পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খুলনা-সাতক্ষীরাসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও এর সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ এলাকায় অবস্থানরত স্থল নিম্নচাপটি বর্তমানে সুস্পষ্ট লঘুচাপ হিসেবে ভারতের বিহার-পশ্চিমবঙ্গ এলাকার দিকে সরে গেছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বেশিরভাগ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ, কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ সময়ে দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় ফেনীতে ১৪৫ মিলিমিটার।
এছাড়া চট্টগ্রামে ১১৭, কুতুবদিয়ায় ৯৫, সীতাকু-ে ৭১, সন্দ্বীপে ৬৯, সিলেটে ৩৪, বরিশালে ১৯, রাজশাহীতে ১৮, ঢাকা ও খুলনায় ১২ মিলিমিটারসহ অধিকাংশ স্থানে বৃষ্টি ঝরেছে কমবেশি। তবে ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগে তুলনামূলক কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ৩৩.১ এবং সর্বনিম্ন ফেনীতে ২৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার সর্বোচ্চ ৩১.২ এবং সর্বনিম্ন ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ৪ দিনের অবিরাম বর্ষণ ও সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম বন্দর ও বহির্নোঙরে আমদানি-রফতানিমুখী মালামাল ওঠানামা, লাইটারিং, ডেলিভারি পরিবহন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
আজ শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবনতা হ্রাস পেতে পারে। এরপরের ৫ দিনে আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে।
মৌসুমী বায়ুর একটি বলয় ভারতের রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, সুস্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, দেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সমুদ্র বন্দরে ঝড়ো হাওয়ার আশঙ্কা নেই। সমুদ্র বন্দরসমূহকে দেয়া সতর্ক সঙ্কেত তুলে নেয়া হয়েছে। তবে স্থানীয় জেলেরা জানান সাগর এখনও উত্তাল রয়েছে।
ভারী বর্ষণের সতর্কবার্তায় জানা গেছে, সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও পাহাড়ধস তথা ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।