Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রমেকে ঘোষণার ৩ সপ্তাহেও চালু হয়নি করোনা ওয়ার্ড

সক্ষমতা বৃদ্ধির দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

রংপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ জুলাই, ২০২১, ৯:২৮ পিএম

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় পূর্বঘোষিত ৫০ শয্যার নতুন আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু ও আইসিইউ সুবিধা নিশ্চিত করাসহ ৪ দফা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে ‘জনতার রংপুর’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। আজ বুধবার দুপুরে সংগঠনটির পক্ষ থেকে হাসপাতালের পরিচালক ডা. রেজাউল করিমকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। এসময় জনতার রংপুর এর আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মামুনুর রহমান, সংগঠক গৌতম রায়, মাজিদুল ইসলাম লিটন, আব্দুল কুদ্দুস, রফিক সরকারসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, করোনা রোগীদের সুষ্ঠু চিকিৎসায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ ও শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি, পর্যাপ্ত হাইফ্লো ন্যাজাল কেনুলা সরবরাহসহ অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ, বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রদান করা, চিকিৎসক ও নার্সসহ সংশ্লিষ্টদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

সংগঠনটির আহ্বায়ক ডা. সৈয়দ মামুনুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় সক্ষমতা থাকলেও তা কাজে লাগানো হচ্ছে না। এতে করোনা আক্রান্ত রোগীরা কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পশ্চিমে নতুন একটি ভবনে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট আরেকটি আইসোলেশন ওয়ার্ড চালুর ঘোষণা দেয়া হলেও তা বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষ কালক্ষেপণ করছেন। তিনি আরও জানান, গত ৭ জুলাই করোনা রোগীদের চিকিৎসা সুবিধা বাড়ানোসহ সংকট মোকাবেলায় অনুষ্ঠিত সভায় নতুন করে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট আরেকটি আইসোলেশন ওয়ার্ড চালুর সিদ্ধান্ত নেন করোনা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কমিটি। ঘোষণা অনুযায়ী এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন ওয়ার্ডটি চালুর কথা ছিল। কিন্তু তিন সপ্তাহেও করোনা ওয়ার্ড চালুর ব্যাপারে কোনো অগ্রগতি হয়নি।

এদিকে রমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. রেজাউল করিম জানিয়েছেন, হাসপাতালে করোনা রোগীর চাপ বাড়াতে বিভাগের একমাত্র বিশেষায়িত করোনা আইসোলেশন হাসপাতালেও জায়গা সংকুলান হচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে রমেক হাসপাতালের নতুন ভবনের চতুর্থ তলায় একটি ৭১ শয্যাবিশিষ্ট করোনা ইউনিট চালু করা হয়েছে। সেখানে বর্তমানে ৫১ রোগী ভর্তি রয়েছে। এছাড়া ওই ইউনিটে আগের পাঁচটির সঙ্গে আরো ৪টি হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা যুক্ত করা হয়েছে।

পূর্বঘোষিত আইসোলেশন ওয়ার্ড চালুর বিষয়ে তিনি জানান, জরুরি বিভাগের পশ্চিমে নতুন একটি ভবনে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট আরেকটি আইসোলেশন ওয়ার্ড চালুর প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী না থাকায় বিলম্ব হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, রংপুর বিভাগের ৮ জেলার দেড় কোটির বেশি মানুষের চিকিৎসার একমাত্র ভরসাস্থল রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। বিভাগের আট জেলার সংকটাপন্ন রোগীদের চিকিৎসা সেবার জন্য আইসিইউ শয্যা রয়েছে মাত্র ৪৬টি। এর মধ্যে রংপুর ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতালে ১০টি (সচল ৮টি), রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০টি এবং দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৬টি। সম্প্রতি বিভাগের প্রতিটি জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আইসিইউ শয্যা না থাকায় মুমুর্ষ রোগীদের সঠিক চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে অক্সিজেনের অভাবে অনেক রোগী মৃত্যুবরণ করছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রংপুর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ