গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
অভিনেতা ও প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজকে আটক করেছে র্যাব। তার বাসা থেকে মাদকসহ বিকৃত যৌনাচারে ব্যবহৃত অনেক সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।
বুধবার (৪ আগস্ট) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র্যাবের দায়িত্বশীল একটি সূত্র।
অভিযান সূত্রে আরও জানা যায়, প্রযোজক রাজের বাসার ভেতরে একটি গোপন কক্ষের সন্ধান পাওয়া যায়। সেখানে বিকৃত যৌনাচারে ব্যবহৃত অনেক সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এই কক্ষটিতে পর্নোগ্রাফি তৈরি করা হতো বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
বুধবার রাত ১০টা ২৫ মিনিটে নজরুল ইসলাম রাজকে বাসা থেকে বের করা হয়। তাকে র্যাব সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ১০টার দিকে তার বাসা থেকে জব্দ করা মাদক ও সরঞ্জাম গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে নিয়ে আসেন র্যাব-১ এর সদস্যরা। তার এক সহযোগীকেও আটক করা হয়েছে।
এর আগে, রাত আটটার দিকে র্যাবের একটি দল রাজের বনানীর জি ব্লকের ৭ নম্বর রোডের ৪১ নম্বর বাসায় অভিযান শুরু করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের উপ-পরিচালক মেজর হুসাইন রইসুল আজম মনি।
গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে তরুণী মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধারের পর প্রথম আলোচনায় আসেন রাজ। ওই সময় রাজের সঙ্গে মুনিয়ার একাধিক অন্তরঙ্গ ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে রাজকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, মুনিয়ার সঙ্গে রাজের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তিনিই মুনিয়াকে একটি নাটকে অভিনয়ের সুযোগ করে দেন। তবে নাটকটির শুটিং শেষ হয়নি।
এদিকে, বুধবার বিকেলে চিত্রনায়িকা পরীমণির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। পরে রাতে তাকে আটক করা হয়। তার বাসায় পাওয়া যায় বিপুল পরিমাণ মাদক। রাত ৮টার দিকে তাকে র্যাব সদর দফতরে নেওয়া হয়।
পরীমণির প্রথম সিনেমা ‘ভালোবাসা সীমাহীন’-এর প্রযোজক ছিলেন এই নজরুল ইসলাম রাজ। তার হাত ধরেই নাটক থেকে সিনেমায় নাম লেখান পরী। নজরুল ইসলাম রাজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের নাম রাজ মাল্টিমিডিয়া প্রোডাকশন হাউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।