বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরিতে থেমে নেই যাত্রী ও ব্যক্তিগত যানবাহন পারাপার। কঠোর বিধি-নিষেধের তৃতীয় দিনে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের ফেরিগুলোতে ঢাকামুখী যাত্রীর উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে যাত্রীরা ফেরিতে পদ্মা পার হচ্ছেন। আজ রোববার (২৫ জুলাই) সকাল থেকে ঢাকামুখী যাত্রীরা মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট হয়ে ফেরিতে করে শিমুলিয়া আসে। পরে ছোট ছোট ভ্যাটারী চালিত অটোরিকশা, সিএনজি,মোটর সাইকেলে কয়েকগুণ অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে অনেকে পায়ে হেটেই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছে যাত্রীরা। লকডাউনের প্রথম দিন থেকে এ নৌপথে সকল লঞ্চ বন্ধ থাকায় ও অল্প সংখ্যক ফেরি চলাচল করায় ফেরিতে যাত্রীর গাদাগাদি লক্ষ্য করা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শিমুলিয়া ঘাটের পার্কিং ইয়ার্ডগুলো শূণ্য। কোন ধরনের যানবাহন নেই। মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ, থানা পুলিশ, নৌ-পুলিশ, আনসার ও বিআইডাব্লিউটিসি কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন। তখন জরুরি সেবার আওতায় পণ্যবাহী পরিবহন, অ্যাম্বুলেন্স ঘাটে আসলেই পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে ফেরিতে। বিভিন্ন চেকপোস্টের মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় ব্যতিগত গাড়ি আসলেই ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে ব্যক্তিগত গাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হলেও পায়ে হেঁটে ঘাটে ভিড় করছে শত শত যাত্রী। এদিকে শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রীর চাপ কম থাকলেও মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে প্রতিটি ফেরিতেই গাদাগাদি করে যাত্রী আসছেন। মিরপুরগামী যাত্রী রফিকুল ইসলাম জানান, চাকুরী বাঁচাতে হবে তাই যেই ভাবেই হউক ঢাকা যেতে হবে, যাত্রী আকবর আলী জানান, বরিশাল থেকে আসছি। ভেঙে আসতে হয়েছে। এখন ঢাকায়ও ভেঙে ছোট গাড়িতে যেতে হবে। সাইজউদ্দিন জানান, সরাসরি বাসে ৮শ টাকা দিয়ে যেতাম। এখন ১২শত টাকা ওই পাড়েই শেষ হয়েছে। এখন এ ঘাট থেকে ঢাকায় যেতে কত লাগে জানি না। ৪/৫ গুণ ভাড়া বেশি দিয়ে যেতে হচ্ছে। চাকুরী বাঁচাতে ঢাকায় যাচ্ছি। মাদারীপুরগামী যাত্রী আলাউদ্দিন জানান, ঢাকায় কাম নাই খামু কি? ঈদের আগে কিছু টাকা ছিলো বসে খেয়ে শেষ হয়ে গেছে তাই গ্রামে চলে যাচ্ছি।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ৭টি ফেরি চলাচল করছে। ঘাটে যাত্রী ও গাড়ির চাপ নেই যারা আসছে তারা সরাসরি ফেরিতে উঠতে পারছে। তবে অল্প সংখ্যক ফেরির কারণে প্রতিটি ফেরিতেই যাত্রীর গাদাগাদি হচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গমুখী যাত্রীর চাপ কম তবে ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ অনেক।
বিআইডবিøউটিএ’র শিমুলিয়া লঞ্চঘাটের কর্মকর্তা মো. সোলেমান জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার রাত ১০ টা থেকেই লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। লঞ্চ মালিকেরা তাদের লঞ্চের সংস্থারের কাজ করছে। সবগুলল লঞ্চ ঘাটে বেধে রাখা হয়েছে।
লৌহজং থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর হোসাইন জানান, কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকা মাওয়া মহাসড়ক, লৌহজং উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্ট ও দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম প্রবেশ পথের মূল পয়েন্টে শিমুলিয়া মোড়ে চেকপোস্টে বহাল রেখেছি। জরুরি সেবার আওতায় সে সকল গাড়ি ছাড়া হচ্ছে। তাছাড়া সকল গাড়ি ফিরিয়ে দেওশা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, পায়ে হেঁটে যাত্রীরা ঘাটে প্রবেশ করছে। মাঝে মাঝে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে আবার মাঝে মাঝে মানবিক কারণে যেতে দেওয়া হচ্ছে। ঘাট পুরো ফাঁকা রয়েছে কোন গাড়ি নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।