Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অনুসন্ধানে দুদক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছে

আশ্রয়ণ প্রকল্পের দুর্নীতি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ আগস্ট, ২০২১, ১২:০১ এএম

প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পে দুর্নীতির অনুসন্ধান করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ লক্ষ্যে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছে সংস্থাটি। কমিশনের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে এ তথ্য।
সূত্রমতে, মুজিববর্ষে ‘উপহার’ হিসেবে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় দুঃস্থদেরকে মাঝে গত জানুয়ারি এবং জুন মাসে ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৮০টি সেমিপাকা ঘর দেয়া হয়। বেশ কয়েকটি এলাকায় নির্মিত ঘরের মান নিয়ে উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ। কোথাও নির্মিত ঘর ধসে পড়েছে, কোথাও ঘরের নিচের বালু সরে ভবনে ফাটল ধরেছে। প্রকল্পের ঘর নির্মাণে নি¤œমানের নির্মাণসামগ্রীর ব্যবহার ও সরকারি অর্থ আত্মসাৎ এমনকি গৃহহীনদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ারও অভিযোগ উঠেছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে গঠিত তদন্ত কমিটি এখন পর্যন্ত ২২ জেলার ৩৬ উপজেলায় ঘর নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে। এ প্রেক্ষিতে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এক উপসচিবসহ সরকারের পাঁচ কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণে ব্যাপক দুর্নীতি সংঘটিত হওয়ার বিষয় সংবাদ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত হয়। এরপরই দুদকের গোয়েন্দা ইউনিট উপাত্ত সংগ্রহে নামে।

সূত্রটি আরো জানায়, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো সরকারি খাস জমির ওপর তৈরি করা হয়েছে। ঘরের আয়তন ৪০০ বর্গফুট। প্রতিটি ঘরে আছে দু’টি কামরা, রান্নাঘর, বারান্দা এবং টয়লেট। এছাড়া ১০টি ঘরের জন্য একটি করে গভীর নলক‚প। প্রতিটি সেমিপাকা ঘর তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় ৫ লাখ ৬১ হাজার টাকা। প্রতিটি ঘর তৈরি করতে প্রথম পর্যায়ে খরচ হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। দ্বিতীয় পর্যায়ে খরচ হয়েছে এক লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং তৃতীয় পর্যায়ে ২ লাখ টাকা। প্রতিটি পরিবারকে দুই শতাংশ জমিসহ এই ঘর দেয়া হয়। কিন্তু এই ঘরের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে ঘর হস্তান্তরের পরপরই। যেমন কুড়িগ্রামের রৌমারীতে হস্তান্তরের আগেই পাঁচটি ঘর ধসে পড়ে। গোপালগঞ্জে হস্তান্তরের পর অল্প সময়ের মধ্যেই ভেঙে পড়েছে দুইটি ঘর। ঘরগুলো বৃষ্টির কারণে বালু সরে গিয়ে ভেঙে পড়ে। লালমনিরহাটে ঝোড়োবাতাসে উড়ে গেছে দুটি ঘর। বগুড়ায় দুই দিনের বৃষ্টিতেই একাধিক ঘর ধসে পড়েছে। বগুড়ার শেরপুরে কায়রাখালী বাজারের কাছে খালের পাড়ে নির্মিত ঘরগুলো এখন ভাঙনের সম্মুখীন। বরগুনার আমতলীতে নির্মিত ঘরের গুণগত মান ঠিক নেই। সুনামগঞ্জের শাল্লায় ডিজাইন বহিভর্‚ত ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।

আলোচিত এই অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, দুদকের তফসিলভুক্ত সকল দুর্নীতির বিরুদ্ধেই দুদক কার্যকর ব্যবস্থা নেবে। করোনাসহ সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এ কাজ শুরু ও শেষ করতে দুদককে যৌক্তিক সময় দিতে হবে।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পে সংঘটিত দুর্নীতি নিয়ে দুদক কাজ করবে কি না- এ প্রশ্নে সংস্থার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে এ দুর্নীতির বিষয়ে দুদক ব্যবস্থা নেবে বলে ইঙ্গিত দেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দুর্নীতি

৩১ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ