মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আগামী বছর মুদ্রাস্ফীতি কমার পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। তবে উদীয়মান বাজার এবং উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে খাদ্যমূল্যের চাপ এবং মুদ্রার অবমূল্যায়ন অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে আরও একটি উদ্বেগজনক বৈষম্য তৈরি করতে থাকবে। ফলে বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য, সঙ্ঘাত ও ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার সৃষ্টি হতে পারে বলে তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
মঙ্গলবার ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক আপডেটে আইএমএফ জানিয়েছে, ২০২১ সালে বিশ্বের মোট অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমএফ। সংস্থাটি বলছে, করোনা সংকটের প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিকভাবে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার হচ্ছে। কিন্তু উন্নত দেশ, উদীয়মান অর্থনীতির দেশ এবং নিম্ন আয়ের উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতিতে ব্যবধান বাড়ছে। এর কারণ, উন্নত দেশগুলোয় তুলনামূলক বেশি জনগোষ্ঠীকে ইতিমধ্যে টিকা দেওয়া হয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে উদীয়মান ও নিম্ন আয়ের উন্নয়নশীল দেশগুলো। এ কারণে ওই সব দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতি কম।
আইএমএফ আরও জানিয়েছে, ২০২২ সালে বৈশ্বিক গড় প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে। গত এপ্রিল মাসে প্রকাশিত আউটলুকে যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, তা অপরিবর্তিত রেখেছে আইএমএফ। সংস্থাটি বলেছে, যতক্ষণ করোনা মহামারিকে আমরা বিদায় করতে না পারব, ততক্ষণ অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার নিশ্চিত নয়। উন্নত ও উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে আইএমএফের পূর্বাভাস বলছে, ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ৭ শতাংশ মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হতে পারে। যুক্তরাজ্যেও একই হারে প্রবৃদ্ধি হবে। আর ইউরো অঞ্চলে প্রবৃদ্ধি হার ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।
এছাড়া জাপানে ২ দশমিক ৮ শতাংশ, চীনে ৮ দশমিক ১ শতাংশ, ভারতে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। একমাত্র চীন ছাড়া বাকি প্রায় সব বড় অর্থনীতির দেশ চলতি বছরে নেতিবাচক (সংকুচিত) প্রবৃদ্ধি থেকে বেরিয়ে আসবে। নতুন এ প্রতিবেদনে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। তবে দেশভিত্তিক আলাদা তথ্যকণিকায় পূর্বাভাস হিসেবে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশ হতে পারে।
আইএমএফ জানিয়েছে, প্রতিদিন ৬ লাখের মতো মানুষকে টিকা দিতে পারলে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের ৪০ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় আসবে। আপডেটে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ৪০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনতে প্রতিদিন শূন্য দশমিক ৩৬ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে হবে। আইএমএফের এ হিসাব ধরলে প্রতিদিন ছয় লাখের মতো মানুষকে টিকা দিতে হবে।
আইএমএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, উন্নত দেশগুলো তাদের ৪০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকার দুটি করে ডোজ দিয়ে ফেলেছে। উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলো ১১ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকা দিয়েছে। আর নিম্ন আয়ের উন্নয়নশীল দেশগুলোয় এই হার মাত্র ১ শতাংশ। উন্নত দেশগুলো দ্রুত টিকা দেওয়ায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সহায়তা করছে। অন্যদিকে, টিকা দেয়ার হার কম থাকায় ভারতসহ কিছু দেশ করোনার নতুন ঢেউয়ে বিপাকে পড়েছে। এ কারণে এখন করোনা মহামারি দুটি ধারায় চলছে। সূত্র : আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।