বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সারা দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে চলছে কঠোর লকডাউন। বিধি নিষেধের আওতায় খুলনাতে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহণ চলাচল। বিক্ষিপ্তভাবে চলাচল করছে রিকশা ও থ্রী হুইলার, তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এ সুযোগে বেড়ে গেছে মোটর সাইকেলে ভাড়ায় যাত্রী বহন। স্বল্প দূরত্বে নেয়া হচ্ছে কয়েক গুন বেশি টাকা। শহরের পাশাপাশি উপজেলাগুলোতে এ ব্যবসা রমরমা আকার ধারণ করেছে।
বুধবার রাত ১১ টার দিকে খুলনা মহানগরীর ডাকবাংলো এলাকা থেকে একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ফুলবাড়িগেট যাওয়ার জন্য থ্রী হুইলারের অপেক্ষা করছিলেন। স্বাভাবিক সময়ে থ্রী হুইলারে তার গন্তব্যের ভাড়া ২৫ থেকে ৩০ টাকা। একজন মোটর সাইকেল চালক তার কাছে এসে জানতে চাইলেন তিনি যাবেন কি না। হ্যা সূচক জবাব দিতে তার কাছে চালক ২০০ টাকা দাবি করলেন। দর দামের এক পর্যায়ে তিনি দেড় শ' টাকা ভাড়ায় তার পিছনে আরোহী হলেন।
খুলনা থেকে তেরোখাদা উপজেলার দূরত্ব প্রায় ২৩ কিলোমিটার। বুধবার সন্ধ্যায় একজন মোটর সাইকেল চালক নগরীর পাওয়ার হাউজ মোড়ে দুজন ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীকে তেরোখাদা পৌঁছে দেবেন বলে ৬০০ টাকা ভাড়া দাবি করলেন। দাবিকৃত ভাড়ার সাথে শর্ত জুড়ে দিলেন, পথে পুলিশ আটকালে তারা ভাড়া দিয়ে যাচ্ছেন বলা যাবে না। খুলনা থেকে মাহেন্দ্র তে জনপ্রতি তেরোখাদার ভাড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকা। ভাড়ার মোটর সাইকেলে জনপ্রতি দেড় শ' টাকা। একইভাবে উপজেলা গুলো থেকে কয়েক গুন বেশি টাকা দিয়ে মোটরসাইকেলে মানুষ খুলনা শহরে আসছেন।
খুলনার জিরো পয়েন্টে লকডাউনের ডিউটিরত এসআই শিহাব জানান, কিছু কিছু মোটর সাইকেলে যাত্রী বহন করা হচ্ছে। চালক ছাড়া অতিরিক্ত কেউ থাকলে আমরা চেকপোস্টে তাদের আটকাচ্ছি, জিজ্ঞাসাবাদ করছি। মামলাও দেয়া হচ্ছে। যাকেই ধরা হয়, সেই বলে জরূরী প্রয়োজনে বের হয়েছি। মোটর সাইকেলে প্রেস স্টিকার লাগিয়ে কেউ কেউ যাত্রী বহন করছে। জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেরিয়ে আসে তারা সংবাদপত্রের কেউ নয়, নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য স্টিকার লাগিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।