মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
২০১৯ সাল থেকেই সারা পৃথিবীতে চলছে করোনাভাইরাসের মহামারি। মরছে লাখ লাখ মানুষ। বিধ্বস্ত হচ্ছে একের পর এক জনপদ। লকডাউনের নামে বিশ্বব্যাপী চলছে তাণ্ডব। একের পর এক লকডাউন, জরুরি অবস্থা ও শত বিধিনিষেধেও কোনো কাজ হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে কোটি কোটি মানুষের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে করোনার টিকা। ইতোমধ্যে হাজার হাজার মানুষকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে এনেছে। একই সঙ্গে প্রকৃতিতে ফিরিয়ে দিচ্ছে স্বাভাবিক জীবন। তবে এই টিকায় শুধু সাধারণ মানুষেরই উপকার হচ্ছে, এমনটা নয়। পালটে যাচ্ছে ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিগুলোর চেহারাও। ফাইজার ও মডার্নার মতো কোম্পানিগুলো রীতিমতো টাকার পাহাড় গড়ে তুলছে। যদিও মহামারি শেষ না হওয়া পর্যন্ত বেশি মুনাফা না করার প্রতিশ্রুতি অ্যাস্ট্রাজেনেকা-জনসন অ্যান্ড জনসন।
এই মুহূর্তে বিশ্বজুড়ে ছড়াচ্ছে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন পর্যন্ত করোনার সবচেয়ে মারাত্মক ধরন এই ডেল্টা। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম ভারতে ধরা পড়ে এটি। এরপর গত পাঁচ মাসে ১৪০টি দেশে হানা দিয়েছে। আর ডেল্টার কারণেই টিকার চাহিদা এখন তুঙ্গে। বিশেষজ্ঞরা যেমনটা বলছেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ বিশ্বের টিকার বাজার ৭ হাজার কোটি ডলার পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। এই ভ্যারিয়েন্টের কারণে টিকার বুস্টার ডোজের প্রয়োজন পড়বে কিনা সে ব্যাপারে বিজ্ঞানীদের মধ্যে ইতোমধ্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
বুস্টার ডোজ ছাড়াই শত শত কোটি ডলার আয় করছে দুই মার্কিন কোম্পানি ফাইজার ও মডার্না। মার্কিন সরকারের আর্থিক সহায়তায় টিকা উৎপাদন করছে মডার্না। কোম্পানিটি চলতি বছরের প্রথম তিন মাসেই ১৭০ কোটি ডলার আয় করেছে। এছাড়া পূর্বাভাস দিয়েছে, চলতি বছর ভ্যাকসিন থেকে তাদের আয় হবে ১ হাজার ৯২০ কোটি ডলার। তবে ডেল্টার কারণে তাদের এই আয়ের পরিমাণ আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
টাকার পাহাড় গড়ছে আরেক মার্কিন কোম্পানি ফাইজারও। গত ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত সংস্থাটি ১০০ কোটি ডোজ টিকা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরবরাহ করেছে। এখন পর্যন্ত সব লভ্যাংশ বায়োনটেকের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিয়েছে ফাইজার। জার্মানির কোম্পানি বায়োনটেকের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে টিকা তৈরি করেছেন তারা। চলতি বছর ফাইজার আগের চেয়ে অনেক বেশি টিকা তৈরি করবে বলে মনে করা হচ্ছে। ৩০০ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে তারা। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে দুই ডোজ ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে। আর ডোজপ্রতি নেওয়া হচ্ছে ৩০ ডলার। তবে ব্রিটিশ ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা আর যুক্তরাষ্ট্রের জনসন অ্যান্ড জনসন বলছে, মহামারি চলাকালে টিকা বিক্রিতে কোনো মুনাফা করবে না । ফাইজার ও মডার্নার চেয়ে কয়েকগুণ কম মূল্যে টিকা বিক্রি করছে এই দুই কোম্পানি। দুই ডোজ মিলিয়ে ৪.৩০ ডলার থেকে ১০ ডলার নিচ্ছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। বিপরীতে এক ডোজে ১০ ডলার নিচ্ছে জনসন অ্যান্ড জনসন। এরপরও চলতি বছরের প্রথমার্ধে অ্যাস্ট্রাজেনেকার আয় হয়েছে ১২০ কোটি ডলার। এটিও করোনার প্রথম অনুমোদিত ভ্যাকসিন, এখন সরবরাহ করা হচ্ছে সারাবিশ্বে। গত সপ্তাহে জনসন অ্যান্ড জনসন জানিয়েছে, এ বছর ২৫০ কোটি ডলারের করোনা প্রতিরোধী টিকা বিক্রি করবে তারা। একই সময়ে মডার্নার লক্ষ্য-১ হাজার ৯২০ কোটি ডলারের টিকা বিক্রি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।