উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ভারতের ঝাড়খণ্ডের দিকে সরে গেছে। এদিকে বর্ষার মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে জোরালো অবস্থায় রয়েছে। বঙ্গোপসাগরের মেঘমালা ও জলীয়বাষ্প বাংলাদেশমুখী। সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশের অধিকাংশ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ, কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে।

এ সময়ে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় চট্টগ্রামে ৮৪ মিলিমিটার। তবে সিলেট ও রংপুর বিভাগে স্বল্প বৃষ্টি হয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সিলেটে ৩৪.৯ এবং সর্বনিম্ন টেকনাফে ২৪.৮ ডিগ্রি সে.। ঢাকায় ১৬ মি.মি. বৃষ্টিপাত হয়। তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৩১.১ এবং সর্বনিম্ন ২৬.৫ ডিগ্রি সে.।

আবহাওয়া সতর্কবার্তায় জানা গেছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে ভারতের ঝাড়খণ্ড ও এর সংলগ্ন এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে অবস্থান করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে ও গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আজ রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানান, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ স্থানে, ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অনেক স্থানে এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

সারাদেশে তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। এরপরের ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।