Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লক্ষ্মীপুরের বেড়িবাঁধ না থাকায় প্লাবিত হচ্ছে উপকূল

লক্ষ্মীপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ জুলাই, ২০২১, ২:৩০ পিএম

লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগর উপজেলায় ৩১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ না থাকায় মেঘনার আকষ্মিক জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যায় উপকূলীয় এলাকা।২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় আইলার আঘাতে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ৩৭ কিলোমিটার এলাকা মেঘনা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। ২০১৪ সালে মাত্র ৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মান করা হয়।

বেড়ী বাঁধ না থাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ, পানি নিষ্কাশন, শস্য উৎপাদন ও লবণাক্ত পানি প্রবাহ রোধ করা যাচ্ছে না। একটু জোয়ার হলেই পানিতে সব তলিয়ে যায়। এতে রাস্তাঘাট, ফসল, মৎস সম্পদ সহ কোটি কোটি টাকার সম্পদহানি ঘটে। ফসলী জমিতে লবণাক্ত পানি ঢুকে পড়ায় ক্রমশ হৃাস পাচ্ছে ফসল উৎপাদন। বেড়িবাঁধ না থাকায় গত ৩০বছরের রামগতি-কমলনগর উপজেলার ২শ ৪০ বর্গকিলোমিটার এলাকা, ৩৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ২৬টি বাজার, রাস্তাঘাট ও সরকারি- বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা নদী গর্ভে তলিয়ে গেছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তু ভিটা হারিয়ে যাযাবর জীবনযাপন করছে। সর্বোশেষ গত ২৩ জুলাই শুক্রবার দুপুরে পূর্ণিমার প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারে রামগতি ও কমলনগরের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ডুবে গেছে চরাঞ্চলের ফসলের মাঠ, ঘরবাড়ি ও মাছের ঘের। এতে দুই উপজেলার অন্তত ১৫ গ্রাম ডুবে পানিবন্দি হয়েছে প্রায় ১২ হাজার মানুষ। এছাড়াও কমলনগরের চর মার্টিন এলাকায় একটি সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
সূত্র জানায়, লক্ষ্মীপুর জেলার পাঁচ উপজেলার রামগতি এবং কমলনগর মেঘনা নদী দ্বারা বেষ্টিত। লক্ষ্মীপুর সদর এবং রায়পুরের সামান্য কিছু অংশে মেঘনা প্রবাহমান। ১৯৭৬ সালে নির্মিত বেড়ি বাঁধের মাধ্যমে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পানি নিষ্কাশন করা হতো। ২০০৭ সালের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় আইলার আঘাতে উক্ত পোল্ডারের রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ৩৭ কিলোমিটার এলাকা মেঘনা নদীতে বিলীন হয়ে যায় এবং ক্ষত-বিক্ষত হয় লক্ষ্মীপুর অংশের (মতিরহাট-মজুচৌধুরী হাট) ১৩ কিলোমিটার। বেড়িবাঁধ না থাকায় রামগতি-কমলনগরে নদী ভাঙ্গন বেড়েছে এবং লক্ষ্মীপুর সদর অংশে নদী ভাঙ্গন তীব্র না হলেও ক্ষত বিক্ষত বেড়িবাঁধটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সামান্য জোয়ার লোকালয়ে প্রবেশ করে।

লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ বলেন, জেলার ৪টি উপজেলা উপকূলীয় হলেও রামগতি এবং কমলনগরে ব্যাপক হারে নদী ভাঙ্গছে। সদর ও রায়পুরে তেমন নদী ভাঙ্গন নেই। তিনি জানান, জেলার দুটি উপজেলার ৩১ কিলোমিটার মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের একটি প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তিন হাজার ৮৯ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকার প্রকল্পটি অনুমোদন হয়েছে। প্রকল্পটির অর্থছাড় পেলে ভয়াবহ ভাঙ্গন কবলিত মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভাঙ্গন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ