নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জাহেদ খোকন : বেক্সিমকো অনূর্ধ্ব-১৮ এশিয়া কাপ হকির ফাইনালে পাকিস্তান নয়, সেই ভারতকে পেল স্বাগতিক বাংলাদেশ। যাদের বিপক্ষে গ্রæপ পর্বে লাল-সবুজরা ৫-৪ গোলের জয় পেয়েছিলো। গতকাল শেষ চারের প্রথম ম্যাচে দুরন্ত নৈপুণ্য দেখিয়ে বাংলাদেশ বিধ্বস্ত করেছে চাইনিজ তাইপেকে। এদিন দুপুরে মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামের নীল টার্ফে বাংলাদেশ ৬-১ গোলে হারায় তাইপেকে। বিজয়ী দলের হয়ে পেনাল্টি কর্নার (পিসি) স্পেশালিস্ট আশরাফুল ইসলাম একাই করেন তিন গোল। রাজু আহম্মেদ, সজিব হোসেন ও ফজলে রাব্বি করেন একটি করে গোল। দিনের অন্য ম্যাচে ভারত ৩-১ গোলে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হয়। আজ বিকাল ৩ টায় মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের ফাইনালে বাংলাদেশ-ভারত মুখোমুখী হবে। এটিএন বাংলা খেলা সরাসরি সম্প্রচার করবে।
অনূর্ধ্ব-১৮ এশিয়া কাপ হকির ফাইনালে প্রথমবারের মতো জায়গা পেলো স্বাগতিক বাংলাদেশ। স্বপ্নের চ্যাম্পিয়ন জয় থেকে আর মাত্র ম্যাচ দূরে অধিনায়ক রোমান সরকার বাহিনী। কাল শেষ চারে চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে আরও বড় ব্যবধানে জয় পেতে পারতো লাল-সবুজরা। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একের পর এক আক্রমণে তাইপে রক্ষণভাগকে তছনছ করে ১১াট পিসি আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু সব পিসি থেকে গোল আদায়ে ব্যর্থ হন আশরাফুল। পিসিতে তার ষ্টিক থেকে তিনটি ও সজিব করেন একটি গোল। ফলে ১১টির মধ্যে চার পিসিতে গোল পায় বাংলাদেশ। তাই শেষ পর্যন্ত ব্যবধানটা বড় হয়নি। ফলে ৬-১ গোলের জয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় স্বাগতিকদের।
ম্যাচের শুরু থেকেই গোলের নেশায় উন্মুখ হয়ে খেলতে থাকেন আশরাফুল, রোমান, নাঈম উদ্দিনরা। যার ফল তারা ৩ মিনিটেই। এসময় পিসি থেকে গোল আদায় করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেন আগের দুই ম্যাচে সাত গোল করা ডিফেন্ডার আশরাফুল (১-০)। মিনিট ছয়েক পর ম্যাচে ফেরার সুযোগ আসে সফরকারীদের সামনে। কিন্তু পেনাল্টি স্ট্রোক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন তাইপের চুং পাং শি। এরপর টানা দু’টি পেনাল্টি কর্ণার পেলেও গোল করতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে ২৮ মিনিটে রাজুর ফিল্ড গোলে ঠিকই ব্যবধান বাড়ায় স্বাগতিকরা (২-০)। প্রথমার্ধে আরও একটি পেনাল্টি কর্ণার পেলেও সুযোগ হাতছাড়া হয় বাংলাদেশের। ফলে ২-০ গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যেতে হয় তাদের। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান একটু কমিয়ে আনে চাইনিজ তাইপে। ম্যাচের ৪১ মিনিটে পিসি থেকে গোল করে ম্যাচে সমতা আনেন তু যু হুয়াং (২-১)। তবে গোল হজমের পরপরই ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা। ফের আশরাফুল ঝলক। চার মিনিটের ব্যবধানে দু’টি গোল করেন তিনি। একটি পেনাল্টি স্ট্রোক এবং অন্যটি পিসি থেকে (৪-১)। কিন্তু পরবর্তীতে আরও দু’টি পিসি পেলেও গোল আদায়ে ব্যর্থ হন আশরাফুল। তাই ম্যাচের ৬০ মিনিটে পাওয়া দলের দশম পেনাল্টি কর্ণারটি নিতে এগিয়ে আসেন সজিব। সফলও হন তিনি। সজিব গোল করে আশরাফুলের ব্যর্থতা কিছুটা হলেও পুষিয়ে দেন (৫-১)। এবার দূর্ভাগ্য যেন ভর করে সজিবের উপর। মিনিট পাঁচেক পর পাওয়া পিসিতে ব্যর্থ হন তিনিও। তবে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ফিল্ড গোল করে অর্ধডজন গোল পূর্ণ করেন ফজলে রাব্বী (৬-১)। শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধানের জয় নিয়েই টার্ফ ছাড়ে রোমান বাহিনী।
একই টার্ফে বিকালে অনুষ্ঠিত শেষ চারের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারত ৩-১ গোলে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কাটে। টান টান উত্তেজনার এ ম্যাচে সাত মিনিটেই এগিয়ে যায় ভারত। গোল করেন শিভাম আনান্দ (১-০)। এরপর আক্রমন-পাল্টা আক্রমনে খেলা উপভোগ্য হয়ে উঠলেও ম্যাচে আর ফিরতে পারেনি পাকিস্তান। ৩২ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় ভারত। এবার পিসি থেকে গোল করেন সন্দীপ নিলাম (২-০)। ম্যাচের ৪৯ মিনিটে পেনাল্টি স্ট্রোক থেকে ব্যর্থ হলে পিসি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন স›দ্বীপ। তবে ম্যাচ শেষ হওয়ার আট মিনিট আগে ব্যবধান কমায় পাকিস্তান। পিসি থেকে গোলটি করেন আমজাদ আলী খান (১-৩)। ম্যাচের বাকি সময় আর কোনও গোল না হওয়ায় সহজ জয়ের আনন্দেই টার্ফ ছাড়ে ভারত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।