উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার আবারো একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি সর্বশেষ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করে। লঘুচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে ফের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে কম সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর কারণে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ সময়ে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় মংলায় ২৬ মিলিমিটার। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ৩৫.৫ এবং ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩২.৭ ডিগ্রি সে.।

আজ বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, খুলনা বিভাগের অধিকাংশ স্থানে; রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত এবং রাতের তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে হতে পারে। এরপরের ৫ দিনে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টির প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
নৌ সতর্ক সঙ্কেত
দেশের অভ্যন্তরীণ নদী বন্দরসমূহের জন্য আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, রাজশাহী, রংপুর, বগুড়া, পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃিষ্টসহ অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদী বন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে।