পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রামের ফুসফুস হিসাবে পরিচিত ছায়া-সুশীতল ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক শোভামন্ডিত সিআরবিতে হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউটসহ বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে চট্টগ্রাম। সিআরবিতে হাসপাতাল প্রকল্প বাতিল অথবা অন্যত্র সরিয়ে নিতে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলছে সামাজিক আন্দোলন। দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষের এই আন্দোলন চট্টগ্রাম ছাড়িয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় এমনকি বিদেশেও সাড়া জাগিয়েছে।
চট্টগ্রামের ইতিহাস ঐতিহ্যের অংশ উম্মুক্ত পাহাড় সবুজে ঘেরা সিআরবি রক্ষায় দেশের বাইরেও নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। কঠোর লকডাউনেও চট্টগ্রামে থেমে নেই সিআরবির প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষার আন্দোলন। আন্দোলনকারীরা আগেই ঘোষণা দিয়েছেন সিআরবিতে হাসপাতাল প্রকল্প বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। পরিবেশ ও প্রকৃতি বিনাশী এই কর্মকান্ড বন্ধের দাবিতে চলমান আন্দোলনে শরিক হয়েছেন চট্টগ্রামের সর্বস্তরের সচেতন নাগরিক সমাজ। অতীতে কোন আন্দোলনে জনতার এমন ঐক্য দেখা যায়নি।
শিক্ষাবিদ, স্থপতি, প্রকৌশলী, শিক্ষক, পরিবেশবিদ থেকে শুরু করে সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোও প্রতিবাদী নানা কর্মসূচি পালন করে চলেছে। সরকার সমর্থিত প্রায় সব সংগঠন এই আন্দোলনে শামিল। সরকারি দলের নেতাদের অনেকে বিভিন্ন ব্যানারে আন্দোলনে শরিক হচ্ছেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন পরিবেশ ধ্বংস করে কিছুই করা হবে না। পরিবেশবান্ধব প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামবাসীর এই দাবি বিবেচনায় নিবেন। সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী সিআরবিতে হাসপাতাল করা যাবে না জানিয়ে বলেছেন, প্রয়োজনে সিটি কর্পোরেশন হাসপাতালের জন্য জমি দেবে।
রেল মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীও বলেছেন সিআরবির পরিবেশ ধ্বংস করে হাসপাতাল নয়। মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারাও হাসপাতালের জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেছেন। তারা জানিয়েছেন সরেজমিন পরিদর্শন এবং রেলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে তারা বিস্তারিত দলের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে অবহিত করেছেন। চট্টগ্রামবাসীর ক্ষোভ এবং আন্দোলনের বিষয়টিও দল এবং সরকারকে জানানো হয়েছে।
এ অবস্থায় আন্দোলনকারীরা এখন সরকার তথা প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন। তারা বলছেন, হয় এই প্রকল্প বাতিল অথবা সিআরবি বাদ দিয়ে অন্য কোন উপযুক্ত স্থানে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।