Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

টানা বর্ষণে বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

টর্নেডোয় ২০টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

বাগেরহাট জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৮ জুলাই, ২০২১, ৮:২০ পিএম

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার। রামপালে টর্নেডোয় ২০টি কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। শরণখোলা উপজেলায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়া সদর, রামপাল, মোংলা, চিতলমারীসহ অন্য ৮টি উপজেলাতেও প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বর্ষাকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষতিরও আশঙ্কা করছে কৃষি বিভাগ।

সদর উপজেলার সুগন্ধি গ্রামের কৃষক শেখ আমজাদ আলী বলেন, বৃষ্টি এভাবে থাকলে মাছের ঘের তলিয়ে যেতে পারে। এতে যেমন সবজি ফসলের ক্ষতি হবে তেমনি মাছ চাষিদের ও ক্ষতি হবে। একেই সবজির দাম আশা অনুরূপ না এর পর সবজি ফসলের ক্ষতি হলে অনেক লোকসান হবে।

খানপুর ইউনিয়নের চাষী রফিকুল ইসলাম জানান, দুইদিনে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। ঘেরের পাড়ের তার সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া এলাকায় জলাবদ্ধতাও দেখা দিয়েছে।

কচুয়া উপজেলার লিটন শেখ বলেন. টানা দুইদিনের বৃষ্টিতে আমাদের এলাকার বেশ কিছু মাছের পুকুর, ঘের, কৃষি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে পানি বন্দী হয়ে পড়েছে অনেক পরিবার।
চিতলমারী উপজেলার বারাশিয়া বিলের মাছচাষি জাহিদুর রহমান বলেন, কয়েক দিন আগেই ইয়াসের পানিতে আমাদের ঘের-বাড়ি তলিয়ে যায়। অনেক টাকার মাছ ভেসে গেছে সেই সময়। এখন যদি ঘের আবার তলিয়ে যায়, তবে আমাদের পথে বসতে হবে।

এদিকে রামপাল উপজেলার উজলকুড় ইউনিয়নের মিরাখালি গ্রামের উপর দিয়ে টর্নেডো বয়ে গেছে। এসে ২০টি কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কবীর হোসেন।

তিনি বলেন, প্রচন্ড ঝড়ে প্রায় ৪০ টির অধিক বড় আকারের বিভিন্ন প্রকারের গাছপালা উপড়ে গেছে, টিনের চাল উড়ে যাওয়াসহ বিধ্বস্ত হয়েছে প্রায় ২০ টির অধিক ঘরবাড়ি। বেশ কিছু গবাদি পশু ও হাসমুরগি গাছ চাপা পড়েছিল।

বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর উপপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বাগেরহাটে অবিরাম বৃষ্টিতে আউশ-আমনের বীজতলা পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে শরণখোলা উপজেলায়। এ ছাড়া জেলায় গড়ে ৯৩ দশমিক ৬৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যদি এভাবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকে তবে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাগেরহাট

১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ