মাহির দ্বিতীয় সংসারও কি ভেঙে গেছে?
মাহিয়া মাহির এক ফেসবুক স্ট্যটাস বোমার মতোই বিস্ফোরণ ঘটাল নেট দুনিয়ায়। গতকাল রোববার রাত ৯টায়
হোয়াং হো কে চীনের দুঃখ বলা হতো এক সময়। প্রতিবছর প্রলয়ংকারী বন্যায় প্লাবিত হতো মাঠ-ঘাট ঘরবাড়ি আর ফসলের ক্ষেত। হাজার বছর আগে চীনের সম্রাট দেশের নামকরা ২০ জন জ্ঞানীগুণী আর বিশেষজ্ঞকে তলব করলেন তার দরবারে। হোয়াং হোর হাত থেকে চীনকে বাঁচানোর জন্য উপায় খুঁজে বের করতে বললেন। সময় ৩০ দিন। ব্যর্থ হলে মৃত্যুদ-। চীনে তখন এভাবে মৃত্যুদ- প্রচলিত ছিল। ২০ জন বিশেষজ্ঞ জীবন বাঁচানোর জন্য নেমে পড়লেন হোয়াং হোর মোহনায়। প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যায় হোয়াং হোর বাঁকে বাঁকে ঘুরতে লাগলেন। শুনলেন হোয়াং হোর দুঃখের কাহিনী। ৩০ দিন পর হাজির হলেন রাজদরবারে। ২০ জন সবাই একমত হয়ে রিপোর্ট উপস্থাপন করলেন মৃত্যু ভয় নিয়ে। রিপোর্টে উল্লেখ করলেন হোয়াং হোর চলার পথ মসৃণ করতে হবে। হোয়াং হোর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পানির প্রবাহ যেন কোথাও বাধাগ্রস্ত না হয়। তাহলেই এ সমস্যার সমাধান হবে। সম্রাটের চোখের দিকে তাকিয়ে সবাই মৃত্যুদ- শোনার অপেক্ষায়। কিছুক্ষণ ভেবে সম্রাট বললেন, তবে তাই হোক। হোয়াং হোর গতিপথ হয়ে গেল মসৃণ। প্রবাহ হয়ে গেল নিরবিচ্ছিন্ন। অবসান হলো চীনের দুঃখ নামে অভিহিত হোয়াং হো’র অপবাদ। দুর্ভিক্ষ আর অকাল বন্যার হাত থেকে চীন রক্ষা পেল। সেই থেকে আজও হোয়াংহো প্রবাহিত হচ্ছে। চীনা ভাষায় হো মানে নদী। হোয়াংহোকে তারা মাদার রিভার বলে। যারা ৬ থেকে ৯ হাজার মাইল দীর্ঘ গ্রেটওয়াল বানিয়েছে নিখুঁত পাথর ব্যবহার করে, তারা নদীর বালি ও পলি অপসারণ করতে পারবে না, এটা হতে পারে না। এটা চীন করে দেখিয়েছে।
নদীর সংস্কার ও পরিচর্যার গুরুত্ব বিবেচনা করে গত বছরের নভেম্বরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় বছরব্যাপী নদী খননের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক সভাপতি শেখ হাসিনা। নদীর পানি প্রবাহ ঠিক রাখা এবং ভাঙ্গন প্রতিরোধে বড় নদীতে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের পুরো বছরের পরিকল্পনা থাকতে হবে বলে তিনি বলেছেন। নদী প্রবাহ ও পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। নদীর পানি যখন কমে যায় তখন চর পড়ে বা অন্যান্য কারণে পানি বেড়ে গেলে ভাঙ্গন শুরু হয়। তাই নদীর প্রবাহ ঠিক রাখতে বড় নদীতে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের পুরো বছরের পরিকল্পনার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বর্তমানে প্রকল্প ভিত্তিক নদী ড্রেজিং কার্যক্রম চলছে। সেটি থেকে বের হয়ে এসে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ে যেতে বলেছেন তিনি।
ডেল্টা প্ল্যান অনুসারে সমন্বিত ও টেকসই উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। দুইটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। একটি হলো নদী কেন্দ্রিক অর্থনৈতিক বিষয়গুলো ফলপ্রসূ করা আর দ্বিতীয়টি হলো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে জনজীবন ও সম্পদকে রক্ষা করা।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে জলীয় বাষ্পপূর্ণ আবহাওয়া এবং অসময়ে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে প্রতিবছর আন্তঃসীমান্ত নদীগুলো দিয়ে ২০০ মেট্রিক টন বালি এবং পলি বাংলাদেশের নদীগুলোতে প্রবেশ করে। তবে আন্তঃসীমান্ত নদী নিয়ে কাজ করেন এমন কেউ কেউ মনে করেন আন্তঃসীমান্ত নদীগুলো দিয়ে বর্তমানে ৩৫০-৪৫০ মেট্রিক টন বালি ও পলি বাংলাদেশের নদ-নদীতে প্রবেশ করে। একই সময়ে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় পলি এবং বন্যার পানি মেঘনা বেসিনে পতিত হতে বাধাপ্রাপ্ত হয়। বাংলাদেশের নদীগুলোর তলদেশের উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ার এটি একটি কারণ। নদীগুলো বন্যার পানি এবং পলি মাটি মেঘনা বেসিন হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হতে পারেনা। যমুনা নদী দিয়েও বিপুল পরিমাণ পলি বন্যার পানির সাথে পরিবাহিত হয়। যমুনা নদীর তলদেশে বিপুল পরিমাণ পলিমাটি জমা হওয়ার কারণে যমুনা অববাহিকার অধিবাসীরা দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কবলে পড়ছে। বন্যার সময় প্রায় ২ বিলিয়ন (২০০) টন সেডিমেন্ট নদীর তলদেশে জমা হয়। ফলে নদীর তলদেশের উচ্চতা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং অতি বন্যার সৃষ্টি হয়।
বিশ্বের অন্যতম বন্যা প্রবণ দেশ বাংলাদেশ। গত চল্লিশ বছরে এখানে বন্যায় মারা গেছে পাঁচ লাখ ২০ হাজার মানুষ। ১৯৯৮ ও ২০০৪ সালের প্রলয়ংকারী বন্যায় দেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশে নেমে এসেছিল। প্রতি চার থেকে পাঁচ বছর পর ভয়াবহ বন্যায় দেশের ৬০ শতাংশ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, দেশের মোট আয়তনের প্রায় ৯ হাজার ৭৩৪ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে নদ-নদী, বিল-ঝিল ও হাওর তথা মুক্তাঞ্চল। দেশের মোট ভূমির শতকরা ৮০ ভাগ প্লাবন ভূমি এবং ২০ ভাগ পাহাড়ি/উঁচু ভূমি। জলবায়ু বিবেচনায় বাংলাদেশের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, আদ্রতা, নাতিশীতোষ্ণ এবং শীত-গ্রীষ্মের বিপরীতমুখী বায়ু প্রবাহ যা সুস্পষ্ট ঋতুগত বৈচিত্র। প্রকৃতির এই বিচিত্র আচরণের ফলে বর্ষায় প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় এবং দেশের অধিকাংশ ভূমি প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি নদীর পাড় ভাঙ্গনের মুখে পড়ে বিশেষত পাহাড়ি নদীগুলো এবং হাওর এলাকায় বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই ঢল নামে। হঠাৎ তীব্র স্রোত দেখা দেয় এবং নদী ভাঙ্গন শুরু হয়। ফলে বিপুল পরিমাণ সম্পদ হুমকির মুখে পড়ে।
দেশে নদী ভাঙ্গনে নদীগর্ভে বিলীন হওয়া জমির (সিকস্তি) পরিমাণ ৫ লাখ ১৪ হাজার ৬৭১ দশমিক ৯৫ একর। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সিকস্তি জমি চট্টগ্রাম বিভাগে যার পরিমাণ ১ লাখ ৭৩ হাজার ১৬২ দশমিক ৯৩ একর আর সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে যার পরিমাণ ৩১.০৭ একর। বিভাগভিত্তিক নদীভাঙ্গনে ঢাকা বিভাগে সিকস্তি জমির পরিমাণ ৪৯ হাজার ১৪২.৯৮ একর, বরিশালে ১ লাখ ৪৪ হাজার ২৮৩ দশমিক ৭৭ একর জমি রয়েছে। রাজশাহীতে ৯৭ হাজার ৩৬৩ দশমিক ৮৪ একর, খুলনায় ৩০ হাজার ৬৭১.১৫ একর, রংপুরে ১৫ হাজার ৪৮ দশমিক ৭৮ একর, ময়মনসিংহে ৪ হাজার ৯৬৭ দশমিক ৪৪ একর।
সিইজিআইএস দেশের প্রধান তিনটি নদীর অববাহিকায় সম্ভাব্য ২০টি স্থান নির্বাচন করেছে যা বর্তমান বছরে নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়তে পারে। এই ২০টি স্থানের মধ্যে ১৪টি যমুনা, ৫টি গঙ্গা ও ১টি পদ্মা নদীতে। নদী ভাঙ্গনের ফলে প্রায় ১৩টি জেলা (কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, পাবনা, রাজশাহী, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ি, ফরিদপুর ও মাদারীপুর) ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যাদের মধ্যে সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ী ও মাদারীপুর জেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হতে পারে।
ড্রেজিং শিল্পের বিবর্তন:
নদ-নদীর নাব্যতা রক্ষাকল্পে বৃটিশ আমল হতেই এ উপমহাদেশে (বাংলাদেশ) ড্রেজার ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ১৯৪৭ সাল থেকে তৎকালীন সিবি অ্যান্ড আইতে এস.ডিফয়ার্জ-২৮ ইঞ্চি ও এস. ডি আলেকজান্ডার-৪১ ইঞ্চি নামের দুইটি ড্রেজার দ্বারা বাংলাদেশ ভূখন্ডে ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে ১৯৫৩ সালে ১৮টি ১২ ইঞ্চি সাকশন ড্রেজার সংগ্রহ করে ড্রেজিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। ১৯৫৯ সালে ড্রেজারগুলোসহ সংস্থাটি ইপি ওয়াপদা’র কাছে হস্তান্তরিত হয়। উল্লেখ্য, সংস্থা টিইপি ওয়াপদা’র নিকট হস্তান্তরের আগে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বন্যা, সেচ ও পানি নিস্কাশন মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে আরও ২টি ড্রেজার, এস. ডিসাফিনাতুল হাসান-২ এবং এস. ডিআমিনুল বাহার-৪৩ উক্ত সংস্থার সাথে যুক্ত হয়। বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের সময়কালীন ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে ২০০০ সালে নেদারল্যান্ড সরকারের রেন্ট গ্রান্ট-এর আওতায় আধুনিক প্রযুক্তির ইলেকট্রনিক্যালি কন্ট্রোলড ইঞ্জিন সম্বলিত পাঁচটি ১৮ ইঞ্চি ড্রেজার সংগ্রহ করা হয়। সেই সময়ে তৎকালীন নেদারল্যান্ড সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১টি ৬ ইঞ্চি ড্রেজার উপহার হিসাবে প্রদান করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফরিদপুর জেলায় চন্দনা বারাশিয়া নদী পুনঃখনন কাজের উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশের নদ-নদীসমূহের নাব্যতা রক্ষাকল্পে ড্রেজিং এর গুরুত্ব উপলব্ধি করে ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১১টি ড্রেজার ক্রয়ের নির্দেশনা দেন। ১৯৯৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কুষ্টিয়া জেলায় গড়াই নদী পাইলট সেকশনে ড্রেজিং করা হয়। ২০০০-২০০১ অর্থ বৎসরের নেদারল্যান্ড এর আর্থিক সহায়তা প্রকিউরমেন্ট অব ড্রেজারস অ্যান্ড এন্সিলারি ইকুইপমেন্ট ফর রিভার ড্রেজিং ফর ফ্লাড প্রটকেশন অব বাংলাদেশ প্রকল্পের আওতায় এস.ডি শীতলক্ষ্যা-১৮, এস.ডি ব্রহ্মপুত্র-১৮, এস.ডি মহানন্দা-১৮, এস.ডি নবগঙ্গা-১৮ এবং এস.ডি চিত্রা-১৮ ড্রেজার ক্রয় করা হয়। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ভরাট হওয়া নদ-নদী পুনরুদ্ধার ও নাব্যতা রক্ষাকল্পে ক্যাপিটাল ড্রেজিং কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক গৃহীতব্য/গৃহীত নদীভাঙ্গন রোধে তীর প্রতিরক্ষা কাজ সম্বলিত প্রকল্প সমূহে একটি নির্দিষ্ট আনুপাতিক হারে নদী ড্রেজিং কার্যক্রম অর্ন্তভূক্ত করণের জন্য অনুশাসন দিয়েছেন, যেন নদীতে জাগ্রত ডুবো চর ড্রেজিং-এর মাধ্যমে অপসারিত হওয়ার ফলে নদীর প্রবাহ তীরে আঘাত করে নদী ভাঙ্গন পরিস্থিতি সৃষ্টি না করে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অন্তর্গত ড্রেজার পরিদপ্তরের অধীনে বর্তমানে মোট ৪১টি বিভিন্ন ক্ষমতা সম্পন্ন কাটার সাকশন ড্রেজার রয়েছে এবং ওয়ার্ক বোট ২২টি (সচল ২২টি), টাগবোট ১৫টি (সচল ৭টি, মেরামতধীন ৮টি), হাউজবোট ৩২টি (সচল ২১টি, মেরামতাধীন ৩টি, মেরামত অযোগ্য ৮টি) রয়েছে। বর্তমানে সচল ও কার্যক্ষম ড্রেজার গুলোর বাৎসরিক ড্রেজিং ক্ষমতা প্রায় ২০৯.৫০ লক্ষ ঘনমিটার।
ড্রেজার পরিদপ্তর কর্তৃক ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ৪৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে ৬৫ লক্ষ ঘণ মিটার, ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে প্রায় ৩৮ কি.মি. দৈর্ঘ্যে ৫০ লক্ষ ঘনমিটার, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে প্রায় ১০০.৮০ লক্ষ ঘন মিটার ড্রেজিং সম্পাদন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনার আলোকে খননের মাধ্যমে নদ-নদীর ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধিকল্পে পাইলট ক্যাপিটাল ড্রেজিং প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন মেয়াদে সুষ্ঠু পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সেচ ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন, মৎস্য সম্পদের উন্নয়ন, পরিবেশ সংরক্ষণ, ভূমি পুনরুদ্ধার ইত্যাদি কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদ-নদী ড্রেজিংকল্পে ‘প্রকিউরমেন্ট অফ ড্রেজার অ্যান্ড অ্যানসিলারি ইক্যুইপমেন্ট ফর রিভার ড্রেজিং অফ বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীন বিভিন্ন সাইজের/ক্ষমতার ২১টি ড্রেজার ও অন্যান্য সহযোগী জলযান/যন্ত্র পানি সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে উক্ত প্রকল্পের অধীনে ৭টি ২৬গ্ধ, ২টি ২০গ্ধ ডিসচার্জ ডায়ার ড্রেজার ক্রয় সম্পন্ন হয়েছে। উল্লেখিত নতুন ৮টি ড্রেজার দ্বারা ড্রেজিং কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ১টি ড্রেজার টেস্ট ট্রায়াল সম্পাদন পূর্বক গ্রহণের অপেক্ষায় রয়েছে। ক্যাপিট্যাল ড্রেজিং শেষ হওয়ার পর নিয়মিত মেইন্টেনেন্স ড্রেজিং (অর্থাৎ নদীর নাব্যতা বজায় রাখার লক্ষ্যে) বাস্তবায়ন করার জন্য উপরোক্ত ড্রেজার ও যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হচ্ছে, যা দ্বারা সকল মেইন্টেনেন্স ড্রেজিং সম্পাদিত হবে। (চলমান)।
লেখক: উপ-মন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপ-সচিব), পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।