মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সার্জিক্যাল স্ট্রাইক না গোলাগুলি কোনটা সত্য, উভয় পক্ষের হতাহতের দাবি নিয়েও ধূম্রজাল
ইনকিলাব ডেস্ক : জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতের সেনাবাহিনী। জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে পরিচালিত ওই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নামের অভিযান নিয়ে এরপর থেকেই জন-মানসে নানা বিভ্রান্তি তৈরি হয়। ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক অভিযান পাক-ভারত নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়েছে বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লি। এই হামলায় ৯ পাকিস্তানি সেনা সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন বলেও ভারতে দাবি। একই সঙ্গে অন্তত ৩৫ থেকে ৪০ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ৮ ভারতীয় সেনা নিহত হওয়া এবং এক ভারতীয় সেনাকে আটক করে অজ্ঞাত কোনো স্থানে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। উভয় পক্ষের হতাহতের এই সংখ্যা বা দাবি নিয়ে সর্বত্র এক ধরনের ধূ¤্রজাল তৈরি হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে কারো দাবির সত্যমিথ্যা যাচাই করা সম্ভব হচ্ছে না। একই সাথে ভারত কথিত সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এবং পাকিস্তানের দাবি অনুযায়ী গোলাগুলির ঘটনা কোনটা সত্য তা নিয়েও বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। কার্যত ভারত-অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের সীমান্ত অঞ্চলে (লাইন অব কন্ট্রোল) ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে নাকি ভারত পাকিস্তান সীমান্তের অভ্যন্তরে হামলা চালিয়েছে তা নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়েছে দিল্লি ও ইসলামাবাদ। ভারত বলছে, নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে দেশটির সেনাবাহিনী পাকিস্তানি জঙ্গি আস্তানাগুলোতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তান বলছে, ভারত মিথ্যে কথা বলে নিজেদের প্রতিপত্তির জানান দিতে চাইছে। তারা নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরোয়নি, বরং এটি সীমান্ত সংঘর্ষ। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক দিয়ে এমন সামরিক অভিযানকে বোঝানো হয়, যে অভিযানে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুর বাইরে আশপাশের অবকাঠামো কিংবা জনসাধারণ হামলার শিকার হয় না বলে দাবি করা হয়। আর সীমান্ত সংঘর্ষ হলো আন্তঃসীমান্ত গোলাগুলির ঘটনা। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক সম্পর্কে ভারতের সাবেক সেনা কর্মকর্তারা বলেছেন, নিজকে বাঁচিয়ে শত্রুর লক্ষ্যবস্তুতে সঠিকভাবে হানা দেয়া হচ্ছে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক। এটা খুবই জটিল অভিযান। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন বলছে, হামলা চালানো হয়েছে অন্তত ৭টি জঙ্গি ঘাঁটিতে। গত বুধবার দিনগত রাত আড়াইটা থেকে ৮টা পর্যন্ত সারজিক্যাল স্ট্রাইক নামের ওই অভিযান পরিচালিত হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ভাষায় সারজিক্যাল স্ট্রাইক বলতে বোঝায় এমন কোন ইচ্ছাকৃত হামলা যাতে পার্শ্ববর্তী কোন অঞ্চলকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে নির্দিষ্ট কোন লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করা হয়। ভারতের সাবেক বিমান বাহিনী প্রধান ফালি হোমি বলেন, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হচ্ছে একটি পরিকল্পিত রণকৌশল যাতে লক্ষ্যবস্তুকে সর্বোচ্চ আঘাত করা সম্ভব হয় ও পুরো অভিযান নির্বিঘেœ শেষ হয়। অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল শঙ্কর প্রসাদ বলেন, সারজিক্যাল স্ট্রাইক যথেষ্ট জটিল অভিযান যা চালাতে যথেষ্ট সবল থাকতে হয়। তিনি বলেন, এই অভিযান জটিল কেননা লক্ষ্যবস্তু সর্বদাই গতিশীল। ফলে নিজের কোন ক্ষতি হতে না দিয়ে আঘাত করে ফিরে আসা খুব কঠিন। এই অভিযানে প্রত্যেক সেনাকে নির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া থাকে। দলের প্রত্যেকেরই দায়িত্ব নির্দিষ্ট করে দেওয়া থাকে। এনডিটিভি, টাইমস নাউ, ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।