বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চলমান বিধিনিষেধে রাজধানীর মূল সড়কে তুলনামূলক কম মানুষ দেখা গেলেও অলিগলিতে আনাগোনা বেশ বেড়েছে। দিন যত যাচ্ছে এ জায়গাগুলোতে মানুষের আড্ডা তত বাড়ছে। বিধিনিষেধের শুরুতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বেশ কড়াকড়ি দেখা গেলেও ক্রমেই শিথিলতা তৈরি হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সকালে কঠোর লকডাউনের পঞ্চম দিনে এমন চিত্র দেখা গেছে রামপুরা, চৌধুরীপাড়া, মালিবাগ ও নয়াটোলা এলাকায়।
এসব এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মেইন রোডে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে এবং অযাচিত চলাচল রোধে পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা থাকলেও অলিগলিতে সেলুন, চায়ের দোকানসহ বিভিন্ন সামগ্রীর দোকান খুলতে শুরু হয়েছে। সেখানে মানুষের আনাগোনাও বেশ। বিধিনিষেধে যেসব দোকানপাট বন্ধ থাকার কথা ছিল অলিগলিতে সেগুলো খোলা। মাঝে মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হরেও তারা ফিরে গেলে আবারও খোলা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, অলিগলির কিছু স্থানে ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারা মোটামুটি বাজার সাজিয়ে বসেছেন। সেখানে লোকজনের আনাগোনাও প্রচুর। ভিড় করেই অনেকে কিনছেন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা বাধছেন জটলা।
এদিকে রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে সবচেয়ে বেশি চলছে রিকশা। পাশাপাশি প্রাইভেটকারের সংখ্যাও বেশ। তবে কিছু অফিসের কর্মী পরিবহনকারী গাড়ি ছাড়া, বড় গাড়ি দেখা যায়নি।
পুলিশের চেকপোস্টগুলোতে কিছু কিছু প্রাইভেটকার থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা গেছে। তবে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় কাউকে জরিমানা অথবা ফিরিয়ে দেয়ার মতো ঘটনা লক্ষ্য করা যায়নি। এদিকে রিকশাযাত্রীদের সেরকম জিজ্ঞাসার মুখেও পড়তে হচ্ছে কম। এজন্য রাজধানী যেন রিকশার দখলে চলছে।
গলিতে বেশ কিছু দোকানে শাটার নামিয়ে বা অর্ধেক খোলা রেখে ভেতরে কাজ চলছিল। দোকান খোলার বিষয়ে জানতে চাইলে টেইলারিংয়ের একজন কর্মী বললেন, ‘একটা ড্রেস ডেলিভারি নেয়ার কথা, সেই কারণে একটু খুলছি। এখনই বন্ধ করে দেব।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।