পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) ৬৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আজ। নীতির প্রশ্নে বিরোধের কারণে নিজের প্রতিষ্ঠিত দল আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে ১৯৫৭ সালের এই দিনে তিনি ন্যাপ প্রতিষ্ঠা করেন। ন্যাপ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী রাজনৈতিক দল হিসেবে পূর্ব পাকিস্তানে ১৯৬৯-এর গণঅভ্যূত্থান সংগঠনে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করে। দলটির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ভাসানীর নাতি পরশ ভাসানী আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে মওলানা ভাসানী প্রতিষ্ঠিত ন্যাপ বিভিন্ন নামে ব্রাকেটবন্দি হয়ে একাধিক অংশে বিভক্ত। প্রবীন রাজনীতিক পঙ্কজ ভট্টচার্য ঐক্যন্যাপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তবে আমেনা আহমেদের নেতৃত্বাধীন ন্যাপ (মোজাফফর) জেবেল রহমান গাণির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ন্যাপ নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন প্রাপ্ত। ভাসানীর নাতি পরশ ভাসানীও প্রগতিশীল ন্যাপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
ঐতিহাসিক প্রয়োজনেই ন্যাপ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। ১৯৫৭ সালের ৬ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের কাগমারীতে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে আওয়ামী লীগ সভাপতি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং আওয়ামী লীগ নেতা ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মধ্যে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে বিশেষ করে সাম্রাজ্যবাদীদের স্বার্থ রক্ষার স্যান্টো ও সিয়েটা চুক্তি নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়। এ প্রশ্নে দলের ডানপন্থী বুর্জোয়া নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দীর পক্ষাবলম্বন করেন এবং বামপন্থী অংশ মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে স্বাধীন ও জোটনিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি এবং পূর্ব-পাকিস্তানের সর্বাধিক স্বায়ত্তশাসনের দাবি তোলেন। ফলে আওয়ামী লীগ আদর্শিক কারণে বিভক্ত হয়ে পড়ে।
১৯৫৭ সালের ১৮ মার্চ মওলানা ভাসানী নিজের প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ ত্যাগ করেন। আওয়ামী লীগের বামপন্থী এবং স্বায়ত্তশাসনের দাবিদার অংশের উদ্যোগে ঢাকার রূপমহল সিনেমা হলে ২৪ থেকে ২৫ জুলাই গণতান্ত্রিক কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে ২৬ জুলাই পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) প্রতিষ্ঠা হয়। ন্যাপেরও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন মওলানা ভাসানী এবং সম্পাদক নির্বাচিত হন পশ্চিম পাকিস্তানের মাহমুদুল হক ওসমানী। ন্যাপের অন্যান্য নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগরা ছিলেন হাজী মুহাম্মদ দানেশ, অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ, মহিউদ্দিন আহমদ, মশিউর রহমান (যাদু মিয়া), পীর হাবিবুর রহমান, এসএ আহাদ, আবদুল মতিন, আবদুল হক, আতাউর রহমান এবং পশ্চিম পাকিস্তান থেকে ছিলেন খান আবদুল ওয়ালী খান, আবদুল মজিদ সিন্ধী, মিয়া ইফতেখার প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।