পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে বাংলাদেশকে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো সুপারিশ করেনি বিশ্বব্যাংক। তবে মিয়ানমার থেকে প্রাণের ভয়ে পালিয়ে আসা সংখ্যালঘু এই মুসলমান জনগোষ্ঠীর জন্য বাংলাদেশকে সহায়তায় বিশ্বব্যাংক কাজ করছে। এ ছাড়া শরণার্থীদের রূপরেখার যে পর্যালোচনা, সেটি জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। আজ মঙ্গলবার বিশ্বব্যাংক তাদের ওয়েবসাইটে প্রচারিত এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানায়।
এর আগে গত সোমবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, রোহিঙ্গারা শরণার্থী নয়। সে কারণে শরণার্থীদের ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিশ্বব্যাংক যে রূপরেখা দিয়েছে, তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। বিশ্বব্যাংক যে প্রতিবেদন তৈরি করেছে, সেটা বাংলাদেশের জন্য নয়, ১৬টি দেশের জন্য প্রযোজ্য। যেসব দেশে শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে, সেখানে যাতে আত্মীকরণ করা যায়, যাতে শরণার্থী ও স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ঝগড়াঝাটি কমে, শরণার্থীদের সুন্দর ভবিষ্যৎ দেওয়া যায়, সে জন্য বিশ্বব্যাংক এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
বিশ্বব্যাংকের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় ও নিরাপদে মিয়ানমারে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ওপর রোহিঙ্গা ঢলের প্রভাব কমাতেও বিশ্বব্যাংক সহায়তা করছে। শরণার্থী নীতিমালার পর্যালোচনার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিশ্বব্যাংক বলছে, কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্য, অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী, পানি ও পয়োনিষ্কাশন, জলবায়ুর ঝুঁকি মোকাবিলায় কার্যকর সড়কসহ মৌলিক অবকাঠামো, সৌরবাতি ও দুর্যোগ প্রস্তুতিতে সহায়তার জন্য বাংলাদেশকে ৫৯০ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংক বলছে, এ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশকে ৫৯০ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছে। যার পুরোটাই অনুদান, ঋণ নয়। শরণার্থী ও তাদের আশ্রিত দেশের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য কার্যকারিতা ও প্রভাব মূল্যায়নের লক্ষ্যে শরণার্থী নীতিমালার পর্যালোচনা করা হয় বলে বিশ্বব্যাংক তাদের বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে। এই মুহূর্তে শরণার্থীদের আশ্রয় দিচ্ছে, এমন ১৪টি দেশের প্রতিটির জন্য এ পর্যালোচনা করা হয়েছে।
শরণার্থী-সংক্রান্ত রূপরেখার পর্যালোচনা কীভাবে সম্পন্ন হয়, এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বিশ্বব্যাংক তাদের বিবৃতিতে বলেছে, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) আরপিআরএফ অনুসরণ করে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা বিদ্যমান নীতিমালা, এর প্রয়োগ ও কর্মসূচির ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। শরণার্থীদের আশ্রয়দাতা দেশের সমাজে অন্তর্ভুক্ত করতে বেশ কিছু প্রস্তাবসংবলিত ‘রিফিউজি পলিসি রিফর্ম ফ্রেমওয়ার্ক’ নামে ১৬টি দেশের শরণার্থী ব্যবস্থাপনা নীতি সংস্কারের জন্য একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের ঢাকা দপ্তর থেকে বাংলাদেশকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ওই রূপরেখার বিষয়ে মতামত দিতে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। পরে এই সময় বাড়িয়েছে বিশ্বব্যাংক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।