মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনী দুই সামরিক ভাই। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের চিফ অফ আর্মি স্টাফ (সিওএএস) জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া এই মন্তব্য করে বলেন, ‘উভয় সেনাবাহিনী সম্মিলিত স্বার্থরক্ষায় অবদান রাখতে থাকবে।’
সেনাবাহিনীর জনসংযোগ দফতর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাওয়ালপিন্ডির জেনারেল সদর দফতরে (জিএইচকিউ) পিএলএ প্রতিষ্ঠার ৯৪ তম বার্ষিকীতে সেনাপ্রধান বক্তব্য রাখেন। পাকিস্তানে চীনের রাষ্ট্রদূত নং রেং, প্রতিরক্ষা অ্যাটাচে মেজর জেনারেল চেন ওয়েনরং, চীনা দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং পাকিস্তানের ত্রি-সেবা বিভাগের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে প্রতিরক্ষা অ্যাটাচে পিএলএ -র ৯৪ তম বার্ষিকীর প্রাক্কালে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের জন্য সিওএস -কে ধন্যবাদ জানান। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মন্তব্য স্মরণ করে বলেন যে ,পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী পাক-চীন কৌশলগত সম্পর্কের মূল ভিত্তি। তিনি বলেন, চীন ও পাকিস্তান লৌহ বন্ধনে আবদ্ধ, সব পরিস্থিতিতে বন্ধু এবং কৌশলগত অংশীদার।
মেজর জেনারেল চেন ওয়েনরংকে উদ্ধৃত করে আইএসপিআর বলেছে, ‘বিশ্ব পরিস্থিতি যেভাবেই পরিবর্তিত হোক না কেন, আমরা সবসময় আমাদের জাতীয় সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় একসাথে থাকব।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জেনারেল কামার পিএলএর নেতৃত্বকে সম্মান জানিয়েছেন এবং চীনের প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা এবং জাতি গঠনে তার ভূমিকার প্রশংসা করেছেন।
দুই দেশের সামরিক বাহিনী এবং জনগণের মধ্যে গভীর সম্পর্কের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে সিওএস বলেন, পাক-চীনের সম্পর্ক অনন্য এবং শক্তিশালী যা চ্যালেঞ্জের মোকাবেলায় তার স্থিতিস্থাপকতা প্রমাণ করেছে। সেনাপ্রধান আরও বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা পরিবেশে, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য পাকিস্তান-চীন অংশীদারিত্ব ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের অতীত এবং বর্তমান সাক্ষ্য দেয় যে আমরা কখনও চ্যালেঞ্জের কাছে হার মানিনি। পিএলএ এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনী সামরিক ভাই এবং উভয়ের সম্পর্ক যৌথ স্বার্থ রক্ষায় অবদান অব্যাহত রাখবে।
দিবসটি উপলক্ষে, সামরিক ব্যান্ড অতিথিদের চাইনিজ সুরগুলো বাজিয়ে স্বাগত জানায়। অনুষ্ঠানটি বিশেষত চাইনিজ রঙের থিম দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে লাল গোলাপের তৈরি চীনা পতাকা উপস্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠানস্থলটি চীনা লণ্ঠন দিয়ে আলোকিত করা হয়েছিল এবং বিশেষ চীনা এবং পাকিস্তানি পতাকা ছিল অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ। পাকিস্তান-চীন সম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে, আইএসপিআর দ্বারা প্রস্তুতকৃত একটি বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রচারিত হয় এবং একটি বিশেষ গান গেয়েছেন বিখ্যাত গায়ক আলী জাফর এবং একজন চীনা গায়ক। সূত্র : ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।