নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রতিবারই আক্ষেপ নিয়ে বাড়ি ফিরতে হতো জাপানি টেবিল টেনিস খেলোয়াড়দের। চীনের জ্বালায় জাপানিরা টেবিল টেনিসের দখলটা কোনোভাবেই নিতে পারছিল না। অবশেষে এবার নিজেদের ঘরেই মুক্তি মিলেছে। টেবিল টেনিসে চীনের আধিপত্যে ধাক্কা দিয়েছে জাপান। এদেশ-ওদেশ যেখানেই আন্তর্জাতিক খেলা হয়েছে কোথাও গত ১৭টা বছর ধরে চীনের কারণে জাপানিরা কোনোভাবেই ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পাচ্ছিল না। অবশেষে গতকাল টোকিও অলিম্পিক গেমস টেবিল টেনিসের মিক্সড ডাবলসের ফাইনালে জাপানের মিজোতানি ও মিমা ইতো জুটি চীনের শুসিন ও লিও শুয়েন জুটিকে হারিয়ে সোনার পদক জিতেছে।
২০০৪ সালের পর এমন ঐতিহাসিক জয়ের পর মিজোতানি টোকিওতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে বলেন, ‘অলিম্পিক এবং বিশ্বব্যাপী যেখানেই টেবিল টেনিস খেলা হয়েছে, সেখানেই আমরা চীনের কাছে হেরেছিলাম। টোকিও অলিম্পিকে আমরা আমাদের ঘরে প্রতিশোধ নিলাম। বিশ্বাস হচ্ছে না। মনে হচ্ছে স্বপ্ন দেখছি।’ বিশ্বাস না হবারই কথা। কারণ এই জুটি ২০১৯ সালে সুইডিশ ওপেনের ফাইনালে এবং ২০০০ সালে জার্মান ওপেনের ফাইনালে এই চীনা জুটির কাছে হেরে গিয়েছিল। দু’বারই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ নষ্ট হয়ে যায়। চীনের সেই জুটিকে অলিম্পিক গেমসে হারিয়ে সবচেয়ে বড় প্রতিশোধ নিয়েছে জাপানি মিজোতানি ও মিমা ইতো জুটি।
জাপানি এই খেলোয়াড়দের খুশি শুধু তাদের ঘরেই নয় জাপানিরাও দারুণ খুশি হয়েছেন। খুশির বার্তা পাঠাচ্ছেন। কারণ ১৯৯৬ সালে আটলান্টা অলিম্পিক থেকে টেবিল টেনিসের সব সোনার পদক নিয়ে গেছে চীন। শুধুমাত্র ২০০৪ সালে অ্যাথেন্স অলিম্পিক পুরুষ এককে চীন সোনার পদক জয় করতে পারেনি। এবার সেই তালিকায় যোগ হলো ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিকের মিক্সড ডাবলসও।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।