Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সৈয়দপুরে লকডাউনের ৫ম দিনে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন

সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০২১, ৩:৪৭ পিএম

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ঈদের ৩য় দিন থেকে পরবর্তী ১৪ দিন কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে সরকার। এটি কার্যকর করতে নীলফামারীর সৈয়দপুরে প্রশাসন শহরের রাস্তায় রাস্তায় কঠোর অবস্থান নিয়েছে। লকডাউনের ৫ম দিন আজ মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সকাল থেকেই পাল্টে গেছে সৈয়দপুরের চিত্র। বাজারে নেই অন্যান্য দিনের মতো মানুষজনের ভীর, নেই যানবাহনের ছুটে চলা, বন্ধ রয়েছে দোকানপাট।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৮ টা থেকে এ পর্যন্ত সৈয়দপুর শহরের রংপুর রোড,পাঁচমাথা মোড়, শের-ই বাংলা রোড, শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়ক, শহীদ তুলসীরাম সড়ক (দিনাজপুর মোড়) এলাকার নেই কোন যানবাহন ও মানুষের ভীর।
সরেজমিনে সৈয়দপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে সকাল থেকেই দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশ সেনা বাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা। শহরের পাঁচমাথায় পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ এবং সৈয়দপুর থানার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যান ও জন চলাচল নিযন্ত্রণে কাজ করছেন। জরুরি প্রয়োজনে যারা সড়কে বেরিয়েছেন তাদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ও ভ্রাম্যমান আদালতে।
শহড়ে যেসব গাড়ি চলাচল করছে সেগুলোর অধিকাংশই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি ও খাদ্য পণ্যবাহী ট্রাক, সরকারি কর্মকর্তাদের বহনকারী যানবাহন ও সংবাদকর্মীদের মোটরসাইকেল। তবে পৌর এলাকায় অলিগলি ও সড়কে কিছু রিক্সা চলাচল করতে দেখা যায়।
রংপুর দিনাজপুর মহাসড়কে কিছু পণ্যবাহী ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্স, হাসপাতালের চিকিৎসকদের গাড়ি চলতে দেখা গেছে। তবে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কঠোর ভূমিকা লক্ষ্য করা গেছে। যার ফলে তারা প্রায় মহাসড়কে চলাচল প্রত্যেকটি গাড়ি চেক করার চেষ্টাও করছেন।
জানতে চাইলে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) রমিজ আলম জানান, শহরে পুলিশ ছাড়াও আর্মি টহল অব্যাহত রয়েছে। তিনি প্রত্যাশা করেন, লকডাউনকরোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সৈয়দপুরবাসী প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ