Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বপ্ন ও আশাভঙ্গের কাহিনি, যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে বাস্তুহারা আফগান দোভাষীরা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ আগস্ট, ২০২১, ৬:৩৫ পিএম

ছয় বছর অপেক্ষার পর জিয়া ঘাফুরি ২০১৪ সালে পরিবার নিয়ে আমেরিকায় পাড়ি জমাতে সক্ষম হন। কাবুলে তাদের বাসস্থান ছেড়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও তাদের ছোট তিন সন্তানকে নিয়ে তিনি আমেরিকার মাটিতে পা রাখেন।

আফগানিস্তানে আমেরিকান বিশেষ বাহিনীতে দীর্ঘ ১৪ বছর দোভাষী হিসাবে কাজ করার পুরস্কার হিসাবে তাদের পাঁচজনের হাতে আমেরিকান ভিসা তুলে দেয়া হয়। কিন্তু পুরস্কারের সেখানেই ইতি। আমেরিকায় পৌঁছানোর পর জিয়া সহায়সম্বলহীন বাস্তুহারা এক মানুষে পরিণত হন। সহৃদয় এক স্বেচ্ছাসেবী তাকে একটা আশ্রয় শিবিরে পাঠিয়ে দেন। বলেন সেখানে তাকে ও তার পরিবারকে নতুন জীবন গড়ে তুলতে হবে। সাত বছর পর সেই স্মৃতি এখনও তার ক্ষোভ উস্কে দেয়।

ঘাফুরি এখন থাকেন নর্থ ক্যারোলাইনায়। সেখান থেকে বিবিসিকে তিনি বলেন, তার মনে আছে সেসময় ছেলেমেয়েদের চোখের দিকে তাকাতে তার বুক ভেঙে যেত। তাদের আমেরিকায় নিয়ে যাবার জন্য ক্ষমা চাইতেন। তবে ৩৭ বছর বয়সী জিয়া ঘাফুরি বলেন, তার সহকর্মী যারা দোভাষী ছিলেন, তাদের মধ্যে তিনি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন, কারণ শেষ পর্যন্ত তিনি আমেরিকায় পালাতে পেরেছিলেন।

পশ্চিমা বাহিনী যখন দেশ থেকে তালেবানকে উৎখাত করতে ২০০১ সালে আফগানিস্তানে অভিযান শুরু করল, তখন থেকে আমেরিকান এবং মিত্র জোটের সৈন্যদের জন্য হাজার হাজার আফগান দোভাষী, ফিক্সার এবং তাদের গাইড হিসাবে কাজ করেছে। যা শেষ পর্যন্ত আমেরিকার দীর্ঘতম লড়াইয়ে রূপ নেয় তা শুরু হবার দুই দশক পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ বছর ১১ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে আমেরিকান সৈন্য প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন- এমনকি তার অর্থ যদি তালেবানের ক্ষমতায় ফিরে আসা হয় তার পরেও। বাইডেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দোভাষীদের গণহারে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে আনার কাজ শুরু হবে অগাস্ট মাসে। প্রথম দলটিতে রয়েছেন আড়াই হাজার দোভাষী। তাদের মধ্যে ২০০ আফগান শুক্রবার আমেরিকায় পৌঁছেছেন, যেখানে তাদের ভিসার আবেদন সম্পূর্ণ করে নতুন জীবন শুরু করতে হবে।

আমেরিকান সেনাবাহিনীতে দোভাষী হিসাবে কাজ করেছিলেন ৫০ হাজার আফগান। তাদের কাজের স্বীকৃতি হিসাবে ২০০৮ সাল থেকে ৭০ হাজার আফগান দোভাষী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের আমেরিকায় বসবাসের জন্য বিশেষ অভিবাসন ভিসা দেয়া হয়েছে। এখনও দেশ থেকে বের হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে ২০ হাজার দোভাষী ও তাদের পরিবার। এই ভিসা প্রক্রিয়া জটিল এবং দীর্ঘসূত্রিতার বেড়াজালে আবদ্ধ। পাশাপাশি রয়েছে আমেরিকান সৈন্যরা বিশ বছরের যুদ্ধ শেষে আফগানিস্তান ত্যাগ করার পর দেশের ভেতর তালেবানের দ্রুত অগ্রযাত্রা।

আমেরিকানদের সাথে কাজ করার কারণে এই দোভাষীরা চিহ্নিত হয়ে গেছেন এবং তাদের জীবন গুরুতর ঝুঁকির মুখে। ২০০৯ সাল থেকে আমেরিকান ভিসার অপেক্ষায় থাকা আনুমানিক ৩০০ জন দোভাষী মারা গেছেন। ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া এত জটিল ও দীর্ঘ হওয়ায় ক্ষুব্ধ জিয়া। ‘এই দোভাষীরা আমেরিকা আর আফগানিস্তান- এই দুই দেশকে সাহায্য করতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছে। এখন তারা তাদের ব্যাপারে চোখ বন্ধ করে রেখেছে- ওরা ওখানে মরলে মরুক,’ তিনি বলেন।

জিয়া ঘাফুরি আমেরিকান সেনাবাহিনীতে দোভাষী হিসাবে যোগ দেন ২০০২ সালে। তখন তার বয়স ছিল ১৮। তালেবান ক্ষমতা নেবার পর তার লাগাম ছাড়া শৈশবের ইতি ঘটেছিল। তারা সাত ভাই বোন মিলে যে নিয়ন্ত্রণহীন জীবন কাটাতেন, তালেবান ক্ষমতাসীন হবার পর তা শেষ হয়ে যায়। তাদের জীবন বাধা পড়ে কঠোর ইসলামী শাসনের ঘেরাটোপে। কোনরকম বিচ্যুতি ঘটলে পথেঘাটে নারী পুরুষ নির্বিশেষে মারধর ও নিগ্রহের শিকার হওয়া, তাদের পারিবারিক জীবনেও আশ্চর্যরকম একটা স্তব্ধতা নেমে আসা, তার বোনেদের স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়ার মত ঘটনা ঘটে।

তার বড় ভাইয়ের বয়স তখন বিশের কোঠায়। জিয়া বলেছেন তখন তালেবানবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্র ছিল যে পাঞ্জশির উপত্যকা, সেই এলাকার ভাষায় কথা বলার জন্য তার ভাইকে প্রহার করে জেলে ভরা হয়। মারের চোটে তার পা এতটা ফুলে গিয়েছিল যে তিনি পায়ে জুতো পরতে পারতেন না, হাঁটতে পারতেন না, বলছিলেন জিয়া।

কয়েকদিনের মধ্যে তার বাবা-মা সিদ্ধান্ত নেন তারা আফগানিস্তানে আর থাকবেন না। কাবুল ছেড়ে তারা পালিয়ে যান পাকিস্তানের পেশাওয়ারে। "আমি মাকে বলেছিলাম, আমি যখন বড় হব, আমি এদের বিরুদ্ধে লড়ব," তালেবানকে ইঙ্গিত করে তিনি একথা বলেছিলেন। পেশাওয়ারের স্কুলে জিয়া ইংরেজি শেখেন। তার পরিবার পাকিস্তানে ছিলেন ২০০১ সাল পর্যন্ত। তখন আমেরিকা আফগানিস্তান থেকে তালেবানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হামলা শুরু করেছে। "আমি যখন ফিরে আসি, তখন আফগানিস্তানে একটা স্থায়ী সরকার প্রতিষ্ঠা পেতে শুরু করেছে," জিয়া ঘাফুরি বলেন। "আমি আশাবাদী হয়ে উঠলাম।" তিনি আফগানিস্তানে আবার জীবন শুরু করলেন, বিয়ে করলেন এবং স্থানীয় স্কুলে ইংরেজি পড়াতে শুরু করলেন। কয়েক মাসের মধ্যে এক বন্ধু তাকে জানাল, আমেরিকানরা দোভাষী খুঁজছে। বন্ধুর সাথে পরদিনই তিনি কাবুলে তাদের ঘাঁটিতে হাজির হলেন। কাজ চাইলেন। "তারা ইংরেজি জানা লোকেদের কাজে নিচ্ছিল। শুধু ইংরেজি জানাটাই ছিল যোগ্যতা। আমি বলেছিলাম সামরিক শব্দগুলো আমি জানি না। ওরা বলেছিল কোন সমস্যা নেই।"

কাজ তার খুব ভাল লাগত। যদিও সৈন্যদের সাথে লম্বা সময় ট্যুরে কাটাতে হতো ঘর সংসার থেকে অনেক দূরে। রণাঙ্গনে কাজ করার ঝুঁকিও ছিল। স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা বলেছিলেন এই কাজ ছেড়ে দিতে। তিনি যুক্তি দেখিয়েছিলেন আমেরিকান সশস্ত্র বাহিনীর "ভাই"দের সাথে হাত মিলিয়ে তিনি কাজ করতে চান। আমেরিকানরা তার নাম দিয়েছিল "বুইয়া"। "আমরা ছিলাম সৈন্যদের চোখ আর জিহ্বা," জিয়া জানান।

তিনি ২০০৮ সালে শোক উপত্যকার লড়াইয়ে মার্কিন বাহিনীর সাথে ছিলেন। ছয় ঘণ্টার তুমুল লড়াই শুরু হবার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তারই ঘনিষ্ঠ বন্ধু আরেকজন দোভাষী মারা যায়। শোক উপত্যকার ওই লড়াইয়ে জিয়া ঘাফুরি আহত হয়েছিলেন। তাকে সাহসিকতার জন্য পার্পল হার্ট নামে খেতাব দেয়া হয়, তিনি আমেরিকায় যাবার পর। তার শরীরের ভেতর এখনও বোমার টুকরো রয়ে গেছে, তিনি জানান।

মার্কিন কংগ্রেসে ২০০৮ সালে প্রণীত নতুন অভিবাসন ভিসা ব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে আমেরিকায় চলে যাবার জন্য ভিসার আবেদন করেন জিয়া ঘাফুরি। নিজেদের জীবন বিপন্ন করে আফগানিস্তান ও ইরাকে আমেরিকান সৈন্যদের সাথে যেসব দোভাষী কাজ করেছেন তাদের জন্য এই ভিসা চালু করে আমেরিকা। তার ভিসা পেতে লেগেছিল ছয় বছর। তিনি বলেন, এই গোটা প্রক্রিয়াটি ছিল তার ভাষায় "জঘন্য"। তিনি বলেন এই দীর্ঘ সময় লাগার কোন যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা নেই। "আমাদের সম্পর্কে সব তথ্য আমেরিকানদের তথ্য ভাণ্ডারে ছিল। পররাষ্ট্র দপ্তর আমাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল ছিল। কাজেই কেন এর জন্য এত সময় লাগবে তা ব্যাখ্যার অতীত।"

ভিসা অনুমোদন হবার তিন মাস পর জিয়া ঘাফুরি তার পরিবার নিয়ে বিমানে ওঠেন- গিয়ে পৌঁছন আমেরিকার টেনেসি অঙ্গরাজ্যের ন্যাশভিলে। সেখানে নামার পর তাদের সাহায্য করার জন্য কোন ব্যবস্থাই ছিল না। কেউ ছিল না তাদের স্বাগত জানাতে। তিনি বলেন, সব কিছু এত অপরিচিত যে আমি দিশেহারা হয়ে গিয়েছিলাম। ভাড়ার ট্যাক্সি নিয়ে তিনি চললেন ভার্জিনিয়ার মানাসাসে। তিনি শুনেছিলেন সেখানে অনেক আফগান থাকেন। সেখানে গিয়ে একটা হোটেলে উঠলেন পরিবার নিয়ে। যারা বিশেষ ভিসায় সেখানে গেছেন তাদের জন্য কী ব্যবস্থা রয়েছে সে বিষয়ে খোঁজখবর নিতে বিভিন্ন সংস্থার সাথে যোগাযোগ শুরু করলেন।

কয়েক সপ্তাহ পর একজন স্বেচ্ছাসেবী তার সাথে যোগাযোগ করলেন, বললেন তার থাকার জায়গার সন্ধান তিনি পেয়েছেন। "ওই স্বেচ্ছাসেবী নারী আমাকে গৃহহীনদের একটি আশ্রয় শিবিরে নিয়ে যান," জিয়া বলেন। "আমি চারপাশে এক নজর দেখে বলি আমার সন্তানরা এখানে কীভাবে বড় হবে!" তাদের আর কোথাও যাবার জায়গা ছিল না। দেশটির কর্তৃপক্ষ আমেরিকার মাটিতে তাদের নতুন করে জীবন গড়ে তোলার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা নিয়ে জিয়ার স্বপ্ন ধুলিসাৎ হয়ে যায়। তার সন্তানরা তখন খুবই ছোট -কিছু বোঝার বয়স তাদের হয়নি। তারা ভয় পেয়েছিল, বিভ্রান্ত ছিল।

হতাশ জিয়া নিরুপায় হয়ে তার সাবেক ক্যাপ্টেনের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলেন এবং বললেন তাকে কোথায়, কীভাবে রাখা হয়েছে। "শুনে তিনি ভীষণ বিরক্ত হলেন," জিয়া ঘাফুরি বলেন। কয়েক দিন পর সাবেক ওই ক্যাপ্টেন ভার্জিনিয়াতে এলেন, জিয়া এবং তার পরিবারকে নিজের গাড়ি করে নর্থ ক্যারোলাইনাতে তার নিজের বাসায় নিয়ে গেলেন। "তিনি আমাকে বললেন: 'এটা তোমার বাসা'," জিয়া বললেন। "তুমি এখানে যতদিন চাও থাকতে পার।" "আমি তার এই সহৃদয়তার কথা কখনও ভুলব না।"

জিয়া শেষ পর্যন্ত তার পরিবার নিয়ে শার্লটে নিজের একটা অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে উঠতে পেরেছেন। সেখানে নির্মাণ শিল্পের শ্রমিক হিসাবে তাকে কাজ করতে হয়েছে। পরে একটি মুদির দোকানে কাজ নিয়েছেন। তার নিজের জীবনের নিরাপত্তা, তার সন্তানদের নিরাপদে স্কুলে যাতায়াত করতে পারা এবং তার স্ত্রীর বাইরে বের হওয়া ও কাজ করার স্বাধীনতাই তার কাছে বড় প্রাপ্তি।

জিয়া ঘাফুরি বলছেন তার মত হাজার হাজার যেসব দোভাষী এখনও আফগানিস্তানে পড়ে আছে, তাদের জন্য পরিস্থিতি বদলায়নি। তিনি ২০১৯ সালে ইন্টারপ্রেটিং ফ্রিডম ফাউন্ডেশান নামে একটি সহায়তা সংস্থা গড়ে তুলেছেন। তার মত যেসব দোভাষীর জীবন আফগানিস্তানে বিপন্ন, যারা আমেরিকায় ভিসা প্রত্যাশী তাদের তিনি নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে সাহায্য করছেন। এদের বেশিরভাগই জটিল আমলাতান্ত্রিক বেড়াজালে আটকে পড়েছেন। বছরের পর বছর অপেক্ষায় তাদের মনোবল ভেঙে পড়ছে। আরেক ধাপ জটিলতা হল, শুধুমাত্র কাবুলের দোভাষীদের সরানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরর অর্থ হল, রাজধানীর বাইরে যারা রয়ে গেছেন সেসব এলাকা দ্রুত তালেবানের দখলে চলে যাওয়ায় তাদের জীবনের ঝুঁকি ক্রমশই বাড়ছে।

এপ্রিল মাসে আমেরিকা সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দেবার পর থেকে তালেবান নিয়ন্ত্রিত জেলাগুলোর সংখ্যা ৭২ থেকে বেড়ে ২২১এ দাঁড়িয়েছে বলে জানাচ্ছে ওয়াশিংটন ভিত্তিক সংস্থা ফাউন্ডেশান ফর দ্য ডিফেন্স অফ ডেমোক্রাসি। যেসব প্রদেশের তালেবানের দখলে চলে যাবার বড়রকম আশঙ্কা রয়েছে, যেমন কান্দাহার এবং হেলমান্দ, সেখানে থাকত হাজার হাজার মার্কিন সৈন্য এবং তাদের দোভাষীরা। এই দোভাষীদের এখন ধরা পড়ার এবং মৃত্যুর প্রবল ঝুঁকি রয়েছে।

দোভাষীদের "প্রাণের বিরাট ঝুঁকি" রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মাইক জ্যাকসন। "কয়েক দশক ধরে আমাদের দোভাষীদের হত্যা করা হয়েছে।" "যারা পড়ে আছে তাদের জন্য দেশ থেকে বেরন কতটা সহজ হবে সেটাও একটা বড় প্রশ্ন," তিনি বলছেন। আমেরিকার পররাষ্ট্র দপ্তর গোটা প্রক্রিয়া তরান্বিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু এই প্রতিশ্রুতিও অনেক সাবেক সৈন্য ও দোভাষীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি করেছে।

"আমরা যে একদিন চলে যাব এটা তো কোন বিস্ময়কর ব্যাপার নয়। এটা হঠাৎ করে ঘটেনি। আমাদের সময় থাকতে ঠিকমত পরিকল্পনা নেয়া উচিত ছিল। এখন এমন আচরণ দেখানো হচ্ছে যেন একটা আপদকালীন পরিস্থিতির মধ্যে আমরা পড়ে গেছি," বলছেন আফগানিস্তানে দীর্ঘদিন মোতায়েন আমেরিকান সেনা জো কাসাবিয়ান।

জিয়া ঘাফুরির মতে এটা নিছক একসময়ের স্থানীয় সহকর্মীদের ফেলে দেয়া। "কিছুই তো বদলায়নি," বলছেন তিনি। তালেবান তো তাদের মতাদর্শ বদলায়নি, তাদের প্রশাসনিক ধরন পাল্টায়নি। আমেরিকানরা এখন সবকিছু গুটিয়ে নিয়ে তাদের সৈন্যদের ঘরে পাঠিয়ে দিচ্ছে, তিনি বলছেন। "আমাদের ব্যাপারে তার হাত ধুয়ে ফেলতে চাইছেন," বলছেন জিয়া ঘাফুরি। সূত্র : বিবিসি বাংলা।



 

Show all comments
  • হান ২ আগস্ট, ২০২১, ৮:৩২ পিএম says : 0
    গাদ্দারদের কপালে এর চেয়ে ভাল কি আশা করা যায়
    Total Reply(0) Reply
  • Assad ২ আগস্ট, ২০২১, ৯:২২ পিএম says : 0
    এটাই আমেরিকান বন্ধুত্ব। অন্যভাবে বলাযাই আমেরিকা যার বন্ধু তার সত্রুর দরকার হয় না।
    Total Reply(0) Reply
  • Razia Sultana ৩ আগস্ট, ২০২১, ১২:২১ পিএম says : 0
    গাদ্দারদের যথোপযুক্ত পুরস্কার.....
    Total Reply(0) Reply
  • Taka ৩ আগস্ট, ২০২১, ১:৩৯ পিএম says : 0
    শুনে খুব খুসি হলাম।আসা করি আফগান মন্ত্রি গুলির অবস্থা এর থেকে খারাপ হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Billal Hossain Patwary ৪ আগস্ট, ২০২১, ১০:০৬ এএম says : 0
    আমেরিকা আর ভারত উভয়ের দালালদের একই পরিনতি
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ