বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রংপুরের বদরগঞ্জে বাঁশঝাড়ে সজিনা গাছে নারীর ঝুলন্ত লাশের রহস্য রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। তাকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ তহিদার রহমান নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দুপুরে বদরগঞ্জ আমলী আদালতের বিজ্ঞ বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে আয়মনাকে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করেছেন গ্রেফতারকৃত তহিদার রহমান। সোমবার (২৬ জুলাই) রাতে তাকে বদরগঞ্জ উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়ন থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, দুই সন্তানের জননী আয়মনার সঙ্গে তার স্বামী রাশেদুলের প্রায় দুই বছর আগে ছাড়াছাড়ি হয়। এরপর নানীর বাড়ি এলাকার পূর্ব পরিচিত তহিদার রহমানের (আটক) সঙ্গে তার সখ্য গড়ে ওঠে। ওই সম্পর্কের জেরে গত শনিবার রাতে তহিদার রহমান মোবাইলে ফোনে আয়মনাকে নানীর বাড়ি থেকে বাইরে ডেকে নেয়। সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে ছিল তহিদারের অপর দুই বন্ধু। এক পর্যায়ে আয়মনাকে জোর করে ধর্ষণ করে তারা। ধর্ষণের বিষয়টি সালিস ডেকে তাদের নাম প্রকাশ করার কথা বললে আয়মনাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন ঘাতকরা। বাড়ির পাশে একটি নির্জন বাঁশ ঝাড়ে নিয়ে শ্বাসরোধ করে আয়মনাকে হত্যা করা হয়। পরে গলায় রশি বেধে বাঁশ ঝাড়ের ভেতরে একটি সজিনা গাছের ডালে তাকে ঝুলিয়ে দেয়া হলে রশি ছিঁড়ে লাশ মাটিতে পড়ে যায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় আয়মনার ভাই জাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে বদরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত করে তিনজনের জড়িত থাকার কথা জানতে পেরে একই এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে তহিদার রহমানকে গ্রেফতার করে।
বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, নিহত আয়মনার পূর্ব পরিচিত ছিল তহিদার রহমান। মূলত তার অপর দুই বন্ধু মিলে তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে বলে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর দুই সহযোগীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।