মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ালেখার জন্য স্যাট পরীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এই পরীক্ষায় ৮০০ তে ৮০০ নম্বর পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রিফাত আলবার্ট বারী অপূর্ব। জানা গেছে, প্রথমবারের চেষ্টায় এই সফলতা পাননি অপূর্ব। একে একে অষ্টমবারের চেষ্টায় এই সফলতা ধরা দিয়েছে অপূর্বর হাতে। স্যাট পরীক্ষার গণিত অংশে ৮০০ তে ৮০০ পেয়ে বিরল কীর্তি গড়েছেন তিনি।
অপূর্বর বাবা রশীদুল বারী বাংলাদেশের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের আলোচিত এক নাম। এ পর্যন্ত ১৩টি বই লিখেছেন তিনি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইয়র্ক কলেজের গণিতের লেকচারার। বাবার কাছেই অপূর্বর হাতেখড়ি। মূলত তার অনুপ্রেরণাতেই এই সফলতা পেয়েছেন অপূর্ব।
নিজের সাফল্যের কথা বলতে গিয়ে অপূর্ব জানান, আমি নিয়মিত গণিত চর্চা করি। যে কোনো সমস্যায় বাবার সহযোগিতা নেই। এই সাফল্যের পেছনে পরিবারের সহযোগিতা এবং আমার নিরলস পরিশ্রম কাজ করেছে। আসলে যে কোনো কাজে একবারেই সফলতা আসবে তেমনটা ঠিক না। বার বার চেষ্টার পর যে সফলতা আসে তার আনন্দটাই অন্যরকম।
অপূর্বর পুরো পরিবারই প্রতিভাময়। তার ছোট ভাই সুবর্ণ আইজ্যাক যুক্তরাষ্ট্রের বিষ্ময় বালক হিসেবে পরিচিত। তিনি পদার্থবিজ্ঞান, সন্ত্রাসবিরোধী ক্যাম্পেইন ও নিজের লেখা দ্য লাভ বইয়ের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে চাইল্ড প্রডিজি হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় তাকে একজন অধ্যাপক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। আর তাতেই সবচেয়ে কম বয়সী অধ্যাপক বনে গেছেন সুবর্ণ।
তাঁদের আছে ‘বারী সায়েন্স ল্যাব’ নামে অনলাইন প্ল্যাটফরম।
রাশীদুল বারী এটি পরিচালনা করেন দুই ছেলে রিফাত আলবার্ট বারী অপূর্ব এবং সুবর্ণ আইজ্যাক বারীকে নিয়ে। ছোটবেলা থেকেই বাবা নিজের স্বপ্নের বীজ বুনে দিয়েছেন সন্তানদের মাঝে। সেই স্বপ্নের ডানায় চড়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তাঁদের দুই সন্তান। অপূর্বর এ ফল অনেকটা চাপা পড়ে যায় তাঁর ছোট ভাইয়ের মেধার কাছে। ইতিমধ্যেই ছোট ভাই সুবর্ণ আইজ্যাক বারী বিশ্বজুড়ে খুদে আইনস্টাইন নামে ঝড় তুলেছেন।
অপূর্ব হার্ভার্ডে পড়বেন, না এমআইটিতে- সে সিদ্ধান্ত এখনো নিতে পারেননি। তবে তিনি গণিত নিয়েই পড়তে চান। এমন মেধাবী পরিবারের সন্তান অপূর্ব ৮০০ পাওয়ার অধিকার যেন জন্মগতভাবেই রাখেন। দেশ নিয়েও অপূর্বর ভাবনার শেষ নেই। বাবার মতো তিনিও স্বপ্ন দেখেন দেশের জন্য কিছু করার। দেশের শিক্ষার্থীদের গণিতভীতি কাটাতে কাজ করছে ‘বারী সায়েন্স ল্যাব’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।