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও বিশেষ উদ্যোগ বিষয়ক মন্ত্রী আসাদ উমর। তিনি বলেছেন, সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দিয়ে ‘অবৈধভাবে ভারতের দখল করা জম্মু ও কাশ্মীরের’ বাস্তবতা লুকাতে চাইছে ভারত। তিনি আরো বলেন, আমরা চাই বিশ্ব দেখুক যে- আজাদ কাশ্মীরে কি ঘটছে। অন্যদিকে ভারতের দখল করা কাশ্মীরে কি ঘটছে তা লুকানোর চেষ্টা করছে ভারত। তিনি আরো বলেন, সত্য এবং মিথ্যার মধ্যে পার্থক্য সামনে চলে আসে দুই দেশের মধ্যকার তথ্যপ্রমাণ। ভারতের এমন সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মুঈদ ইউসুফ। তিনিও টুইটারের আশ্রয় নিয়েছেন। বলেছেন, যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা একটি অনিরাপদ সরকারের। বিশ্বের কাছ থেকে অনেক কিছু লুকিয়েছে ভারত সরকার। তিনি আরো বলেন, ভারত আজাদ জম্মু কাশ্মীরের বাস্তবতা লুকাতে চায়। কারণ, এটা তো ‘মুক্ত কারাগার’ না, যা বিদ্যমান ভারতের অধীনে কাশ্মীরে। ওদিকে আবেদন করে প্রত্যাখ্যাত সাংবাদিকরা ভারত সরকারের এই আবেদন প্রত্যাখ্যান নিয়ে রিপোর্ট করবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পাকিস্তানের মানবাধিকার বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিরিন মাজারি। এ সময় তিনি মোদিকে ফ্যাসিস্ট বলে আখ্যায়িত করে বলেন, ফ্যাসিস্ট মোদির অধীনে ভারতের গণতন্ত্র যে ক্রমবর্ধমান বিষয়গুলো প্রকাশ করবেন কিনা। এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।