করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ঈদের পর শুরু হওয়া ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন চলছে আজ। সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও রাজধানীতে চলছে ব্যক্তি প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, রিকশা ও পণ্যবাহী ট্রাক। আজ সকাল থেকে বেলার বাড়ার সাথে সাথে রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কে এসব ব্যক্তিগত গাড়ির চলাচল বাড়ছে।
তবে তাদের বিভিন্ন চেকপোস্টে পুলিশের তল্লাশির মুখে পড়তে হচ্ছে। যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারলে তাদের জরিমানা করা হচ্ছে। ঠুকে দেয়া হচ্ছে মামলা। প্রধান প্রধান সড়কে মানুষের চলাচল সীমিত থাকলেও অলিগলিতে নির্বিঘ্নে ঘোরাফেরা করছে। এদিকে কর্মজীবীরা সকাল সকাল গাড়ি না থাকায় অনেকে হেঁটে রওনা হয়েছেন কর্মস্থলে। অনেকে বাধ্য হয়ে দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়ায় রিকশাযোগে কর্মস্থলে যান।
এদিকে দূরপাল্লার সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও নানা কৌশলে রাজধানীতে ঢুকছে মানুষ। পুলিশকে ফাঁকি দিতে তারা যানবাহনের সামনে ‘জরুরি সেবা’ স্টিকার লাগিয়ে রেখেছে। পুলিশও তাদের যাচাই-বাছাই শেষে ঢাকায় প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে। আবার দূরের অসংখ্য যাত্রী চেকপোস্ট থাকায় আমিন বাজার ব্রিজের আগে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে আসেন গাবতলী। এরপর রিকশা বা ভ্যানযোগে ঢাকায় প্রবেশ করতে দেখা যায়। ওদিকে মানুষের চলাচল সীমিত করতে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যদের রাজধানীতে টহল দিতে দেখা গেছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল থেকে শুরু হওয়া কঠোর বিধিনিষেধ চলবে আগামী ৫ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত। বন্ধ রয়েছে সব ধরনের গণপরিবহন, দোকানপাট, শপিংমল ও সরকারি-বেসরকারি অফিস। কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিন নিয়ম লঙ্ঘন করায় ৪০৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।