মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : ১২৬ বছর ধরে এমনটাই চলে আসছিলো। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনার প্রভাবশালী সংবাদপত্র অ্যারিজোনা রিপাবলিক তার প্রতিষ্ঠার পুরো ইতিহাস জুড়ে নির্বাচনে রিপাবলিকানদের সমর্থন দিয়ে আসছে। কিন্তু এবারই প্রথম ব্যতিক্রম। এই প্রথম পত্রিকাটি কোনও একজন ডেমোক্র্যাটকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানালো। মঙ্গলবার অ্যারিজোনা রিপাবলিকের সম্পাদকীয় পরিষদ সে কথাই লিখেছে। তারা বলেছে, হিলারি ক্লিনটনেরই রয়েছে একজন প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা। যা ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেই। এনডোর্সমেন্ট ঘোষণা দেওয়ার সম্পাদকীয়তে সংবাদপত্রটি হিলারি ক্লিনটনের প্রশংসা করেছে আর ডেনাল্ড ট্রাম্পকে সমালোচনা করেছে। ট্রাম্প নিয়ন্ত্রণহীন এক ব্যক্তি যার কাছে জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে বলেই মত সম্পাদকীয় পর্ষদের। বলেছে, তার ওপর কোনওভাবেই ভরসা করা যায় না। হিলারির নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলা হয়েছে, ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর অভিবাসন ইস্যুতে যে অবস্থান ঠিক তেমনটাই অ্যারিজোনাবাসীর প্রত্যাশা। ট্রাম্পের ধারনার সঙ্গে অ্যারিজোনা একমত নয়। কোনও সমাধানের কথা না বলে ডেনাল্ড ট্রাম্প ঝামেলা বাড়ানোরই পক্ষে। রক্ষণশীল সংবাদপত্র হিসেবেই পরিচিত এই অ্যারিজোনা রিপাবলিক। বরাবরই রিপাবলিকানদের পক্ষে। আর এই প্রথম ডেমোক্র্যাট হিলারি ক্লিনটনকে এনডোর্স করলো। তবে অ্যারিজোনা রিপাবলিকই একমাত্র রক্ষণশীল পত্রিকা নয় যারা এই কাজটি করলো। নিউ হ্যাম্পশায়ারের ইউনিয়ন লিডার তার সম্পাদকীয়তে ট্রাম্পের নিন্দা করে লিবার্টারিয়ান প্রার্থী গ্রে জনশনকে এনডোর্স করেছে। এর আগে গত জুনে ডালাস মর্নিং প্রকাশ্যে বলে দিয়েছে তাদের পাঠকদের ভোট পাওয়ার কোনও যোগ্যতাই ট্রাম্পের নেই। রক্ষণশীলদের এই পত্রিকাগুলো হিরারি ক্লিনটনকে এনডোর্স করেছে ঠিকই, তবে রিপাবলিকান প্রার্থীদের পক্ষে অতীতে যেমন ভূমিকা নিতো তেমনটা আর নিচ্ছে না।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প কোনো একসময় বলেছিলেন, “আমি অনেক ধনী, এ আমার সৌন্দর্যের একটা অংশ।” কিন্তু গেল এক বছরে তার সম্পদের পরিমাণ বেশ কমেছে। বিবিসি বলছে, ফোর্বস ম্যাগাজিন ট্রাম্পের সম্পদের পুনর্মূল্যায়ন করেছে। তাতে ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত তার ৮০ কোটি মার্কিন ডলার কমেছে। ম্যাগাজিনটির হিসাব অনুযায়ী টাকার অংকে ট্রাম্পের বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ৩৭০ কোটি মার্কিন ডলার। সোমবার বিতর্কে অংশ নিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, “আমার অসাধারণ আয় রয়েছে। টাকা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রয়েছে এমন কেউ এবার লড়ছে।” তিন দশক ধরেই ফোর্বস ট্রাম্পের সম্পদের হিসেব গণনা করে আসছে। আবাসন ব্যবসার মধ্যদিয়েই ট্রাম্প তার সম্পদের বিশাল ভা-ার তৈরি করেছেন। ফলে এই খাতে ওঠা-নামার প্রভাব ট্রাম্পের সম্পদেও পড়বে। ফোর্বসের হিসেব অনুযায়ী ট্রাম্পের ২৮টি ভবনের মধ্যে ১৮টির দাম কমেছে। মূল্যমানের পতনের তালিকায় ম্যানহাটনের ফিফথ এভিনিউতে থাকা ট্রাম্প টাওয়ারও রয়েছে। ওয়াল স্ট্রিট এবং মার-এ-লাজোতে থাকা তার সম্পদ ও ফ্লোরিডার পাম বিচের প্রাইভেট ক্লাবেরও মূল্য কমে গেছে বলে ফোর্বস জানিয়েছে। কিন্তু ট্রাম্পের সাতটি সম্পদের দাম বেড়েছে। এরমধ্যে সান ফ্রান্সিসকোর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভবনও রয়েছে। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।