বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুড়িগ্রামের চিলামারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের ঘাটে সরকার ঘোষিত লকডাউনকে উপেক্ষা করে প্রতিদিন চলছে নৌযান। এতে নৌযান মালিকদের ফাঁদে পড়ে দ্বিগুণ ভাড়া দিতে হচ্ছে সেখানকার যাত্রীদের এবং হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। লকডাউনের প্রথমদিন থেকে এসব যাত্রী হয়রানির ঘটনা ঘটলেও নেয়া হচ্ছেনা কোন আইনি ব্যবস্থা।
জানা গেছে, চিলমারী উপজেলার রমনাঘাট থেকে রৌমারী ও রাজিবপুর এলাকা পর্যন্ত নৌকা চলাচল করে। সরকারের বেঁধে দেয়া দুই সপ্তাহের লকডাউনে নৌ চলাচল বন্ধ থাকার কথা থাকলেও আইনকে তোয়াক্কা না করেই নৌকা চলাচল অব্যাহত রেখেছেন কর্তৃপক্ষ। আর লকডাউনের ফাঁদে ফেলে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ মালামাল উঠা নামায়ও নেয়া হচ্ছে দ্বিগুণ টাকা। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।
রমনা ঘাটের তথ্যে জানা যায়, রাজিবপুর থেকে আসা নৌকার যাত্রী আশরাফুল ও মিলন জানান, নৌযানের ভাড়া ১৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। আর চিলমারী থেকে রাজিবপুর ও রৌমারী গমনকারীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে ২শত ৫০ টাকা থেকে ৩শত টাকা করে। আব্দুর রশিদ নামে অপর এক যাত্রী জানান, যেখানে রাজিবপুর যেতে ভাড়া পূর্বে লাগত ৮০ থেকে ১শটাকা সেখানে এখন তারা নিচ্ছেন ৩শত টাকা।
ঘাটের দায়িত্বে থাকা ফাইদুল ইসলাম বলেন, অনেক টাকা দিয়ে ঘাটটি ডেকে নেয়া হয়। নৌকা বন্ধ থাকলে আমাদের পুঁজি হারাতে হবে। তাই আমরা লকডাউনে টুকটাক চালাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, রৌমারী ও রাজিবপুর থেকে নৌকা তো আসছে তাহলে এখান থেকে গেলে সমস্যা কোথায় জানিনা।
এ ব্যাপারে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুর রহমান জানান, লকডাউনে আমরা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছি। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে যাতে কেউ ইমার্জেন্সির বাইরে নৌযান চালাতে না পারেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।