বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাগেরহাটে চার বছর আগে চুরি যাওয়া তিনটি মোটর সাইকেলসহ আন্তঃজেলা মোটর সাইকেল চোর সিন্ডিকেটের ২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার গভীর রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বাগেরহাট শহরের কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড এবং শরণখোলায় পৃথক অভিযান চালিয়ে এই দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। শনিবার দুপুরে বাগেরহাটের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং এ সাংবাদিকদের কাছে এই তথ্য জানান পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, শরণখোলা উপজেলার পূর্ব রাজাপুর গ্রামের আজিজ মুন্সির ছেলে ইউসুফ মুন্সি (৬৫) এবং একই উপজেলা সদরের রায়েন্দা গ্রামের রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে রাজু হাওলাদার (২৪)। রাজুর বিরুদ্ধে বাগেরহাটের বিভিন্ন থানায় ৮টি চুরিসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক বলেন, ২০১৭ সালের ২০ সেপ্টেম্বর জেলার রামপাল উপজেলার ফয়লা এলাকা থেকে একটি পালসার মোটরসাইকেল এবং ওই বছরের ৮ নভেম্বর একই দিনে মোরেলগঞ্জ উপজেলার দৈবজ্ঞহাটি বাজার ও বাগেরহাট শহরের আমলাপাড়া এলাকা থেকে দুটি সিটি বাজাজ মোটর সাইকেল তালা ভেঙে চুরি করে এই চক্রটি। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া রাজু শরণখোলা উপজেলার পাঁচ রাস্তার মোড়ে একটি মোটর সাইলের গ্যারেজে মেকানিকের কাজ করত। সেখান থেকে কিভাবে মোইর সাইকেলের তালা ভেঙে চুরি করতে হয় তার কৌশল রপ্ত করে। ওই এলাকার একজনের চাহিদা অনুযায়ি সে বিভিন্ন এলাকায় যেয়ে কৌশলে এই তিনটি বাইক চুরি করে নিয়ে আসে।
পুলিশ সুপার আরো জানান, বাগেরহাট শহরের মধ্যে একজনকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে তাকে ধরে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের সে স্বীকার করে সে একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সাথে জড়িত এবং সে কৌশলে মোটরসাইকেলের তালা ভেঙে চুরি করে। তার দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ি জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চুরি যাওয়া তিনটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করি। এই চক্রের সাথে জড়িত আরও কিছু মানুষের নাম পেয়েছি তাদেরও খোঁজা হচ্ছে। জেলার বাইরের চক্রের সাথেও এদের যোগাযোগ রয়েছে। এদের সংঘবদ্ধ একটি চক্র রয়েছে।
উদ্ধার হওয়া তিনটি বাইকের মালিকের সন্ধান আমরা পেয়েছি। আইনের মাধ্যমে এই উদ্ধার হওয়া বাইকগুলো ফিরিয়ে দেয়া হবে মালিকদের। জেলায় বিভিন্ন সময়ে আরও যেসব বাইক চুরি হয়েছে সেগুলোও উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।