নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার, শিলং (ভারত) থেকে : এসএ গেমস আরচ্যারিতে রয়ে গেলো বাংলাদেশের স্বর্ণপদকের হতাশা। পারলেন না লাল-সবুজের আরচ্যাররা দেশকে স্বর্ণ উপহার দিতে। তীরন্দাজের একটি দারুণ শর্টই ঘুচিয়ে দিতে পারে আরচ্যারিতে বাংলাদেশের স্বর্ণের হতাশা। আকা-বাঁকা রাস্তা আর উচু-নিচু পাহাড় ঘেষা ছোট্র শিলংয়ের আকাশে উড়বে লাল সবুজের পতাকা। আবার একটি ভুল শর্টই স্বপ্নটা ভেঙ্গে দিতে পারে। আশা-নিরাশার এমন দোলাচলে সবার চোখে-মুখে উচ্ছাসের সঙ্গে ছিল বাড়তি দুঃশ্চিন্তাও। যাদের দিকে তাকিয়ে গোটা বাংলাদেশ, সেই শেখ সজিব আর বিউটি রায়কে মানসিকভাবে চাঙ্গা রাখতে ব্যস্ত টিম ম্যানেজম্যান্ট। যাতে করে চাপে ভেঙ্গে না পড়েন তারা। শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়েছে। গতকাল শিলংয়ে মিক্সড ডাবলসে রিকার্ভ ডিভিশনের ফাইনালে বিউটির প্রথম শর্টেই ভেঙ্গে যায় আরচ্যারিতে বাংলাদেশের স্বর্ণের আশা। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করের আর পারেননি তারা। স্বপ্ন জাগিয়েও স্বপ্নভঙ্গে বেদনায় পুড়তে হয়েছে তীরন্দাজদের। তাই সোনালী হাসির পরিবর্তে রূপালী হাসিতেই শেষ হলো সজীব-বিউটির দ্বাদশ দক্ষিণ এশিয়ান গেমস। আর ৬-০ পয়েন্টে জয়ী হয়ে স্বর্ণ জিতেছেন ভারতের তরুন্দীপ রায় এবং দ্বীপিকা কুমারী। আরচ্যারিতে গত আসরেও স্বর্ণ পায়নি বাংলাদেশ। এবারও এই ডিসিপ্লিনে প্রত্যাশাটা আকাশচুম্বী ছিল না। কিন্তু ১৬ কোটি বাঙ্গালির আশাটা বিস্তৃত করেন সজীব এবং বিউটি। কিন্তু শিলংয়ের মেঘলা আকাশের মতো সবার মুখটা গোমরা হয়ে যায়। অ্যারচ্যারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রাজীজ উদ্দিন আহমেদ চপল তো মুখের ভাষাই হারিয়ে ফেলেন। এতটাই মন খারাপ হয়েছে তার, শেষ পর্যন্ত কিছুই বলতে চাননি তিনি। মিক্সড ডাবলসের খেলার পদ্ধতি তিন সেটের। প্রথম সেটে যারা যে স্কোর করবে তার চেয়ে প্রতিপক্ষ দল বেশি করলে পাবে ২ পয়েন্ট। এদিন বাংলাদেশের দ্ইু আরচ্যার প্রথম সেটে স্কোর করেন ৩৩। তিন স্কোর বেশি করায় ২ পয়েন্ট পায় ভারত। বাকি দুই সেটেও জিতে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট পেয়ে সেরা হয় ভারত।
স্বর্ণেও আশা জাগিয়ে না পাওয়ার হতাশায় সবাই। আর তীরন্দাজ হিসেবে সেই হতাশাটা বেশি ছুয়েছে সজীবকে, ‘খুব খারাপ লাগছে। আসলে আমাদের ভাগ্যটাই খারাপ। চেষ্টা করেছি হয়নি। আসলে আমাদের দুর্ভাগ্য। এখন আর কী বলব। আর প্রথম শর্টে মেয়েটার (বিউটি) ভুল ছিল। তবে ভুল বলা যাবে না, কারণ আরেকটা জায়গায় অনুশীলন করেছি তো সেই জন্য সাইডটা তিনি বুঝতে পারেননি। বাকিগুলোতে তো ভাল করেছি।’ কেউ তাকে দোষারোপ করছেন না, তারপরও নিজের ভুলে স্বর্ণ না পাওয়ায় আফসোস বিউটির কন্ঠে। একই সঙ্গে ভাগ্যকে দোষারোপ করেছেন তিনি, ‘সবার আশা ছিল আমরা দেশকে স্বর্ণ এনে দিতে পারব। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের পারিনি। আমরা চেষ্টা করেছি; হয়নি। আসলে ভাগ্যটা আমাদের পক্ষে ছিল না।’ এস এ গেমসে স্বর্ণের হতাশা নিয়ে শেষ হলো আরচ্যারি। এই ডিসিপ্লিনে তিনটি রৌপ্য এবং সমান ব্রোঞ্জ জিতেছে বাংলাদেশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।