বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো একজন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের রোগী শনাক্তের কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তবে তারা বলছেন, প্রাথমিক রিপোর্টে ওই নারীর দেহে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণের রিপোর্ট এসেছে। পুরো নিশ্চিত হতে ঢাকায় আরো একটি নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। করোনাভাইরাস থেকে সেরে ওঠার পর তার দেহে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণ ঘটেছে বলে ধারণা করছেন চিকিৎসকেরা। ষাটোর্ধ্ব ওই নারী এখন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কিছু দিন আগে করোনায় তার স্বামী মারা যান। পিতার মৃত্যুর পরপর মায়ের এমন রোগে দিশেহারা তার সন্তানেরা। তারা বলছেন, চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। ওই নারী চার দিন আগে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হন।
ওই রোগীর স্বজনেরা জানান, গত ২৫ জুন তার জ্বর আসে। ৩ জুলাই পরীক্ষায় করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। পরে ১৫ জুলাই পরীক্ষায় তিনি কোভিড নেগেটিভ হন। তবে এরপরে তার নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। ২৪ জুলাই তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়।
তার ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ আছে। কোভিড থেকে সুস্থ হওয়ার পর প্রথমে তার দাঁতব্যথা হয়। এরপর মুখ ফুলে যাচ্ছিল। পরে চোখ ও চোখের আশপাশের জায়গায় লালচে কালো হয়ে যাচ্ছিল। তখন একজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন তারা। ওই চিকিৎসক তার সিটি স্ক্যান করতে দেন।
রিপোর্ট আসার পর ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বলে ধারণা করেন চিকিৎসকেরা। আরও অধিকতর পরীক্ষার জন্য ঢাকায় নমুনা পাঠানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেলের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সুযত পাল বলেন, একজন রোগী পাওয়া গেছে। তবে এখনই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বলা যাবে না। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সাসপেকটেড হিসেবে চিকিৎসা দিচ্ছি।
তার সন্তানরা জানান, বাজারে তার জন্য ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। দিনে ৫ ভায়াল করে ১৪ দিন তাকে একটি ওষুধ দিতে হবে। তার একটি অস্ত্রোপচার লাগবে। নাক, মুখ ও চোখে এই অস্ত্রোপচার হবে, যাতে পুনরায় নতুন জায়গায় ফাঙ্গাস না ছড়ায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।