Inqilab Logo

শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

পায়রা গিলে খাচ্ছে ৩শতাধিক পরিবারকে

দুমকি (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ আগস্ট, ২০২১, ১২:২৬ পিএম

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নের আংগারিয়া-বাহেরচর গ্রামে পায়রা নদীর ভাঙ্গনে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী সর্বস্ব হারাতে বসেছে। ৩১ জুলাই সকাল ৮.৩০মিনিটে সময় হঠাৎ দুটো বসতঘর, কয়েকটি কবরস্থান,গাছের বাগান সহ প্রায় ২-৩ একর জমি নিয়ে নদীগর্ভে তলিয়ে যায়। হঠাৎ বিলীন হওয়ার সময় জমিতে কৃষি কাজ করতে যাওয়া ১২-১৪ জন লোক পায়রা নদীতে ঢেউয়ের সাথে পড়ে যায়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত হয় বশির এবং আরাফাত।
গত কয়েক বছরে অনেকের কৃষিজমি,গাছপালা ও বসতঘরের ভিটি-মাটি বিলীন হয়ে গেছে। এলাকাবাসী জানান গত কয়েক বছরে প্রায়-দু-শতাধিক ঘরবাড়ি এই পায়রা নদী গ্রাস করে নিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ জব্বর খান,বিউটি বেগম,মিলন মিরা,মামুন মিরা,ফয়সাল মিরা,দুলাল হাওলাদার, জলিল সিকদার, ফরিদা, ক্ষিতিষ ঘরামী,হিমান্ত ওঝা, পান্টু পাইক,বিমল রায়,বশির হাওলাদার,শাহআলম হাওলাদার,পরিমল পাইক,জাকির হাওলাদার,রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন গত কয়েক বছরে একেরপর এক ঘরবাড়ি,বাগান,করবস্থান,মসজিদ,মন্দির,ফসলী জমি পায়রা নদী গ্রাস করে নিলেও সরকার কিংবা কোন জনপ্রতিনিধি তাদের খোঁজখবর নিতে আসেনি।তারা এখন বিভিন্ন সড়কের পাশে ঝুপড়ি ঘর করে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।অনেকে আবার ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলায় পরিবার-পরিজন নিয়ে চলে গেছে।
দীর্ঘদিনের চলমান এই নদী ভাঙ্গন ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বিষয়ে এলাকাবাসী একাধিকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।আংগারিয়া ইউনিয়নের আংগারিয়া ও বাহেরচর গ্রামের দীর্ঘ ৬০ বছর যাবৎ এই নদী ভাংগন শুরু হলেও এখনও শেষ হয়নি। নদী ভাংগন বৃদ্ধি পেয়ে গ্রামের চিত্র পাল্টে গেছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার ও বর্তমান ইউপি সদস্য মো: শাহীন গাজী। কয়েকমাস পূর্বে ভাঙ্গন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য এলাকাবাসী মানববন্ধন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করলেও অদ্যবধি পর্যন্ত কোন ফল পাওয়া যায়নি। এলাকার বাসিন্দা তরিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের এমনই অবস্থা হয়েছে যে, মাথাগুজার ঠাঁই নেই বললেই চলে। ঘর বাড়ি ভেঙ্গে যাওয়ায় প্রতিবছর নতুন ঘর তৈরি করতে হয়। অনেকের ভিটে-মাটি না থাকায় অন্যের বাড়ির আঙ্গিনায় ও রাস্তার পাশে ঘরতুলে দিনযাপন করছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ জানান,বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে। এবং ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারে তালিকা করে সহযোগীতা করা হবে। এব্যাপারে পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রেজা আহম্মেদ বলেন, নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব মন্ত্রনালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভাঙ্গন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ